গাজীউল হাসান খান
আরব অধ্যুষিত মধ্যপ্রাচ্যের ফিলাসতিন, যাকে আমরা বলি ফিলিস্তিন, সেই অঞ্চল ভেঙে ১৯৪৮ সালে গঠিত হয়েছিল ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নবগঠিত জাতিসংঘের একটি ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৪৭ সালে ফিলিস্তিনের ভূমিতে ইহুদি ও আরবদের জন্য দুটি পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তখন ফিলিস্তিনের আরবরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে না নিলেও অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের ৭৫ বছর পর এখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইসরায়েলের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে মুক্ত হতে যাচ্ছে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন। এ ক্ষেত্রে সৌদিদের দাবি হচ্ছে, সৌদি পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন ছাড়াও ফিলিস্তিনের মুক্তির বিষয়টি মেনে নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে।
এটি ইসরায়েলের সঙ্গে উচ্চতর সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে সৌদিদের একটি পূর্বশর্ত। নতুবা তাদের মতে, মুসলিম বিশ্ব সৌদিদের সঙ্গে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সেই সম্পর্ক মেনে নেবে না। শুধু তা-ই নয়, মুসলিম বিশ্ব সৌদিদের সঙ্গে ভ্রাতৃসুলভ সম্পর্ক কিংবা কোনো ক্ষেত্রেই তাদের নেতৃত্ব মেনে নেবে না। সে কারণে মুসলিম বিশ্বকে আশ্বস্ত করতে সৌদিরা বলেছে, ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সংকট নিরসন ও মুক্তির ব্যাপারে তারা আরব লীগের পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্তমালা অনুসরণ করবে। নতুবা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ফলপ্রসূ সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব নয়। আর প্রকৃত অর্থে ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো অর্থবহ সমাধানের আগ পর্যন্ত কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের পক্ষে ইসরায়েলের সঙ্গে উচ্চতর সম্পর্ক স্থাপন কিংবা তাকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হবে না। এশিয়া মহাদেশের সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ এবং আফ্রিকার বহু দেশ এ ব্যাপারে একমত। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কিংবা কূটনীতির ক্ষেত্রে এখনো অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। তা ছাড়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও অনেকটা তেমনই অবস্থা। ফিলিস্তিনের ওপর থেকে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের দখলদারির অবসান ঘটাতে হবে। নতুবা ইসরায়েলের অবস্থান ও সম্পর্ক বিস্তারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আব্রাহাম চুক্তির মতো কোনো ব্যবস্থাই ফলপ্রসূ কিংবা কার্যকর হবে না। ইহুদিবাদী ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি, কূটনীতি ও বাণিজ্য ব্যবস্থা থেকে ক্রমে ক্রমে তিরোহিত হবে। ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্রমাগত সংঘাত, সংঘর্ষ কিংবা যুদ্ধবিগ্রহ, বিশেষ করে ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের একতরফা আক্রমণে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা এবং এমনকি সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় সম্প্রসারণবাদী ইসরায়েল। দখলকৃত পশ্চিম তীর এবং এমনকি জেরুজালেমে, বিশেষ করে আল-কুদস নামে খ্যাত পূর্ব জেরুজালেমের মসজিদ আল-আকসা ও ডোম অব দ্য রকসের চারপাশে ইহুদি জনগোষ্ঠীর জন্য অবৈধভাবে বসতি নির্মাণ এবং তা ক্রমাগতভাবে আরো বিস্তার করে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল, যা আন্তর্জাতিক আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ।
সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে গাজা ভূখণ্ডে জঙ্গি বিমানের মাধ্যমে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ হত্যা এবং বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। বিগত প্রায় পাঁচ দশক সাম্রাজ্যবাদী যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সাহায্য-সমর্থন পেয়েছে তারা। কিন্তু এখন অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। পশ্চিমা জগৎ নিজেই এখন অবক্ষয়ের মুখে পড়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সংকুচিত হতে শুরু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রভাব-প্রতিপত্তি। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে টিকে থাকতে হলে আরবদের সঙ্গে ইসরায়েলকে হাত মেলানোর পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও কোন্দলে তার রাষ্ট্রীয় কাঠামো ক্রমে ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এভাবে এ অবস্থাকে চলতে দিলে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তা-ই নয়, ইসরায়েলের কারণে মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে পাততাড়ি গুটিয়ে শিগগিরই বিদায় নিতে হতে পারে। সে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশন চলাকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকালে অতি দ্রুত ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান করে সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার পরামর্শ দিয়েছেন। নতুবা দেশীয় (ইসরায়েল) রাজনীতিতে নেতানিয়াহুর একগুঁয়েমি কিংবা ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রতার দায় বাইডেন গ্রহণ করবেন না বলে অনেক আগে থেকেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। জাতিসংঘ এবং এমনকি প্রেসিডেন্ট বাইডেনও ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অবৈধ বসতি বিচ্চার বন্ধের জন্য হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। ফিলিস্তিন সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য এবারও জাতিসংঘে জোর গলায় কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান, কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইরানের রাষ্ট্রপ্রধান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, বাংলাদেশের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাসহ অনেকে।
সৌদি আরব সরকার প্রায় তিন মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে তার পারমাণবিক শক্তি উন্নয়নে কিংবা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারে নীরবে-নিভৃতে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সৌদিদের পূর্বশর্ত একটিই, আর তা হচ্ছে আরব লীগের ঘোষণা অনুযায়ী ফিলিস্তিনের অবরোধ মুক্তি। ১৯৬৭ সালে সংঘটিত ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের দখলকৃত ভূমি অবমুক্ত করা, গোলান মালভূমির দখল ত্যাগ করা এবং অবৈধ বসতি নির্মাণ বন্ধ করা। নতুবা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে, সৌদিরা সেখান থেকে সরে যাবে। কারণ চীন ও রাশিয়া ছাড়াও ইরান, তুরস্কসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্ব এই বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
ফিলিস্তিনের অবরোধ মুক্তির ব্যাপারে সৌদি আরবের ন্যূনতম কোনো ছাড় গ্রহণযোগ্য হবে না তাদের কাছে। এমনকি ফিলিস্তিন নিজেও তেমন কোনো উদ্যোগ বা প্রস্তাবে রাজি হবে না বা সমগ্র মুসলিম বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ এই বিষয়টি নিয়ে ৫০ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে তারা। সেই পথ ধরেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে তার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে। ফিলিস্তিনে নিয়োগপ্রাপ্ত সৌদি অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত নায়েফ বিন বান্দার আল সৌদারি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের প্রধান মাহমুদ আব্বাসের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিম তীরে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ডামাডোল কিংবা চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইরান সম্পর্ক জোড়া লাগানোর আনুষ্ঠানিকতাকে কেন্দ্র করেই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তার অবস্থানকে ধরে রাখার জন্য ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্কোন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।
