পত্রিকা প্রতিবেদন ♦
লণ্ডন, ১৪ নভেম্বর: র্যাবের সংশ্লিষ্টতায় সিলেটে অপহরণ চেষ্টার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আজিজুল মালিক চৌধুরী। সিলেট সিএমএম আদালতে একটি মামলার হাজিরা শেষে ফেরার পথে ওই আদালত চত্বর থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তিনি অপহরণের হাত থেকে রক্ষা পান। পরবর্তীতে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের হস্তক্ষেপের পর এনিয়ে পুলিশ-র্যাব তৎপর হয়।
গত শুক্রবার (১১ নভেম্বর) লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই অপহরণ চেষ্টা এবং এর থেকে বেঁচে ফেরার বিস্তারিত তুলে ধরেন আজিজুল মালিক চৌধুরী। গত ১৭ অক্টোবর এই ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি। ঘটনার সঙ্গে র্যাব যুক্ত থাকার অভিযোগ করে তিনি বলেন, সাদা পোশাকে ১০-১২ জন লোক তাঁকে ঘিরে ধরে। এদের মধ্যে ৫-৬ জন ছিলেন হেলমেট পরা। পরিচয় জানতে চাইলে ওই লোকেরা নিজেদের র্যাবের লোক বলে দাবি করে। তখন তিনি তাঁকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চান। কিন্তু তাঁকে জোরপূর্বক হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যেতে চায় আটককারীরা। তিনি তখন চিৎকার শুরু করলে আদালত প্রাঙ্গন ও এর আশপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এলে অপহরণকারীরা তাঁকে একটি রাস্তায় রাখা সিএনজির সাথে বেঁধে ফেলে। জনতার ভিড় থেকে অপহরণকারীদের লক্ষ্য করে ‘ধরো ধরো’ আওয়াজ উঠতেই নিজেদের রক্ষা করতে এদের মধ্যে দ্রুত দুজন র্যাবের পোশাক পরে নেন। এ সময় অপহরণকারী দলের অনেকেই পালিয়ে যায়। শুধুমাত্র চারজন নিজেদের র্যাব-৯ এর সদস্য দাবী করে। পুলিশ ডেকে তাঁকে কতোয়ালী থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা অভিযোগ খুঁজে পায়নি। তবুও একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে তাঁকে ছাড়া হয়। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সংবাদ সম্মেলনে লোকজনের ধারণ করা ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রদর্শন করেন তিনি। আজিজুল মালিক চৌধুরী দাবি করেন, অপহরণচেষ্টার সাথে জড়িতরা তাঁর পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কিছুই করেনি। যুক্তরাজ্যে চাকরিজীবী আজিজুল মালিক চৌধুরী ফরেস্ট গেট এলাকার বাসিন্দা। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় এবং ভাইদের মধ্যে বড়। সিলেটে বাড়ি জালালাবাদ থানার হাওলাদার পাড়ায়। আজিজুল মালিক চৌধুরী জানান, মায়ের সম্পত্তি নিয়ে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে তাঁদের একটি বিরোধ আছে। ভুয়া ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিয়ে সিলেট আকালিয়া হাওলাদার পাড়ায় তাঁর মায়ের একটি জায়গা দখল করে ফেলেছে তাঁর খালাতো ভাই। ওই জায়গার দাম প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা। যে কারণে তিনি ৮ মাস আগে খালাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাক রাজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে একটি মামলা করেন। একই বিষয়ে বছর খানেক আগে একটি স্বত্ত্ব মামলাও করেছে তিনি। সিলেট সিএমএম আদালতে জমি সংক্রান্ত ওই মামলার শুনানী ছিলো ১৭ অক্টোবর। যে কারণে ৮ অক্টোবর তিনি বাংলাদেশে গিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আজিজুল মালিক বলেন, ১৭ অক্টোবর আদালতের কাজ শেষে আসামী আব্দুর রাজ্জাক রাজন ও তাহার ভাগিনা তারেকুর রহমান রাফিসহ তাহাদের সঙ্গে থাকা ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তাঁকে অনুসরণ করে। আদালতের ভেতরের রাস্থায় গালিগালাজসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তিনি ভয়ে আদালতের পূর্ব দিকের গেইটে যাওয়া মাত্র ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা লোক তাঁকে ঘেরাও করে ফেলে। সেখানে হেলমেট পরা অবস্থায় রাজন ও তাঁর ভাগিনাও ছিলেন বলে দাবি করেন আজিজুল। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা নিজেদের র্যাব-৯ এর সদস্য দাবী করে তাঁকে মারধর করে। তখন বিকাল আনুমানিক ৪টা। র্যাব-৯ এর সদস্য পরিচয়ধারী দুজন তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে রিভার ভিউ রেস্টহাউসের সামনে টানাহেঁচড়া করে নিয়ে যায়। সেখানে একটি সি.এন.জি অটোরিক্সায় হাতকড়া দিয়ে আটকে রাখে। তাঁকে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয় এবং মুখ চাপা দিয়ে ধরে দুই কানে আঘাত করতে থাকে। কিন্তু তাঁর চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন ও পথচারীরা এগিয়ে এসে অপহরণকারীদের ঘিরে ফেলে। জড়ো হওয়া জনতা তাঁকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চায়। কিন্তু নিজেদের র্যাব সদস্য দাবিকারীরা এর কোন জবাব দিতে পারেননি, কোনোও কাগজ দেখাতে পারেনি। আজিজুল মালিক চৌধুরী বলেন, অপহরণের ওই ঘটনা নিয়ে তিনি কতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ নেয়ার দাবি করেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনার দিন সেটি নেয়নি। এরপর আরও তিনবার অপহরণের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ লেখাতে তিনি কতোয়ালি থানায় গিয়েছেন বলে জানান। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে তাঁকে চুপচাপ থাকার পরামর্শ দেয়। তিনি দাবি করেন, একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাঁকে বলেছেন, ঘটনার সাথে র্যাব জড়িত থাকতে পারে। ফলে মামলা নিলে র্যাবের সাথে পুলিশের একটা ঝামেলা তৈরি হতে পারে। সেজন্য হয়তো ওসি সাহেব মামলা নিতে চাচ্ছেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীর পরামর্শে তিনি গত ২৬ অক্টোবর সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিট্রেটের (এসিএমএম) আদালতে মামলা করেছেন। মামলার নম্বর- কতোয়ালি সিআর-১৬০৫/২০২২। এতে তাঁর খালাতো ভাই আব্দুর রাজ্জাক রাজন এবং রাজনের ভাগিনা তারেকুর রহমান রাফিসহ আরও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামাদের মধ্যে চারজন র্যাব সদস্য বলে মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩১ অক্টোবর এই অপহরণ চেষ্টা মামলার শুনানী হয়। এতে সিএমএম আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কতোয়ালি থানায় ওসিকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছে।
এই অপহরণের ঘটনা নিয়ে শুরুতে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাননি দাবি করে আজিজুল বলেন, একজন ব্রিটিশ নাগরিক হিসেবে তিনি বিষয়টি ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনকে জানান। তাঁর অনুরোধে ব্রিটিশ হাইকমিশন থেকে সিলেটের পুলিশ কমিশনারকে তাঁর নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়। এরপর ২৬ অক্টোবর পুলিশ কমিশনার আজিজুল মলিককে ঢোন করেন। একই দিন র্যাব-৯-এর সেকেণ্ড ইন কমাণ্ড মেজর আরাফাত মোবাইলে ফোন করে তাঁর সাথে যোগাযোগ করেন। ওইদিন বিকাল ৫টা নাগাদ পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় আজিজুল মালিকের রেস্টুরেন্টে এসে দেখা করেন মেজর আরাফাত। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে যাথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন ওই র্যাব কর্মকর্তা। আজিজুল মালিক চৌধুরী বলেন, আমি একজন লণ্ডন প্রবাসী। আমার মতো আরোও হাজার প্রবাসী বিদেশে কাজ করে দেশে অর্থ পাঠায়। অথচ আমাদের জান-মালের কোন নিরাপত্তা দেশে নাই। একটি স্বাধীন দেশে বিনা কারণে হয়রানির শিকার হবো আর প্রাণের ভয়ে ভীত থাকবো- এটা কোন সভ্য সমাজে হতে পারে না। প্রশাসনের ছত্র-ছায়ায় এসব অবকর্ম মানা যায় না। যারা আমাদের নিরাপত্তা দেয়ার কথা তাদের সহযোগিতায় আমাদের হয়রানি করা হয়। এই পরিস্থিতির অবসান দরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট র্যাপিড একশন ব্যাটলিয়ন (র্যাব-৯)-এর সেকেণ্ড ইন কমাণ্ড মেজর এস এম আরাফাত সোমবার সাপ্তাহিক পত্রিকাকে বলেছেন, প্রবাসী আাজিজুল মালিককে অপহরণ চেষ্টার যে অভিযোগ র্যাব-৯ এর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। র্যাব-৯ সদস্যরা নিয়মিত ওয়ারেন্ট তামিলের অংশ হিসেবে গোপনসূত্রে জানতে পেরে নগরীর বন্দরবাজার এলাকা থেকে আজিজুল মালিক চৌধুরীকে আটক করেন। পরে, তাকে পুলিশী হেফাজতে রেখে ওয়ারেন্টটি পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায়, যে ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে র্যাব সদস্যরা আজিজুল মালিক চৌধুরীকে আটক করেছিলেন, তার কার্যকারিতা বহু আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ ঐ মামলায় জামিন নিয়েছিলেন আজিজুল মালিক। ফলে, তাৎক্ষণিকভাবে র্যাবের আভিযানিক দলের সদস্যরা দুঃখপ্রকাশ করেন এবং আজিজুল মালিককে তার আত্মীয়স্বজনের জিম্মায় হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে, আজিজুল মালিক তাকে অপহরণের চেষ্টার বিষয়ে র্যাব-৯ এর কমাণ্ডিং অফিসার বরাবরে লিখিতভাবে আবেদন করলে আমি ব্যক্তিগতভাবে তার সাথে সাক্ষাৎ করি এবং জানাই যে, নিছক ভুল বুঝাবুঝির প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছিল।
