আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

“শুরুর দিকে কোনো সিভিডির লক্ষণ সবসময় না-ও থাকতে পারে। আর বয়স বাড়ার সাথে সাথে সিভিডি-আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে এটি বেশি হতে পারে। তাই আমাদের ঝুঁকি কমানোর জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা উচিত ।”

আখতার নাসিম
কনসালট্যান্ট ভাসকুলার সার্জন ও ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর, শেফিল্ড

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

“আপনি যদি কৃষ্ণাঙ্গ বা এশীয় জাতিগত সম্প্রদায়ের সদস্য হন তবে আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি এবং এটি তুলনামূলক কম বয়সে হতে পারে। জিপি সার্জারি ও বেশিরভাগ ফার্মেসিতে গিয়ে রক্তচাপ জেনে নিতে পারেন অথবা ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মেশিন কিনে নিজেই রক্তচাপ পরীক্ষা করতে পারেন।”

ডা. ক্রিস অলুকান্নি
জিপি এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এসেক্স

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

“আপনি যদি কৃষ্ণাঙ্গ বা এশীয় জাতিগত সম্প্রদায়ের সদস্য হন তবে আপনার উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি এবং এটি তুলনামূলক কম বয়সে হতে পারে। জিপি সার্জারি ও বেশিরভাগ ফার্মেসিতে গিয়ে রক্তচাপ জেনে নিতে পারেন অথবা ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মেশিন কিনে নিজেই রক্তচাপ পরীক্ষা করতে পারেন।”

রণজিৎ সিং
‘ট্রিপল বাইপাস সার্জারি’র পর এখন সুস্থ জীবনযাপন করছেন
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

খোলা প্রান্তর

লন্ডনের চিঠি: আমাদের ইঁদুরেরা ডিজিটাল তো?

১৭ আগস্ট ২০২৩ ৩:১৫ পূর্বাহ্ণ | খোলা প্রান্তর

সাগর রহমান

বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে আমি যে মার্কেট চত্বরটি পার হয়ে আসি, সেখানে নানা ধরনের ফল-মূলের দোকান বসে। হরেক রকমের ফল ছোট ছোট প্লাস্টিকের বাটিতে সাজিয়ে রাখা, প্রতি বাটির দাম এক পাউ-। কলা, কমলা, আনারস, আপেল, আঙুর, বেদানা, এপ্রিকেট, কী নেই! অন্য পাশে সবজির পসরা। তাও বাটিতে সাজানো। মাপ-জোখের বালাই নেই, মূলা-মূলির অবকাশ নেই। পকেট থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাউ–কড়ি বের করে দিয়ে তত সংখ্যক বাটি নিয়ে দোকানির কাছে দিয়ে দিলে সে বাটি রেখে, বাটির দ্রব্যসামগ্রী পলিথিনের ব্যাগে তুলে দিবে। এই দোকানগুলো খোলা আকাশের নিচে, বেশিরভাগেরই উপরে সামিয়ানা জাতীয় কিছুও নেই। একটা বড়-সড় টেবিলের উপরে পসরা সাজানো। টেবিলের ওপারে দোকানি, এপারে কাস্টমার। প্রায় দিনই চত্বরটি পেরিয়ে আসতে আসতে ফলের বাটির দিকে তাকিয়ে ভাবি, কিছু একটা কেনা যাক। কিন্তু বেশিরভাগ দিনই আমার দ্বারা ঐ দোকানগুলো থেকে কোনো কিছু কেনা সম্ভব হয় না। হয় না, কারণ এসব দোকানীরা সাধারণত ক্যাশে লেনদেন করেন। ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে এসব দোকানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেনদেন সম্ভব নয়। আমার পকেটে সচরাচর ক্যাশ থাকে না। থাকে না, তার কারণ অবশ্য এটা নয় যে আমি ক্যাশলেস সোসাইটির খুব বড় ফ্যান হয়ে উঠেছি, কিংবা ডিজিটালাইজেশানকে উদ্বাহু আলিঙ্গন করতে লেগেছি।

