লণ্ডন, ৯ এপ্রিল: ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ ১৯৭১: ইউনাইটেড ফ্রেণ্ডস অব বাংলাদেশ’ বইটি ইতিহাসের একটি অসাধারণ বই বলে মন্তব্য?করেছেন লর্ড রামী রেঞ্জার সিবিই। গত ২৯ মার্চ, বিকেলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অফ লর্ডসে আয়োজিত গ্রন্থটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায়?তিনি একথা বলেন। লর্ড রামী বলেন, এর মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্ব ভারতীয় উপমহাদেশের ভুলে যাওয়া ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছিল ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠিত পণ্ডিত রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। বইটি পড়লে বিশ্বের ইতিহাস অনুসন্ধানী মানুষ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং একটি কনসার্ট সেই সময়ে যে কত বড় ভূমিকা রেখেছিলো সেই সম্পর্কে জানতে পারবে। উল্লেখ্য, বইয়ের লেখক আবু সাঈদ ও প্রিয়জিৎ দেব সরকার। বইটি প্রকাশিত হয়েছে স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন থেকে। বইটি বাংলা ভাষায় প্রথম প্রকাশ হওয়ার পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। এর গুরুত্ব বিবেচনা করে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের জনগণের দুর্ভোগ ও গণহত্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই কনসার্টটি প্রথমে সারা বিশ্বে তহবিল সংগ্রহ ও বিশ্ব জনমত গঠনের জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই আয়োজনের মাধ্যমে কনসার্টের ইতিহাসের গতিপথ চিরতরে বদলে দেয়’। লেখক প্রিয়জিৎ দেব সরকার বইটির বিভিন্ন অংশ হাউস অব লর্ডসে উপস্থিত অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন। মেম্বার অব পার্লামেন্ট (শ্যাডো মিনিস্টার ফরেন অ্যাণ্ড কমনওয়েলথ অ্যাফেয়ার্স) ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, তরুণ ইতিহাস গবেষক ও যুক্তরাজ্যে বেড়ে ওঠা ব্রিটিশ বাংলাদেশীদের পরবর্তী প্রজন্ম তাঁদের দেশের সম্পর্কে জানার জন্য এই বইটি একান্ত প্রয়োজনীয়। এই বইটি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট লাইব্রেরি ও লণ্ডনের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় লাইব্রেরিতে তালিকাভুক্ত করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। সুইস ইন্টার স্ট্র্যাটেজি গ্রæপের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস বø্যাকবার্ন বলেন, ‘ব্রিটিশ নাগরিক সমাজ, জর্জ হ্যারিসন এবং তাঁর সহযোগীদের সক্রিয় এবং গতিশীল ভূমিকা সমগ্র উপমহাদেশে একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ মুহূর্ত সৃষ্টি করেছিল। এছাড়া বইয়ের ওপর আলোচনা করেন ওয়েস্ট লণ্ডন চেম্বার অব কমার্স সিইও অ্যালান রাইডস, ব্রিজ ইণ্ডিয়া ফাউণ্ডেশনের পরিচালক প্রতীক দাতানি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ, ভারতীয় সংবাদ প্রতিনিধিদলের সদস্য মনীশ তিওয়ারি, আইটি ব্রিটিশ চার্টাড ইনস্টিটিউটের পরিচালক স্টিফেন টুইড, লণ্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের আন্তর্জাতিক প্রাথমিক বাজারের প্রধান টম অ্যাটেনবরো, ইউকে এশিয়া বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তাহা কোবার্ন, রিজেন্ট কলেজ থেকে চিফ ইন্টারন্যাশনাল অফিসার স্টিভেন ফিলিপস, প্রখ্যাত ভাস্কর নিকোলা রেভেনসকোর্ট, চলচ্চিত্র নির্মাতা নিক কারিম, ব্রিটিশ আরব নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ওয়াকিফ মোস্তফা, ব্রিটিশ বাংলা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ডা. রেজওয়ানা আনোয়ার, লণ্ডন বারো অব ইলিং কাউন্সিলার চরণ শর্মা, এনএল২৪ ইউকে টিভি নিউজ চ্যানেলের শাহ বিলালসহ বাংলাদেশ ও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি