পত্রিকা ডেস্ক ♦
লন্ডন, ১৬ জানুয়ারি: বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি ও প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে দিতে হবে। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে মসলাজাতীয় পণ্য, তৈরি পোশাক ও শাকসবজি রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ আছে, তাই সেটাও বাড়াতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে তিনটায় সিলেটে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে নগরের জেলরোড এলাকার চেম্বার ভবনে এ সভা হয়। সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) সভাপতি সাইদুর রহমান বক্তব্য দেন।
বিবিসিসিআইয়ের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে বসবাসরত আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেক স্মার্ট। তাঁরা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করছেন। তাঁদের বাংলাদেশের প্রতি উৎসাহিত করতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ সাইদুর রহমান আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন অভূতপূর্ব। এখনকার বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশের মধ্যে তফাত স্পষ্ট। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে। দেশের অর্জনগুলো আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে পারলেই এখানে অনেকে বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন। সিলেটকে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে তাহমিন আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলেছে। সিলেটে বিনিয়োগের এখন অনেক ক্ষেত্র আছে। এর মধ্যে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক উল্লেখযোগ্য। প্রবাসীরা বিনিয়োগে উৎসাহী হলে সিলেটে প্রবাসীদের জন্য একটি এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন গড়ে তোলা যাবে। সেখানে প্রবাসীরা রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবেন। প্রবাসীরা সিলেটে বিনিয়োগে উৎসাহিত হলে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তাহমিন আহমদ। এ সময় তিনি বিবিসিসিআই ও সিলেট চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে সিলেটে একটি আন্তর্জাতিক মানের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে দেশি ও প্রবাসী ব্যবসায়ী নেতা ওয়ালি তছর উদ্দিন, আহমেদ-উস-সামাদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হক, মিজানুর রহমান, মোস্তফা আহমেদ, মো. হিজকিল গুলজার, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, আবু তাহের মো. শোয়েব, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী, দেবাংশু দাস, কাজী মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সারোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।