আমার ক্যাশলেস থাকার কারণটি অতি সাধারণ: পকেটের জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলার ব্যাপারে আমার সুখ্যাতি আছে। বেশ কয়েকবার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলার পর একসময় নোকিয়ার বাটন-ফোনে ফিরে গিয়েছিলাম, মানিব্যাগটার ব্যাপারে অবশ্য কিছু করা যায়নি, চলতে গেলে ‘মানি’ লাগবেই, তাই মানিব্যাগটা রয়ে গেছে, তবে ভেতরের মানির বদলে কার্ড। বললে অবিশ্বাস্য শোনাবে, সেই নোকিয়ার বাটন-ফোনটিও- যাকে ‘ব্রিক (ইট) ফোন’ নামে সচরাচর ডাকা হয় এখন, আমি হারিয়েছিলাম মোট তিনবার। প্রতিবারই ফোনটি ফেরত পেয়েছি। দুইবার বাসের হারানো দ্রব্যের ডিপো থেকে, আরেকবার রাস্তার একজন সাধারণ পথচারী থেকে। স্বভাবতই এ যুগে কেউ আর ঐ ‘ইটের ফোন’ না-বলে-কয়ে-নিয়ে গিয়ে ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ করতে চায়নি। এ সন্দেহটি করতেই হচ্ছে, কেননা এর আগে যে অন্তত দুই বার আন-স্মার্টটি দুটো স্মার্টফোন হারিয়ে ফেলেছিলাম, সেগুলো আর কখনোই ফেরত পাওয়া যায়নি! ব্যাংক-কার্ড হারালে একটি সেন্টও না খুইয়ে দিব্যি নতুন কার্ড ফেরত পাওয়া যায়, কিন্তু ক্যাশ টাকা হারালে আম ও ছালা হারানোর (পড়ুন মানিব্যাগ ও টাকা) আপ্তবাক্য জপা ছাড়া আর কোনো গতি তো নেই। তারওপরে ঝক্কির কথাটা হলো, এদেশে কয়েনের এত প্রচলন যে, দশ পাউন্ডের একটি নোট ভাঙিয়ে দুই পাউন্ডের কোনো দ্রব্য কিনবো, দেখা যাবে দোকানি বাকি আটটি পাউন্ড কয়েন ধরিয়ে দিয়েছে হাতে। একেকটা এক পাউন্ড কয়েনের ওজন হচ্ছে আট দশমিক পঁচাত্তর গ্রাম। সে হিসেবে আটটি কয়েনের ওজন দাঁড়ায় পুরো সত্তুর গ্রাম! এই সত্তুর গ্রাম ওজনের বাজনা (কারণ ওগুলো পরস্পরের সংস্পর্শে এসে হাঁটার তালে তালে বেশ শব্দ করে বাজতে থাকে) পকেটে নিয়ে হাঁটাটা বেশ অস্বস্তিকর মনে হয় আমার কাছে। অতএব, খানিকটা বাধ্য হয়েই আমার এই ক্যাশলেস চলাফেরা।

প্রসংগ থেকে খানিকটা সরে ‘ব্রিক ফোন’ নামটার ব্যাপারে একটু বলে নেই। পৃথিবীতে প্রথম যখন বাণিজ্যিকভাবে হাতে করে ঘোরা সম্ভব মোবাইল ফোন বাজারে এলো (১৯৮৩ সালের দিকে), সেগুলোর ওজন ছিল ২.৫ পাউন্ড ( ১.১৩ কেজি)। ঐ গন্ধমাদন কিনতে মোটামুটি চার হাজার পাউন্ড লাগতো, আজকের হিসেবে নয় হাজার পাউন্ড, এবং ঐ ফোনে পয়ঁত্রিশ মিনিট কথা বলতে পুরো দশ ঘন্টা চার্জ দিতে হতো! ঐ ফোনের চিফ ডিজাইনার ছিলেন মার্টিন কুপার। প্রায় সোয়া কেজি ওজনের একটি জিনিসের অত অল্পসময় কথা বলার সক্ষমতার প্রশ্নে ভদ্রলোক মুচকি হেসে উত্তর দিয়েছিলেন: “ব্যাটারি লাইফটাইম খুব বড় একটা সমস্যা ছিল না তখন। কেননা, ঐ বস্তু খুব বেশিক্ষন হাতে ধরে রাখা সম্ভব ছিল না বলে অনেকক্ষণ কথা বলার ব্যাপারটাও ছিল না।” কুপারের ঐ উত্তরের পর থেকেই মূলত ঐ আদিযুগের বাটন ফোনগুলোকে ব্রিক ফোন বলে অভিহিত করা শুরু হয়।

