লণ্ডন, ৮ জানুয়ারি: সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ২৯ ডিসেম্বর বিকালে লণ্ডনের ব্রিকলেন জামে মসজিদের ২য় তলার হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্খীরা এতে অংশগ্রহণ করেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতিণ্ড মো. আহবাব মিয়া। সভা পরিচালনা করেন জেনারেল সেক্রেটারি ছানাওর আলী কয়েছ। ধর্ম বিষয়ক সেক্রেটারি ক্বারী মাওলানা মো. আবু সাদেকের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভার কাজ শুরু হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আহবাব মিয়া, জেনারেল সেক্রেটারি ছানাওর আলী কয়েছ, প্রধান উপদেষ্টা জামাল উদ্দীন মকদ্দুছ, সহসভাপতি কামরুজ্জমান চৌধুরী, সাবেক সভাপতি কাউন্সিলার ইকবাল হোসেন ভিপি, সহসভাপতি ব্যারিস্টার মিসবাহুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট নূরুল আমিন ও আব্দুর রব, সহসভাপতি খালেদ কামালী, সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, সহসভাপতি আবুল হাসনাত কয়েছ, উপদেষ্টা আলাউদ্দীন আহমদ মুক্তা, উপদেষ্টা আবু সুফিয়ান চৌধুরী ও রেদওয়ান খান, মিজানুর রহমান হিরু, উপদেষ্টা জগম্বর আলী, জয়েন্ট সেক্রেটারি আবুল মুনসুর রুমেল, ধর্ম বিষয়ক সেক্রেটারি ক্বারী মাওলানা মো. আবু সাদেক, জয়েন্ট সেক্রেটারি জুয়েল আহমদ, নির্বাচন কমিশন সদস্য আব্দুস সোবহান ও এডভোকেট আব্দুল মতিন, নির্বাচন কমিশন সদস্য মিলন আহমদ ও ইসি মেম্বার আব্দুল করিম নান্নু।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মহান বিজয় দিবস হলো বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যত্থান, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন আজ। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানী, সকল সেক্টর কমাণ্ডারসহ শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা, সম্ভ্রমহারা মাবোনদের, দেশবিদেশে অবস্থানরত বীর মুক্তিযাদ্ধা, জনগণ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ যারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন বক্তারা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি