আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে?

“আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট চোখের রোগ ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।”

ডাঃ এভলিন মেনসাহ
ক্লিনিক্যাল প্রধান (লিড), অপথালমোলজি
লণ্ডন নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথকেয়ার এনএইচএস ট্রাস্ট ।

ডায়াবেটিস থাকলে চোখের স্ক্রীনিং করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ

“আমি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছি বলে যখন ধরা পড়ল, তখন তা আমার মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউই তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারাতে চায় না। আমি ছয় মাস কেঁদেছি।”

বার্নাডেট ওয়ারেন (৫৫)
সাবেক শিক্ষক, সারে ।

স্ক্রিনিং প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করে

“নিয়মিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং স্ক্রিনিংয়ে অংশ নিলে তা মানুষের শরীরে জটিলতা সৃষ্টির ঝুঁকি অথবা প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। তখন এসব ব্যাপারে আমরা কিছু করতে সক্ষম হবো।

ডা. ভরন কুমার
জিপি, স্লাও, বার্কশায়ার

মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

খোলা প্রান্তর

লন্ডনের চিঠি: আমাদের ইঁদুরেরা ডিজিটাল তো?

১৭ আগস্ট ২০২৩ ৩:১৫ পূর্বাহ্ণ | খোলা প্রান্তর

সাগর রহমান

বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে আমি যে মার্কেট চত্বরটি পার হয়ে আসি, সেখানে নানা ধরনের ফল-মূলের দোকান বসে। হরেক রকমের ফল ছোট ছোট প্লাস্টিকের বাটিতে সাজিয়ে রাখা, প্রতি বাটির দাম এক পাউ-। কলা, কমলা, আনারস, আপেল, আঙুর, বেদানা, এপ্রিকেট, কী নেই! অন্য পাশে সবজির পসরা। তাও বাটিতে সাজানো। মাপ-জোখের বালাই নেই, মূলা-মূলির অবকাশ নেই। পকেট থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাউ–কড়ি বের করে দিয়ে তত সংখ্যক বাটি নিয়ে দোকানির কাছে দিয়ে দিলে সে বাটি রেখে, বাটির দ্রব্যসামগ্রী পলিথিনের ব্যাগে তুলে দিবে। এই দোকানগুলো খোলা আকাশের নিচে, বেশিরভাগেরই উপরে সামিয়ানা জাতীয় কিছুও নেই। একটা বড়-সড় টেবিলের উপরে পসরা সাজানো। টেবিলের ওপারে দোকানি, এপারে কাস্টমার। প্রায় দিনই চত্বরটি পেরিয়ে আসতে আসতে ফলের বাটির দিকে তাকিয়ে ভাবি, কিছু একটা কেনা যাক। কিন্তু বেশিরভাগ দিনই আমার দ্বারা ঐ দোকানগুলো থেকে কোনো কিছু কেনা সম্ভব হয় না। হয় না, কারণ এসব দোকানীরা সাধারণত ক্যাশে লেনদেন করেন। ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এসব দোকানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেনদেন সম্ভব নয়। আমার পকেটে সচরাচর ক্যাশ থাকে না। থাকে না, তার কারণ অবশ্য এটা নয় যে আমি ক্যাশলেস সোসাইটির খুব বড় ফ্যান হয়ে উঠেছি, কিংবা ডিজিটালাইজেশানকে উদ্বাহু আলিঙ্গন করতে লেগেছি।

