আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

“শুরুর দিকে কোনো সিভিডির লক্ষণ সবসময় না-ও থাকতে পারে। আর বয়স বাড়ার সাথে সাথে সিভিডি-আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে এটি বেশি হতে পারে। তাই আমাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা উচিত ।”

আখতার নাসিম
কনসালট্যান্ট ভাসকুলার সার্জন ও ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর, শেফিল্ড

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

“আপনি যদি কৃষ্ণাঙ্গ বা এশীয় জাতিগত সম্প্রদায়ের সদস্য হন তবে আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি এবং এটি তুলনামূলক কম বয়সে হতে পারে। জিপি সার্জারি ও বেশিরভাগ ফার্মেসিতে গিয়ে রক্তচাপ জেনে নিতে পারেন অথবা ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মেশিন কিনে নিজেই রক্তচাপ পরীক্ষা করতে পারেন।”

ডা. ক্রিস অলুকান্নি
জিপি এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এসেক্স

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

“আপনি যদি কৃষ্ণাঙ্গ বা এশীয় জাতিগত সম্প্রদায়ের সদস্য হন তবে আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি এবং এটি তুলনামূলক কম বয়সে হতে পারে। জিপি সার্জারি ও বেশিরভাগ ফার্মেসিতে গিয়ে রক্তচাপ জেনে নিতে পারেন অথবা ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মেশিন কিনে নিজেই রক্তচাপ পরীক্ষা করতে পারেন।”

রণজিৎ সিং
‘ট্রিপল বাইপাস সার্জারি’র পর এখন সুস্থ জীবনযাপন করছেন
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

অন্যমত

ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে

২৯ জুন ২০২৫ ৩:০০ অপরাহ্ণ | অন্যমত

গাজীউল হাসান খান ♦

নিয়তি বলে যে কথাটি প্রচলিত রয়েছে, রাজনীতির ক্ষেত্রে তা কতটুকু প্রভাব ফেলে, আমার জানা নেই। পশ্চিমা জগতের কট্টরবাদী রাজনীতিক, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্র পরিচালনায় এখন বহুমুখী অনভিপ্রেত চাপের মুখে নিয়তির খেলায় গা ভাসাতে বাধ্য হচ্ছেন বলে মনে করছেন। চার বছরের বিরতির শেষে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় টার্মের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথাগত রাজনীতির বাইরে থেকে আসা ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেছিলেন আর রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ কিংবা যুদ্ধবিগ্রহ নয়। এবার তিনি শান্তি-শৃঙ্খলা ও বাণিজ্য-বিনিয়োগের দিকে মন দেবেন।
তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান দীর্ঘ সংঘর্ষের অবসান ও ক্রমে ক্রমে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ইউরোপ তথা সমগ্র বিশ্বে শান্তিপূর্ণ অবস্থা ফিরিয়ে আনবেন। সে কারণে তিনি যথাশীঘ্র সাম্প্রতিক পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ থামানোর জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু নিয়তি তাঁকে কাঙ্ক্ষিত শান্তির পথে এগোতে দেয়নি বলে তিনি মনে করেন। ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে একটি স্থায়ী সমঝোতায় উপনীত হওয়ার জন্য ট্রাম্প যখন দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ইসরায়েলের ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের ওপর একতরফাভাবে একটি আক্রমণ করে বসেন।
অনেকে সেটিকে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের একটি সাজানো নাটক বা পূর্বপরিকল্পিত বিষয় বলে উল্লেখ করলেও ট্রাম্প প্রশাসনের অনেকে বলছেন ভিন্ন কথা। সামাজিক গণমাধ্যমে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রভাবশালী ব্যক্তি বলেছেন, সে সংঘর্ষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জড়িত করা হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ইহুদি ধনকুবের শ্রেণি এবং সর্বোপরি আমেরিকান ইসরায়েলি পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির (এআইপিএসি) নেতারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাধ্য করেছেন আক্রমণকারী ইসরায়েলের পক্ষে সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়াতে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী চিন্তাশীল ও শান্তিপ্রিয় মানুষ ছিলেন সে সিদ্ধান্ত কিংবা অবস্থানের বিরুদ্ধে।
ফিলিস্তিনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিবদমান ইস্যু নিয়ে বিগত কয়েক বছরে, বিশেষ করে গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার সময় যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিকদের দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। এতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মানসিক দিক থেকে বেশ স্বস্তি বোধ করছিলেন বলে মনে হয়েছে। অনেকে ভেবেছিলেন, অবশেষে মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন সমস্যার একটি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান হয়তো সম্ভব হতেও পারে।

ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক, শেষ পর্যন্ত ইরানের ওপর ১৩ জুন চাপিয়ে দেওয়া ইসরায়েলের একতরফা যুদ্ধে বিরাটভাবে অংশ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সঙ্গে পরমাণু বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলাকালে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে, কিন্তু তার জন্য ন্যূনতম কোনো কৈফিয়ত চায়নি যুক্তরাষ্ট্র।
বরং আগ্রাসন ও সম্প্রসারণবাদী ইসরায়েলের পক্ষ হয়ে তার চাপিয়ে দেওয়া অন্যায় যুদ্ধে যোগ দিয়েছেন অপরিণামদর্শী ট্রাম্প। তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ইরানের ওপর এক অঘোষিত যুদ্ধে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কি বাধ্য করা হয়েছিল? তাহলে স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন ওঠে, ক্ষুদ্র ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তির দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে চালায়, নাকি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল নামক বহু অভিযোগে অভিযুক্ত রাষ্ট্রটি পরিচালনা করে? নেতানিয়াহুর সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের শেষ প্রান্তে এসে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনার ওপর ব্যাপক বোমা হামলা চালায়। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সূত্রে বলা হয়েছে, তারা ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। সে কথা বারবার বলেছেন ‘বেশি কথা বলার মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্প’। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের অংশ সরিয়ে নিয়েছে এমন কোনো গোয়েন্দা তথ্যের কথা তাঁর জানা নেই। তিনি অত্যন্ত জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দানবীয় বি-৫২ বোম্বার থেকে ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের এক ডজনের বেশি ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা ব্যবহার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এই বোমা (বাংকার বাস্টার) ব্যবহারের বৈধতা কিংবা অবৈধতা নিয়ে তেমন কোনো কথা বলেনি। তারা বারবার শুধু একটি কথাই বলেছে যে পরমাণু বোমা তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রক্রিয়া যে ৯০ শতাংশে পৌঁছানো প্রয়োজন, ইরান তার অনেক নিচে অর্থাৎ ৬০ শতাংশে ছিল। শান্তিপূর্ণ কাজ কিংবা মানবকল্যাণে ব্যবহার করার জন্য কোনো দেশের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত অবৈধ নয়। ইরান আইএইএর সনদে স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। তারা পরমাণু বোমা তৈরির কোনো প্রকাশ্য ঘোষণাও দেয়নি এবং এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো গোপন তথ্যও নেই। তাহলে কেন এই হামলা? ইরান সে বিষয়গুলো নিয়ে এখন রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় মতবিনিময় করছে।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যম ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবর্ষণ এবং তার কার্যকারিতা নিয়ে এখন অসংখ্য প্রশ্ন তুলেছে। তাদের জিজ্ঞাসা—যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবর্ষণে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর তেমন বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না? শুধু তা-ই নয়, তাদের ধারণা, বোমা ফেলার অনেক আগেই বিভিন্ন স্থাপনা থেকে ইরান তার ইউরেনিয়াম সরিয়ে নিয়েছে। সেসব স্থাপনা মেরামত কিংবা সরিয়ে নেওয়া ইউরেনিয়াম দিয়ে ইরান আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তার কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে আবার শুরু করতে সক্ষম হবে। সেসব কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত যুদ্ধবিরতি মোটেও স্থায়ী হবে কি না, সেটি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও কর্মপদ্ধতিকে পশ্চিমা জগৎ এবং ইসরায়েলের অনেকে এখন বিতর্কিত করে তুলেছে। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফ শিগগিরই ইরানের সঙ্গে একটি শান্তি আলোচনায় বসতে আগ্রহী বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সে বৈঠক শেষে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ট্রাম্পের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে এখন সর্বত্র বিভিন্ন স্পর্শকাতর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কোনো কিছুর মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এখন কোথাও তাঁর তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই। কারণ তিনি স্বাধীনভাবে অর্থাৎ স্বেচ্ছায় কিছু করতে গেলেও ইসরায়েল ও তার প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু কিংবা আমেরিকান ইসরায়েলি শক্তিশালী লবির হুমকিতে তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে সরে আসেন। তাদের সঙ্গে প্রদত্ত কথা বা সিদ্ধান্তের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে ট্রাম্পের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে। তারপর গাজাসহ ফিলিস্তিন সমস্যারও কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান ট্রাম্প দিতে সমর্থ হবেন না। তিনি মুখে যত বেশি কথাই বলুন না কেন, শেষ পর্যন্ত ইহুদিবাদীদের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারবেন না। তা ছাড়া ট্রাম্পের মতো মানুষকে অতি সহজেই অর্থ-সম্পদ দিয়ে কেনা অতি সহজ। কারণ তাঁর কোনো নীতি-আদর্শ নেই। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কয়েকবারের ঘোষিত দেউলে। আর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তিনি এখন গাঁটছড়া বেঁধেছেন গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত কট্টর ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেছেন, নেতানিয়াহু জার্মানির ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার নায়ক হিটলারের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর এবং অমানবিক।

সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে ব্রিটেন, তুরস্কসহ সদস্য দেশগুলোর ওপর ট্রাম্প তাদের জিডিপির যে ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়েছেন, বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে ন্যাটো সদস্যরা তা বাস্তবায়ন করতে অসমর্থ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর (বৈশ্বিক দক্ষিণ) তুলনায় জি-৭ সদস্য দেশগুলোর জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্ধেকেরও কমে নেমে যাচ্ছে। ব্রিকস দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির হার গত বছর যেখানে ছিল ৩.৪ থেকে ৪ শতাংশ, জি-৭ দেশগুলোর প্রবৃদ্ধির হার সেখানে ছিল অর্ধেকেরও কম। বর্তমান অর্থবছরের প্রথম কোয়ার্টারে জার্মানির প্রবৃদ্ধি -০.২ শতাংশে নেমে গেছে। এই অবস্থায় ইউরোপের নিরাপত্তা বিধান করতে ন্যাটো দেশগুলো কিভাবে তাদের জিডিপির ৫ শতাংশ ব্যয় করবে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত প্রযুক্তির সমরাস্ত্র খরিদ করবে? প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেখানেও খুব তাড়াতাড়িই হতাশ হবেন। ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার রাষ্ট্রীয় ঋণের বোঝা নিয়ে বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি। তার দায়ভার যুদ্ধবাজ ইসরায়েলকেও নিতে হবে। কারণ সে অর্থের একটি অংশ ইসরায়েলে গেছে অনুদান হিসেবে। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা কিংবা একটি অর্থবহ চুক্তিতে যেতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন কিংবা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছার কাছাকাছিও আসতে পারেননি। পুতিন সামরিক কৌশলেই তাঁর চূড়ান্ত বিজয় ও সব সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে কাজ করছেন। অথচ ন্যাটো সদস্যরা জেলেনস্কির হয়ে পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হুংকার দিচ্ছেন। এই অবস্থায় আর দেড় বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ও কংগ্রেসে অনুষ্ঠিত হবে মধ্যবর্তী নির্বাচন। এতে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি পরিণত হবেন একজন ঠুঁটো জগন্নাথে। এখন কংগ্রেসে কোনো বিল পাস করিয়ে আনার ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আর থাকবে না। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র দেখা দিতে পারে এক অসহনীয় পরিস্থিতি। সে অবস্থায় ইসরায়েলকে আগের মতো আর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য এবং সামরিক সরঞ্জাম দেওয়া সম্ভব হবে না। সে ক্ষেত্রে বিশ্বশান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া কতটুকু সম্ভব হবে ট্রাম্পের পক্ষে? যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিণতির জন্য ইসরায়েলকেই বহুলাংশে দায়ী হতে হবে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা। তবু তাদের ইসরায়েলপ্রীতি এবং পক্ষপাতিত্ব কোনোভাবেই কমছে না। ট্রাম্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভাঁওতাবাজির কৌশল এবং অনৈতিকতা এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে।

লণ্ডন, ২৯ জুন, ২০২৫
লেখক: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক

আরও পড়ুন

ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প

গাজীউল হাসান খান গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘দিশাহীন ও বেপরোয়া’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো গুরুতর ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে খুব বেশি সময় নেন না। এর মূল কারণ হচ্ছে ট্রাম্প খুব ভেবেচিন্তে কোনো কথা বলেন না। তবে তিনি নিজেকে বিশ্বের...

ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন

গাজীউল হাসান খান ♦ পতিত হাসিনা সরকারের দীর্ঘ শাসনকালের একটা সময়ে, সম্ভবত শুরু থেকে মাঝামাঝি কোনো অবস্থায়, দেশের কোনো একটি গণমাধ্যমে একটি চমৎকার স্লোগান দেখতে পেতাম। সেটি হচ্ছে : ‘আপনি বদলে যান, সমাজ বদলে যাবে।’ চারিত্রিক দিক থেকে আমরা সবাই যদি পরিশুদ্ধ হতে পারি, তাহলে...

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

গাজীউল হাসান খান ♦ আজকাল কোনো রাজনৈতিক কথা বলা কিংবা লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে হয়। কোনো ব্যাপারে বক্তা কিংবা লেখকের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি পক্ষ নির্ধারণের প্রবৃত্তি দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ বক্তা বা লেখক রাজনীতিগতভাবে কোন পক্ষের...

দেশ কারো একার নয়, দেশ সবার

গাজীউল হাসান খান ♦ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমাদের পূর্বপুরুষদের অর্থাৎ এই অঞ্চলের মানুষের হাজার বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে অবিভক্ত বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম হিসেবে আবির্ভূত হলেও এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে...

বাংলাদেশ-চীন সুদৃঢ় বন্ধনে জড়ানো আবশ্যক

গাজীউল হাসান খান ♦ চীনের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত তার নিজ জাতীয় স্বার্থে কাজ করা, কোনো তৃতীয় পক্ষের জন্য নয়। কিন্তু পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব কাজ দেশের স্বার্থে করেননি,...

আরও পড়ুন »

 

ইরান আক্রমণ নিয়ে ফাঁদে পড়েছেন ট্রাম্প

গাজীউল হাসান খান গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘দিশাহীন ও বেপরোয়া’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো গুরুতর ব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে খুব বেশি সময় নেন না। এর মূল কারণ হচ্ছে ট্রাম্প খুব ভেবেচিন্তে কোনো কথা বলেন না। তবে তিনি নিজেকে বিশ্বের...

কেয়ার ফর সেইন্ট অ্যান’ চ্যারিটির উদ্যোগে টাওয়ার হ্যামলেটসের হাজার বছরের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

কেয়ার ফর সেইন্ট অ্যান’ চ্যারিটির উদ্যোগে টাওয়ার হ্যামলেটসের হাজার বছরের বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্যের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

হাসনাত চৌধুরী ♦ লণ্ডন, ২০ এপ্রিল: টাওয়ার হ্যামলেটসের অবস্থান ও এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে দুর্লভ শিল্পকর্মের এক বিশেষ প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী ২৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। ‘কেয়ার ফর সেইন্ট অ্যান' চ্যারিটির উদ্যোগে লাইম হাউজের সেইন্ট অ্যান চার্চে এই প্রদর্শনীর...

ভবিষ্যতের সংঘাত ঠেকাতে এখনই ব্যবস্থা নিন

গাজীউল হাসান খান ♦ পতিত হাসিনা সরকারের দীর্ঘ শাসনকালের একটা সময়ে, সম্ভবত শুরু থেকে মাঝামাঝি কোনো অবস্থায়, দেশের কোনো একটি গণমাধ্যমে একটি চমৎকার স্লোগান দেখতে পেতাম। সেটি হচ্ছে : ‘আপনি বদলে যান, সমাজ বদলে যাবে।’ চারিত্রিক দিক থেকে আমরা সবাই যদি পরিশুদ্ধ হতে পারি, তাহলে...

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

গাজীউল হাসান খান ♦ আজকাল কোনো রাজনৈতিক কথা বলা কিংবা লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে হয়। কোনো ব্যাপারে বক্তা কিংবা লেখকের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি পক্ষ নির্ধারণের প্রবৃত্তি দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ বক্তা বা লেখক রাজনীতিগতভাবে কোন পক্ষের...