পৃথিবীতে বেশ কয়েকটি দেশ এখন প্রায় ক্যাশলেস, এবং অচিরেই পুরোপুরি ক্যাশলেস হবার পথে আছে। প্রথম পথ দেখিয়েছে অবশ্য সুইডেন, যারা প্রথম ব্যাংকনোটের প্রচলন করেছিল। তালিকায় আছে নরওয়ে, নেদারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সাউথ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং আরো অনেকেই। স্বয়ং আমাদের বাংলাদেশেই এর দামামা বাজতে শুরু করেছে জোরেশোরে। ক্যাশলেস হয়ে যাওয়ার পক্ষে এবং বিপক্ষে বাদানুবাদ চলছে এখন পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু সে ফিরিস্তি এখানে থাকুক। যুক্তরাজ্যে যদিও প্রচ- গতিতে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগুচ্ছে, তবু চাইলে যে কেউ ক্যাশ ব্যবহার করে করে দিন গুজরান করতে পারবেন এখনো। সুতরাং, আমাকে ক্যাশলেস করতে এখনো কেউ বাধ্য করেনি, আমি আমার সুবিধামতো কার্ড ব্যবহারকে পছন্দ করে নিয়েছি। তবে ব্রিক ফোন থেকে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে বলা যায় আমাকে (বা আমাদেরকে) এক ধরনের ঘাড় ধরে বাধ্যই করা হয়েছে! বিশ্ব সংসারের যাবতীয় কার্যক্রম আচমকা ঢুকে গেছে ফোনের স্ক্রিণে। প্রতি পদে পদে বাধা, যাই করতে যাই ঐ অ্যাপ থেকে করতে হবে, না হয় ঐ বারকোড স্ক্র্যান করতে হবে, ঐ ইমেইলের লিংকটি ক্লিক করলে নিজের একাউন্টে ঢোকা যাবে। এখন তো অনেকগুলো রেস্টুরেন্টই আছে যেখানে খাবারের অর্ডার দিতে ফোনে বারকোড স্ক্যান করতে হয়। আপনার কাছে বারকোড স্ক্যান করার অপশান নেই, মানে আপনি ঐ রেস্টুরেন্টে খেতে পারবেন না! আপনি রেস্টুরেন্টে যাবেন, ওয়েটার এগিয়ে এসে অভিবাদন করবে, হাতে পানির জগ-গ্লাস, ফুল-টুল নিদেন খাবারের ছাপানো মেনুটি পর্যন্ত নেই। আপনি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাবেন, দেখবেন, ওয়েটার আপনাকে টেবিলের ওপরে রাখা ছাপানো বারকোডের দিকে ইংগিত করছে। ইংগিত অতি সুস্পষ্ট: কথাবার্তার কিছু নেই, ওখানে স্ক্যান করুন, অর্ডার করুন, পে করুন, খাবার যথাসময়ে চলে আসবে।

