লণ্ডন, ৫ ডিসেম্বর: এক এক করে গৌরবময় বিজয়ের ৫০ পার করে ৫১ বছরে পদার্পণ করল আমাদের এই মাতভূমি। ১৯৭১ সালে এ মাসে সমগ্র জাতি এক সাগর রক্তের বিনিময়ে মুক্ত করে এই দেশকে। বিজয়ের এ মাসের সাথে জড়িয়ে আছে কোটি মানুষের আবেগময় স্মৃতি। বিশেষ করে যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, বিজয় দেখেছেন। গোটা বিজয়ের মাসই তাদের কাছে একটি পরম পাওয়ার মাস। বাঙালি জাতির বীরত্ব, সাহসিকতা এবং ত্যাগের উজ্জ্বল মহিমায় ভাস্বর এ মাসটি। এ মাসে জাতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সেই সব বীর সেনানির উদ্দেশে, যারা শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার লক্ষ্যে অবতীর্ণ হয়েছিলেন সর্বস্ব ত্যাগের লড়াইয়ে। এ অঞ্চলের বঞ্চিত-শোষিত মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিকে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী সেদিন বন্দুকের ক্ষমতাবলে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। আলোচনার টেবিলে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ পরিত্যাগ করে তারা বন্দুকের নল আর কামানের গোলা বেছে নিলো সমাধানের উপায় হিসেবে। যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হলো আমাদের ওপর। ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র ঘুমন্ত মানুষকে নির্বিচারে হত্যায় মেতে উঠল অস্ত্রের জোরে বলীয়ান পশ্চিম পাকিস্তানের তৎকালীন হঠকারী সামরিক জান্তা। শুরু হলো মুক্তির লড়াই, মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য। ৯ মাসের অসম যুদ্ধ শেষে এ ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা নামক পরম পাওয়া ধরা দেয় এ দেশের মানুষের কাছে। বিজয়ের মাস এলে পাওয়া না পাওয়ার নানা হিসাব আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। এ অঞ্চলের মানুষের চাওয়া খুব বেশি ছিল না পশ্চিম পাকিস্তানের কাছে। দাবী ছিলো, আমাদের যেটুকু পাওনা সেটুকুই আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হোক। বৈষম্য ও শোষণ বন্ধ করা হোক। কিন্তু যে স্বপ্ন সাধ ও আকাঙক্ষা থেকে একটি স্বাধীন দেশের জন্য সে দিন মুক্তিকামী মানুষ জীবনের মায়া তুচ্ছ করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তা যেন আজ অনেকটা ম্লান।
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
গাজীউল হাসান খান ♦ নিয়তি বলে যে কথাটি প্রচলিত রয়েছে, রাজনীতির ক্ষেত্রে তা কতটুকু প্রভাব ফেলে, আমার জানা নেই। পশ্চিমা জগতের কট্টরবাদী রাজনীতিক, যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্র পরিচালনায় এখন বহুমুখী অনভিপ্রেত চাপের মুখে নিয়তির খেলায় গা...