মেজর আরাফাত আরো জানান, ঘটনার বিষয়ে র্যাব সদর দপ্তরও অবগত আছে এবং এ বিষয়ে সদর দপ্তর থেকেও তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে র্যাব-৯ এর কোন সদস্যের গাফিলতি পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানার জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ সাথে সোমবার যোগাযোগ করা হলে তিনি সাপ্তাহিক পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাটি লিখিতভাবে আমাকে সংশ্লিষ্ট ভূক্তভোগী জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য আমি আমার কার্যালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেছি। ঘটনায় পুলিশের কোন কর্তব্য অবহেলা আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ভূক্তভোগী আজিজুল মালিক চৌধুরী তার নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের সহযোগীতা চেয়েছেন, যা নিশ্চিত করতে আমি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। কমিশনার বলেন, শুধু আজিজুল মালিক নন, কোন প্রবাসী যাতে দেশে এসে হয়রানীর শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সচেতন রয়েছে। সিলেট কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহমুদ জানান, ঘটনাটি ঘটেছে কোতয়ালী থানার বন্দরবাজার পুলিশফাঁড়ির একেবারে সামনেই। প্রবাসী আজিজুল মালিক ঘটনার সময় তাৎক্ষণিক সহযোগিতা চাইলে বন্দরবাজার পুলিশফাঁড়ির সদস্যরা তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। র্যাব সদস্যরা তাকে নিয়ে কোতয়ালী থানায় আসেনি, বরং বন্দরবাজার পুলিশফাঁড়িতে যায় এবং তাঁর বিরুদ্ধে থাকা ওয়ারেন্টের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চায়। পরবর্তীতে প্রবাসী আজিজুল মালিক ঐ মামলায় জামিনে আছেন এবং জামিন সংক্রান্ত রিকলের কপি র্যাব সদস্যদের দেখান। ফলে, র্যাব সদস্যরা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর না করে তার আত্মীয়স্বজনের জিম্মায় ছেড়ে দিয়ে যায়।
ওসি জানান, প্রবাসী আজিজুল মালিকের কাছে থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনরূপ মুচলেকা বা জিম্মানামা বা সাদাকাগজে স্বাক্ষর কোন কিছুই রাখা হয়নি। তিনি বলেন, পরবর্তীতে আজিজুল মালিক এ ঘটনায় মামলা দায়ের করতে চাইলে যেহেতু ঘটনার সাথে অন্য একটি বাহিনীর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তাই আমরা থানায় মামলা না নিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দেই। ফলে, আজিজুল মালিক সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি সি.আর মামলা দায়ের করেছেন। আজিজুল মালিক এই মামলায় তার কতিপয় আত্মীয়স্বজন কর্তৃক র্যাব সদস্যদের সহায়তায় অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন, যা কোতয়ালী থানার একজন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে আজিজুল মালিক চৌধুরী পত্রিকাকে বলেন, তাঁর খালাতো ভাই তাকে হয়রানি করার উদ্দেশে তিনি এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের আগস্টে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। তাঁর মা আমেরিকায় থাকেন আর তিনি লণ্ডনে। দেশে না থাকায় তখন তিনি এবং তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হয়ে যায়। ফলে তখন দ্রুত বাংলাদেশে গিয়ে আদালতে হাজিরা দিয়ে সেটি মোকাবেলা করেন। মিথ্যা মামলা বিবেচনায় পরে কোর্ট ওই অভিযোগ খারিজ করে দেয়। এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়ে পত্রিকার পক্ষ থেকে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনে ইমেইল করা হয়েছে। তবে এ প্রতিবেদন তৈরীর সময় পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।