আমরা যারা প্রি-ডিজিটাল এইজে জন্ম নিয়েছি, এবং জীবনের বড় অংশ ঐ যুগে কাটিয়েছে, পেরুচ্ছি মিড-ডিজিটাল এইজ, তাদের কাছে এইসব আচমকা পরিবর্তনগুলো বেশ খটোমটো লাগতে থাকে। আমি নিজে কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির ছাত্র হয়েও এত এত প্রযুক্তিতে মাঝে মাঝে কেমন উসখুস করে উঠি, এত গতি খুব বেশি গতিশীল মনে হয়। ভাবতে গেলে অবশ্য বুঝতে পারি, এটা সব যুগেরই কমন সমস্যা। প্রতিটি প্রজন্মই তার পর এবং উত্তর প্রজন্মের সাথে তাল মেলাতে গেলে বেশ খানিকটা নড়বড়ে বোধ করে। সমস্যা হলো, মিড-ডিজিটাল এইজ ঠিক মতো বুঝে উঠতে না উঠতেই কিন্তু হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ছে পোষ্ট ডিজিটাল এইজ। এ এমন এক সময়, যখন ডিজিটাল ব্যাপারটা হয়ে উঠবে (বা ইতিমধ্যে উঠেছে) শ্বাস-প্রশ্বাস নেবার মতোই স্বাভাবিক ব্যাপার।
তা এইসব ঘটবেই! কিন্তু ভয়ের কথাটা হলো, আমরা না হয় ঐসব ডিজিটাল যাঁতাকলে ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় মাথা পেতে দিয়েছি, পা না হড়কে থমকে বসে পড়ার ভয় থেকে প্রাণপনে ডাউনলোড করে যাচ্ছি একের পর এক অ্যাপ আর স্ক্রিন আপ-ডাউন করে জীবন-যাপন করে যাচ্ছি অঙুলি হেলনে, আমাদের আশে-পাশে বসবাস করা ইঁদুর-বিড়াল-কুকুরগুলোর কথাটি কি একবারও ভেবেছি? প্রশ্নটা উঠছেই, কেননা, এই তো গত সপ্তাহে, ইংল্যান্ডের হার্ডফোর্ডশায়ারের একটি গ্রাম পুরো তিনদিনের জন্য ইন্টারনেট বিহীন হয়ে পড়েছিল। কেন? কারণ, কয়েকটি ইঁদুর ওখানকার ইন্টারনেটের তার চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছে! পত্রিকা বলছে, ইঁদুরের ঐ ভোজ-উৎসবের পরপরই পুরো এলাকা ইন্টারনেটহীন হয়ে ওখানকার পাঁচহাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জীবন-যাত্রা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। গোটা তিনেক আশ্চর্য-বোধক চিহ্ন সহযোগে পত্রিকার হেডলাইন: নো ইন্টারনেট ফর থ্রি ডেইজ!!! অবস্থা স্বাভাবিক করে তুলতে বেশ কয়েকজন ইঞ্জিনিয়ারকে দিনরাত কাজ করতে হয়েছে, পুরো তিনদিন লেগে গেছে ওখানকার অধিবাসীদের স্বাভাবিক (ডিজিটাল) জীবনে ফিরে আসতে। বিষয়টাকে ইংগিত করে হার্ডফোর্ডশায়ারের একজন প্রবীণ অধিবাসী (জাতির বিবেকের কাছে) খোলা প্রশ্ন রেখেছেন : এ ঘটনা থেকে আমরা শতভাগ ডিজিটাল হওয়ার বিপদাপদ বিষয়ে কী শিক্ষা নিতে পারি? প্রশ্নটার উত্তর আসতেও বেশি সময় লাগেনি। মেট্রোর ফোরামে একজন পাঠক উত্তর দিয়েছেন: ইঁদুর-বিড়াল-কুকুরকে ডিজিটাল বিষয়ে শিক্ষিত করে তুলতে হবে।

সত্যিই তো! মাইকেল শুমাখারের গতিতে ডিজিটাল পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যাবার সময় বয়সী-প্রজন্ম এর সংগে কতটুকু তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন- সেটা না হয় না-ই ভাবা গেল, কিন্তু ইঁদুর-বিড়াল-কুকুরদের কথা না ভাবলে যে চলছে না, সেটা দিব্যি পরিষ্কার!

লণ্ডন, ১১ আগস্ট, ২০২৩
লেখক: কথাসাহিত্যিক

সবচেয়ে বেশি পঠিত

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

গাজীউল হাসান খান ♦ আজকাল কোনো রাজনৈতিক কথা বলা কিংবা লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে হয়। কোনো ব্যাপারে বক্তা কিংবা লেখকের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি পক্ষ নির্ধারণের প্রবৃত্তি দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ বক্তা বা লেখক রাজনীতিগতভাবে কোন পক্ষের...

দেশ কারো একার নয়, দেশ সবার

গাজীউল হাসান খান ♦ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমাদের পূর্বপুরুষদের অর্থাৎ এই অঞ্চলের মানুষের হাজার বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে অবিভক্ত বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম হিসেবে আবির্ভূত হলেও এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে...

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

আমাদের হৃদযন্ত্রের কাজ হলো শরীরে রক্ত সঞ্চালন (পাম্প) করা। কার্ডিওভাসকুলার রোগ (সিভিডি) হৃদযন্ত্রের বা রক্তনালীগুলোর উপর প্রভাব ফেলে এবং এই রোগ বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যু ও মানুষের অসক্ষম (ডিসএবল) হয়ে পড়ার প্রধান কারণ। তাই আমাদের বোঝা প্রয়োজন- কীভাবে আমাদের...

বাংলাদেশ-চীন সুদৃঢ় বন্ধনে জড়ানো আবশ্যক

গাজীউল হাসান খান ♦ চীনের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত তার নিজ জাতীয় স্বার্থে কাজ করা, কোনো তৃতীয় পক্ষের জন্য নয়। কিন্তু পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব কাজ দেশের স্বার্থে করেননি,...

শীতকালীন সর্দি-জ্বর নয় – রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করুন

শীতকালীন সর্দি-জ্বর নয় – রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করুন

রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস সংক্ষেপে আরএসভি দ্বারা সৃষ্ট ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে প্রতি বছর আমাদের হাজার হাজার বয়স্ক মানুষ এবং শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন। এক্ষেত্রে আপনার কী জানা দরকার সে বিষয়ে জিপি ডাঃ মোহিত মন্দিরাদত্তা এবং ডা. ওজি ইলোজু ব্যাখ্যা করছেন। ডাঃ...

আরও পড়ুন »

 

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

ড. ইউনূসের আরো স্থায়িত্বের প্রশ্নে কিছু কথা

গাজীউল হাসান খান ♦ আজকাল কোনো রাজনৈতিক কথা বলা কিংবা লেখার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে হয়। কোনো ব্যাপারে বক্তা কিংবা লেখকের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই একটি পক্ষ নির্ধারণের প্রবৃত্তি দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ বক্তা বা লেখক রাজনীতিগতভাবে কোন পক্ষের...

দেশ কারো একার নয়, দেশ সবার

গাজীউল হাসান খান ♦ বাংলাদেশের স্বাধীনতা আমাদের পূর্বপুরুষদের অর্থাৎ এই অঞ্চলের মানুষের হাজার বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় পর্যায়ক্রমে অবিভক্ত বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম হিসেবে আবির্ভূত হলেও এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে...

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখুন

আমাদের হৃদযন্ত্রের কাজ হলো শরীরে রক্ত সঞ্চালন (পাম্প) করা। কার্ডিওভাসকুলার রোগ (সিভিডি) হৃদযন্ত্রের বা রক্তনালীগুলোর উপর প্রভাব ফেলে এবং এই রোগ বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যু ও মানুষের অসক্ষম (ডিসএবল) হয়ে পড়ার প্রধান কারণ। তাই আমাদের বোঝা প্রয়োজন- কীভাবে আমাদের...

বাংলাদেশ-চীন সুদৃঢ় বন্ধনে জড়ানো আবশ্যক

গাজীউল হাসান খান ♦ চীনের একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় নেতা সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশের উচিত তার নিজ জাতীয় স্বার্থে কাজ করা, কোনো তৃতীয় পক্ষের জন্য নয়। কিন্তু পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব কাজ দেশের স্বার্থে করেননি,...

শীতকালীন সর্দি-জ্বর নয় – রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করুন

শীতকালীন সর্দি-জ্বর নয় – রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি) থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করুন

রেসপিরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস সংক্ষেপে আরএসভি দ্বারা সৃষ্ট ফুসফুসের গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে প্রতি বছর আমাদের হাজার হাজার বয়স্ক মানুষ এবং শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন। এক্ষেত্রে আপনার কী জানা দরকার সে বিষয়ে জিপি ডাঃ মোহিত মন্দিরাদত্তা এবং ডা. ওজি ইলোজু ব্যাখ্যা করছেন। ডাঃ...

নতুন দল গণজাগরণের নয়া অধ্যায় রচনা করুক

গাজীউল হাসান খান ♦ ছাত্র-জনতার বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের অগ্নিগর্ভে যাদের জন্ম, তাদের কাছে রাজনীতিগতভাবে নির্যাতিত কিংবা শোষিত-বঞ্চিত মানুষের প্রত্যাশাটা একটু বেশি থাকাই স্বাভাবিক। গণ-আন্দোলন কিংবা বৃহত্তর অর্থে গণ-অভ্যুত্থানের আপসহীন প্রক্রিয়ায়, চরম আত্মত্যাগের মধ্য...