পত্রিকা ডেস্ক:
লণ্ডন, ২৯ মে: যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে ২১ মে রোববার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) উদ্দেশে রওনা দিয়েছে একটি মিশন। যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা অ্যাক্সিওম স্পেস আয়োজিত এই মিশনে আছেন সৌদি আরবের দুই নভোচারী। সৌদির নভোচারীরা এই প্রথম কক্ষপথ পরীক্ষাগারে গেলেন।
সৌদির এই দুই মহাকাশচারীর একজন রায়ানাহ বারনাভি। তিনি একজন স্তন ক্যানসার গবেষক। তিনি মহাকাশ ভ্রমণে যাওয়া সৌদির প্রথম কোনো নারী। নারী নভোচারী
বারনাভির সঙ্গে এই মিশনে সৌদির অপর যে নভোচারী আছেন, তাঁর নাম আলী আল-কারনি। তিনি পেশায় যুদ্ধবিমানের পাইলট।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরালের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৫টা ৩৭ মিনিটে সৌদির এই দুই নভোচারীসহ চার সদস্যের মিশনটির যাত্রা শুরু করে। পরদিন সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে তাঁরা আইএসএস এ পৌঁছান।
অ্যাক্সিওম মিশন ২ (অ্যাক্স-২) নামের এই মিশনের অপর দুই সদস্য হলেন পেগি হুইটসন ও জন শফনার।
পেগি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার একজন সাবেক মহাকাশচারী। তিনি চতুর্থবারের মতো আইএসএসে যাচ্ছেন।
শফনার পেশায় ব্যবসায়ী। যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের এই ব্যক্তি মিশনটিতে পাইলট হিসেবে কাজ করবেন।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে এই চারজন প্রায় ১০ দিন থাকবেন।
বারনাভি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, সৌদিসহ এ অঞ্চলের প্রথম নারী নভোচারী হতে পারাটা তাঁর জন্য একটা বড় আনন্দ ও সম্মানের বিষয়। এই মিশনের অংশ হতে পেরে তিনি খুবই খুশি।
বারনাভি আরও বলেছিলেন, আইএসএসে থাকাকালে গবেষণা তো বটেই, ফিরে এসে শিশুদের সঙ্গে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে তিনি অধীর হয়ে অপেক্ষা করছেন।
মিশনে সৌদির দ্বিতীয় নভোচারী আল-কারনি একজন পেশাদার যুদ্ধবিমানের পাইলট। তিনি বলেছিলেন, সব সময় অজানা বিষয় অনুসন্ধান, আকাশ-তারার রহস্য জানার ব্যাপারে তাঁর মধ্যে একটা প্রবল আগ্রহ কাজ করে এসেছে। এই আগ্রহ সরাসরি মেটাতে পারা তাঁর জন্য একটা বড় সুযোগ।
চার সদস্যের এই দল আইএসএসে থাকাকালে প্রায় ২০টি পরীক্ষা চালাবেন। এর একটি হলো, মহাকর্ষণ-শূন্য পরিস্থিতিতে স্টেম সেল কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে। তাঁরা আইএসএসে অবস্থান করা আরও সাতজনের সঙ্গে যোগ দেবেন।
আগে একবার সৌদির এক নভোচারী মহাকাশ অভিযানে গিয়েছিলেন। তিনি প্রিন্স সুলতান বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ। সৌদির বিমানবাহিনীর সাবেক এই পাইলট ১৯৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত মহাকাশ ভ্রমণে অংশ নিয়েছিলেন।
মহাকাশ মিশনে সৌদির কোনো নারীর যুক্ত হওয়াটা তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটির জন্য প্রথম ঘটনা হতে যাচ্ছে। দেশটিতে নারীরা মাত্র কয়েক বছর আগেই গাড়ি চালানোর অধিকার পেয়েছেন।
সৌদি আরব ২০১৮ সালে সৌদি স্পেস কমিশন প্রতিষ্ঠা করে। মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর জন্য সংস্থাটি গত বছর একটি প্রকল্প চালু করে।
০০০০০০