ইসরায়েলকে রাজি করেই যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে পারমাণবিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী করতে রাজি হয়েছে। এতে ইরান, তুরস্ক ও মিসর যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়েছে। তবে সৌদিদের বক্তব্য হচ্ছে, ইরান পারমাণবিক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হলে আমাদের প্রতিরক্ষার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না কেন? তবে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে সৌদিদের সামনে একমাত্র বাধা হচ্ছে ফিলিস্তিনের মুক্তির বিষয়টি। কারণ এ ক্ষেত্রে সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ। আর মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) বর্তমান নেতা হচ্ছে সৌদি আরব। সেই কারণে সৌদিরা যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান কূটনৈতিক উদ্যোগের সূচনায়ই প্রকাশ করেছে যে তারা ফিলিস্তিন ইস্যুকে পাশ কাটিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ব্যাপকভিত্তিক কর্মসূচিতে যাবে না। তবে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থানগত স্বার্থের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
তা ছাড়া প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মতে, ফিলিস্তিন সমস্যার একটি ন্যায়সংগত সমাধান ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্যও এখন একটি অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ১৯৪৮ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণার পর থেকে বিগত ৫০ বছর স্থায়ী সংঘাত, সংঘর্ষ ও যুদ্ধবিগ্রহের ফলে ইসরায়েলের ইহুদিরা (সংখ্যাগরিষ্ঠ) এখন অত্যন্ত অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার পরও রয়েছে কট্টরপন্থী ইহুদিবাদীদের ঘন ঘন সরকার পরিবর্তনের প্রবৃত্তি। দেশের আইন পরিবর্তন করে ইসরায়েলে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। কিন্তু তাতে ফুঁসে উঠেছে দেশের বিশাল গণতন্ত্রমনা জনগোষ্ঠী। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইসরায়েলের ব্যাপক শিক্ষিত ও গণতন্ত্রমনা মানুষের কাছে স্থান হচ্ছে না নেতানিয়াহুর। এমন একটি অবস্থায় শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলের অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে টিকে থাকতে হলে ইসরায়েলের একটি ব্যাপক পরিবর্তন আবশ্যক বলে রাজনৈতিক ওয়াকিফহাল মহলের বিশ্বাস।
উপরোল্লিখিত বিভিন্ন কারণে তথ্যাভিজ্ঞ মহলের ধারণা, শিগগিরই ফিলিস্তিন একটি মুক্তির আলো দেখতে পারে। কেউ কেউ বলেন, সেটি আগামী ছয় মাসের মধ্যেও সম্ভব হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই জো বাইডেন ফিলিস্তিনের মুক্তিকে বাস্তবে রূপায়িত করতে পারেন। এতে তিনি দেশবাসী ও বিশ্বকে তাঁর পররাষ্ট্রনীতির সাফল্য দেখাতে পারেন। আর তাতে রাজি না হলে যুক্তরাষ্ট্রের পোষ্য রাষ্ট্র ইসরায়েলের অচ্চিত্ব বিপন্ন হতে পারে। ইসরায়েল থেকে ইহুদিরা আবার বিশ্বের বিভিন্ন ঠিকানায় পাড়ি জমাতে পারে। অতি দ্রুত স্থানান্তরিত হতে পারে ইহুদিদের ব্যবসা-বাণিজ্য। এসব নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী ইহুদিদের মধ্যে চলছে ব্যাপক আলাপ-আলোচনা ও তর্কবিতর্ক। অন্যদিকে সৌদিদের সঙ্গে তুরস্ক, ইরানসহ ফিলিস্তিনের মুক্তির ব্যাপারে চলছে নানা উদ্যোগ ও জল্পনাকল্পনা।
তা ছাড়া ফিলিস্তিনের জেনিনসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনবাসীর প্রতিরোধ আন্দোলন ক্রমে ক্রমে এখন সশস্ত্র রূপ লাভ করছে। সে জন্য জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন যথেষ্ট শঙ্কিত হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনকে নিয়ে। সৌদি, তুরস্ক, ইরান ও কাতারের কারণে গাজা উপত্যকার সশস্ত্র হামাস ও ইসলামিক জিহাদ কিংবা ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তের হিজবুল্লাহ গেরিলারা এখনো সংযত রয়েছে। কিন্তু তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে বেশি সময় লাগে না। ফিলিস্তিনের মুক্তি না আসা পর্যন্ত ইসরায়েলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। এ অবস্থায় আর কত কাল? এটিই যুক্তরাষ্ট্র ও বিশেষ করে ইসরায়েলের ইহুদিদের মধ্যে এখন তুমুল আলোচনার বিষয়। ০৪ অক্টোবর ২০২৩ লেখক: বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ‘প্যালেস্টাইন- এক সংগ্রামের ইতিহাস’ গ্রন্থের প্রণেতা