আমার ক্যাশলেস থাকার কারণটি অতি সাধারণ: পকেটের জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলার ব্যাপারে আমার সুখ্যাতি আছে। বেশ কয়েকবার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলার পর একসময় নোকিয়ার বাটন-ফোনে ফিরে গিয়েছিলাম, মানিব্যাগটার ব্যাপারে অবশ্য কিছু করা যায়নি, চলতে গেলে ‘মানি’ লাগবেই, তাই মানিব্যাগটা রয়ে গেছে, তবে ভেতরের মানির বদলে কার্ড। বললে অবিশ্বাস্য শোনাবে, সেই নোকিয়ার বাটন-ফোনটিও- যাকে ‘ব্রিক (ইট) ফোন’ নামে সচরাচর ডাকা হয় এখন, আমি হারিয়েছিলাম মোট তিনবার। প্রতিবারই ফোনটি ফেরত পেয়েছি। দুইবার বাসের হারানো দ্রব্যের ডিপো থেকে, আরেকবার রাস্তার একজন সাধারণ পথচারী থেকে। স্বভাবতই এ যুগে কেউ আর ঐ ‘ইটের ফোন’ না-বলে-কয়ে-নিয়ে গিয়ে ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করতে চায়নি। এ সন্দেহটি করতেই হচ্ছে, কেননা এর আগে যে অন্তত দুই বার আন-স্মার্টটি দুটো স্মার্টফোন হারিয়ে ফেলেছিলাম, সেগুলো আর কখনোই ফেরত পাওয়া যায়নি! ব্যাংক-কার্ড হারালে একটি সেন্টও না খুইয়ে দিব্যি নতুন কার্ড ফেরত পাওয়া যায়, কিন্তু ক্যাশ টাকা হারালে আম ও ছালা হারানোর (পড়ুন মানিব্যাগ ও টাকা) আপ্তবাক্য জপা ছাড়া আর কোনো গতি তো নেই। তারওপরে ঝক্কির কথাটা হলো, এদেশে কয়েনের এত প্রচলন যে, দশ পাউন্ডের একটি নোট ভাঙিয়ে দুই পাউন্ডের কোনো দ্রব্য কিনবো, দেখা যাবে দোকানি বাকি আটটি পাউন্ড কয়েন ধরিয়ে দিয়েছে হাতে। একেকটা এক পাউন্ড কয়েনের ওজন হচ্ছে আট দশমিক পঁচাত্তর গ্রাম। সে হিসেবে আটটি কয়েনের ওজন দাঁড়ায় পুরো সত্তুর গ্রাম! এই সত্তুর গ্রাম ওজনের বাজনা (কারণ ওগুলো পরস্পরের সংস্পর্শে এসে হাঁটার তালে তালে বেশ শব্দ করে বাজতে থাকে) পকেটে নিয়ে হাঁটাটা বেশ অস্বস্তিকর মনে হয় আমার কাছে। অতএব, খানিকটা বাধ্য হয়েই আমার এই ক্যাশলেস চলাফেরা।

প্রসংগ থেকে খানিকটা সরে ‘ব্রিক ফোন’ নামটার ব্যাপারে একটু বলে নেই। পৃথিবীতে প্রথম যখন বাণিজ্যিকভাবে হাতে করে ঘোরা সম্ভব মোবাইল ফোন বাজারে এলো (১৯৮৩ সালের দিকে), সেগুলোর ওজন ছিল ২.৫ পাউন্ড ( ১.১৩ কেজি)। ঐ গন্ধমাদন কিনতে মোটামুটি চার হাজার পাউন্ড লাগতো, আজকের হিসেবে নয় হাজার পাউন্ড, এবং ঐ ফোনে পয়ঁত্রিশ মিনিট কথা বলতে পুরো দশ ঘন্টা চার্জ দিতে হতো! ঐ ফোনের চিফ ডিজাইনার ছিলেন মার্টিন কুপার। প্রায় সোয়া কেজি ওজনের একটি জিনিসের অত অল্পসময় কথা বলার সক্ষমতার প্রশ্নে ভদ্রলোক মুচকি হেসে উত্তর দিয়েছিলেন: “ব্যাটারি লাইফটাইম খুব বড় একটা সমস্যা ছিল না তখন। কেননা, ঐ বস্তু খুব বেশিক্ষন হাতে ধরে রাখা সম্ভব ছিল না বলে অনেকক্ষণ কথা বলার ব্যাপারটাও ছিল না।” কুপারের ঐ উত্তরের পর থেকেই মূলত ঐ আদিযুগের বাটন ফোনগুলোকে ব্রিক ফোন বলে অভিহিত করা শুরু হয়।

পৃথিবীতে বেশ কয়েকটি দেশ এখন প্রায় ক্যাশলেস, এবং অচিরেই পুরোপুরি ক্যাশলেস হবার পথে আছে। প্রথম পথ দেখিয়েছে অবশ্য সুইডেন, যারা প্রথম ব্যাংকনোটের প্রচলন করেছিল। তালিকায় আছে নরওয়ে, নেদারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সাউথ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং আরো অনেকেই। স্বয়ং আমাদের বাংলাদেশেই এর দামামা বাজতে শুরু করেছে জোরেশোরে। ক্যাশলেস হয়ে যাওয়ার পক্ষে এবং বিপক্ষে বাদানুবাদ চলছে এখন পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু সে ফিরিস্তি এখানে থাকুক। যুক্তরাজ্যে যদিও প্রচ- গতিতে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগুচ্ছে, তবু চাইলে যে কেউ ক্যাশ ব্যবহার করে করে দিন গুজরান করতে পারবেন এখনো। সুতরাং, আমাকে ক্যাশলেস করতে এখনো কেউ বাধ্য করেনি, আমি আমার সুবিধামতো কার্ড ব্যবহারকে পছন্দ করে নিয়েছি। তবে ব্রিক ফোন থেকে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে বলা যায় আমাকে (বা আমাদেরকে) এক ধরনের ঘাড় ধরে বাধ্যই করা হয়েছে! বিশ্ব সংসারের যাবতীয় কার্যক্রম আচমকা ঢুকে গেছে ফোনের স্ক্রিণে। প্রতি পদে পদে বাধা, যাই করতে যাই ঐ অ্যাপ থেকে করতে হবে, না হয় ঐ বারকোড স্ক্র্যান করতে হবে, ঐ ইমেইলের লিংকটি ক্লিক করলে নিজের একাউন্টে ঢোকা যাবে। এখন তো অনেকগুলো রেস্টুরেন্টই আছে যেখানে খাবারের অর্ডার দিতে ফোনে বারকোড স্ক্যান করতে হয়। আপনার কাছে বারকোড স্ক্যান করার অপশান নেই, মানে আপনি ঐ রেস্টুরেন্টে খেতে পারবেন না! আপনি রেস্টুরেন্টে যাবেন, ওয়েটার এগিয়ে এসে অভিবাদন করবে, হাতে পানির জগ-গ্লাস, ফুল-টুল নিদেন খাবারের ছাপানো মেনুটি পর্যন্ত নেই। আপনি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাবেন, দেখবেন, ওয়েটার আপনাকে টেবিলের ওপরে রাখা ছাপানো বারকোডের দিকে ইংগিত করছে। ইংগিত অতি সুস্পষ্ট: কথাবার্তার কিছু নেই, ওখানে স্ক্যান করুন, অর্ডার করুন, পে করুন, খাবার যথাসময়ে চলে আসবে।

আমরা যারা প্রি-ডিজিটাল এইজে জন্ম নিয়েছি, এবং জীবনের বড় অংশ ঐ যুগে কাটিয়েছে, পেরুচ্ছি মিড-ডিজিটাল এইজ, তাদের কাছে এইসব আচমকা পরিবর্তনগুলো বেশ খটোমটো লাগতে থাকে। আমি নিজে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ছাত্র হয়েও এত এত প্রযুক্তিতে মাঝে মাঝে কেমন উসখুস করে উঠি, এত গতি খুব বেশি গতিশীল মনে হয়। ভাবতে গেলে অবশ্য বুঝতে পারি, এটা সব যুগেরই কমন সমস্যা। প্রতিটি প্রজন্মই তার পর এবং উত্তর প্রজন্মের সাথে তাল মেলাতে গেলে বেশ খানিকটা নড়বড়ে বোধ করে। সমস্যা হলো, মিড-ডিজিটাল এইজ ঠিক মতো বুঝে উঠতে না উঠতেই কিন্তু হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ছে পোষ্ট ডিজিটাল এইজ। এ এমন এক সময়, যখন ডিজিটাল ব্যাপারটা হয়ে উঠবে (বা ইতিমধ্যে উঠেছে) শ্বাস-প্রশ্বাস নেবার মতোই স্বাভাবিক ব্যাপার।
তা এইসব ঘটবেই! কিন্তু ভয়ের কথাটা হলো, আমরা না হয় ঐসব ডিজিটাল যাঁতাকলে ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় মাথা পেতে দিয়েছি, পা না হড়কে থমকে বসে পড়ার ভয় থেকে প্রাণপনে ডাউনলোড করে যাচ্ছি একের পর এক অ্যাপ আর স্ক্রিন আপ-ডাউন করে জীবন-যাপন করে যাচ্ছি অঙুলি হেলনে, আমাদের আশে-পাশে বসবাস করা ইঁদুর-বিড়াল-কুকুরগুলোর কথাটি কি একবারও ভেবেছি? প্রশ্নটা উঠছেই, কেননা, এই তো গত সপ্তাহে, ইংল্যান্ডের হার্ডফোর্ডশায়ারের একটি গ্রাম পুরো তিনদিনের জন্য ইন্টারনেট বিহীন হয়ে পড়েছিল। কেন? কারণ, কয়েকটি ইঁদুর ওখানকার ইন্টারনেটের তার চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে! পত্রিকা বলছে, ইঁদুরের ঐ ভোজ-উৎসবের পরপরই পুরো এলাকা ইন্টারনেটহীন হয়ে ওখানকার পাঁচহাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জীবন-যাত্রা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। গোটা তিনেক আশ্চর্য-বোধক চিহ্ন সহযোগে পত্রিকার হেডলাইন: নো ইন্টারনেট ফর থ্রি ডেইজ!!! অবস্থা স্বাভাবিক করে তুলতে বেশ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ারকে দিনরাত কাজ করতে হয়েছে, পুরো তিনদিন লেগে গেছে ওখানকার অধিবাসীদের স্বাভাবিক (ডিজিটাল) জীবনে ফিরে আসতে। বিষয়টাকে ইংগিত করে হার্ডফোর্ডশায়ারের একজন প্রবীণ অধিবাসী (জাতির বিবেকের কাছে) খোলা প্রশ্ন রেখেছেন : এ ঘটনা থেকে আমরা শতভাগ ডিজিটাল হওয়ার বিপদাপদ বিষয়ে কী শিক্ষা নিতে পারি? প্রশ্নটার উত্তর আসতেও বেশি সময় লাগেনি। মেট্রোর ফোরামে একজন পাঠক উত্তর দিয়েছেন: ইঁদুর-বিড়াল-কুকুরকে ডিজিটাল বিষয়ে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।

সত্যিই তো! মাইকেল শুমাখারের গতিতে ডিজিটাল পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যাবার সময় বয়সী-প্রজন্ম এর সংগে কতটুকু তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন- সেটা না হয় না-ই ভাবা গেল, কিন্তু ইঁদুর-বিড়াল-কুকুরদের কথা না ভাবলে যে চলছে না, সেটা দিব্যি পরিষ্কার!

লণ্ডন, ১১ আগস্ট, ২০২৩
লেখক: কথাসাহিত্যিক

সবচেয়ে বেশি পঠিত

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সৈয়দ আফসার উদ্দিনকে স্মরণ

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সৈয়দ আফসার উদ্দিনকে স্মরণ

লণ্ডন, ১৭ এপ্রিল: লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব আয়োজিত বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ আফসার উদ্দিনের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, তিনি ছিলেন একজন আপাদমস্তক ভদ্রলোক। ছিলেন সদালাপী, বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাবোধসম্পন্ন মানুষ। একজন সাংবাদিক ও শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। তিনি...

ডায়াবেটিস আছে? আপনার স্বাস্থ্যের দিকে যেভাবে নজর রাখবেন

ডায়াবেটিস আছে? আপনার স্বাস্থ্যের দিকে যেভাবে নজর রাখবেন

আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে? এ ব্যাপারে লণ্ডন নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথকেয়ার এনএইচএস ট্রাস্টের চক্ষুবিদ্যা (অপথালমোলজির)-এর ক্লিনিক্যাল প্রধান (লিড) ডাঃ এভলিন মেনসাহ ব্যাখ্যা করে বলেন, "যদি আপনার ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি...

গার্ডেন্স অব পিসে চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ আফসার উদ্দিন

গার্ডেন্স অব পিসে চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ আফসার উদ্দিন

সহকর্মীদের আবেগঘন স্মৃতিচারণ সারওয়ার-ই আলম ♦ লণ্ডন, ১২ এপ্রিল: সহকর্মীদের ভালবাসায় ও কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ১৩ই এপ্রিল শনিবার ইস্ট লণ্ডনের গার্ডেন্স অব পিসে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী...

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক সৈয়দ আফসার উদ্দিনের ইন্তেকালে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক সৈয়দ আফসার উদ্দিনের ইন্তেকালে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া

মঙ্গলবার ১৩ই এপ্রিল জানাজা ইস্ট লণ্ডন মসজিদে সারওয়ার-ই আলম ♦ লণ্ডন, ১২ এপ্রিল: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক, বাংলাদেশী-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রিয়মুখ সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দীর্ঘ নয় বছর বোন ম্যারো ক্যান্সারের সঙ্গে...

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের আহবায়ক কমিটি গঠিত

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের আহবায়ক কমিটি গঠিত

আগামী তিনমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি লণ্ডন, ০৪ এপ্রিল: হারুনুর রশিদকে আহবায়ক এবং জামাল হোসেনকে সহ-আহবায়ক করে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। গত ২রা এপ্রিল মঙ্গলবার ইস্ট লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল রোডস্থ বারাকা...

আরও পড়ুন »

 

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সৈয়দ আফসার উদ্দিনকে স্মরণ

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সৈয়দ আফসার উদ্দিনকে স্মরণ

লণ্ডন, ১৭ এপ্রিল: লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব আয়োজিত বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ আফসার উদ্দিনের স্মরণসভায় বক্তারা বলেছেন, তিনি ছিলেন একজন আপাদমস্তক ভদ্রলোক। ছিলেন সদালাপী, বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাবোধসম্পন্ন মানুষ। একজন সাংবাদিক ও শিক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। তিনি...

ডায়াবেটিস আছে? আপনার স্বাস্থ্যের দিকে যেভাবে নজর রাখবেন

ডায়াবেটিস আছে? আপনার স্বাস্থ্যের দিকে যেভাবে নজর রাখবেন

আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে? এ ব্যাপারে লণ্ডন নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথকেয়ার এনএইচএস ট্রাস্টের চক্ষুবিদ্যা (অপথালমোলজির)-এর ক্লিনিক্যাল প্রধান (লিড) ডাঃ এভলিন মেনসাহ ব্যাখ্যা করে বলেন, "যদি আপনার ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি...

গার্ডেন্স অব পিসে চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ আফসার উদ্দিন

গার্ডেন্স অব পিসে চিরনিদ্রায় শায়িত সৈয়দ আফসার উদ্দিন

সহকর্মীদের আবেগঘন স্মৃতিচারণ সারওয়ার-ই আলম ♦ লণ্ডন, ১২ এপ্রিল: সহকর্মীদের ভালবাসায় ও কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ১৩ই এপ্রিল শনিবার ইস্ট লণ্ডনের গার্ডেন্স অব পিসে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক, ব্রিটিশ-বাংলাদেশী...

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক সৈয়দ আফসার উদ্দিনের ইন্তেকালে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক সৈয়দ আফসার উদ্দিনের ইন্তেকালে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া

মঙ্গলবার ১৩ই এপ্রিল জানাজা ইস্ট লণ্ডন মসজিদে সারওয়ার-ই আলম ♦ লণ্ডন, ১২ এপ্রিল: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও শিক্ষক, বাংলাদেশী-ব্রিটিশ কমিউনিটির প্রিয়মুখ সৈয়দ আফসার উদ্দিন এমবিই ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দীর্ঘ নয় বছর বোন ম্যারো ক্যান্সারের সঙ্গে...

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের আহবায়ক কমিটি গঠিত

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের আহবায়ক কমিটি গঠিত

আগামী তিনমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি লণ্ডন, ০৪ এপ্রিল: হারুনুর রশিদকে আহবায়ক এবং জামাল হোসেনকে সহ-আহবায়ক করে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। গত ২রা এপ্রিল মঙ্গলবার ইস্ট লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল রোডস্থ বারাকা...

ভবিষ্যত বদলে দিতে পারে অন্ত্রের (বাওয়েল) ক্যান্সার স্ক্রিনিং

ভবিষ্যত বদলে দিতে পারে অন্ত্রের (বাওয়েল) ক্যান্সার স্ক্রিনিং

ইংল্যাণ্ডে সাধারণত যেসব ক্যান্সারে মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকেন তার মধ্যে অন্ত্রের (বাওয়েল) ক্যান্সার হচ্ছে তৃতীয়। ডা. বলা ওউলাবি একজন জিপি এবং এনএইচএস ইংল্যাণ্ডের হেলথ ইনইকুয়েলিটিজ ইমপ্রুভমেন্ট ডাইরেক্টর। তিনি বলছেন, "এই ক্যান্সারে যে কেউ যে কোনও বয়সে আক্রান্ত হতে...