লন্ডন, ১১ মে: সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসীদের ব্যাগেজ খালাসের কার্যক্রম পুনরায় চালুর জোর দাবি জানিয়েছে ‘অল ব্রিটিশ-বাংলাদেশী কার্গো এজেন্ট। গত ১ মে সোমবার বিকেলে লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অল বৃটিশ-বাংলাদেশী কার্গো এজেন্ট এর জেনারেল সেক্রেটারি মিঠু পাল। এসময় বক্তব্য রাখেন ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ, স্মার্ট কার্গোর স্বত্বাধিকারী রাহিন আহমদ, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট বশির আহমদ, হিলসাইড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী হেলাল খান ও যুবলীগ নেতা জামাল খান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, যুক্তরাজ্যসহ মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রে এক কোটিরও অধিক সংখ্যক প্রবাসী বসবাস করছেন। শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যে বর্তমানে সাত লাখের অধিক বাঙালী বসবাস করেন। এর মধ্যে আমাদের সিলেট বিভাগের পাঁচ লক্ষ প্রবাসী রয়েছেন। বাংলাদেশ হাই কমিশন যুক্তরাজ্যের তথ্য অনুযায়ী কোভিড পরবর্তী সময়ে প্রতি বছর ২ বিলিয়নেরও অধিক রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়ে আসছেন প্রবাসীরা। মধ্যপ্রচ্যের বাইরে শুধুমাত্র বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান একমাত্র প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কথা চিন্তা করে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের লণ্ডন এবং ম্যানচেষ্টার থেকে সরাসরি সিলেট এবং ঢাকাতে ৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে। যার মধ্যে ৯০ শতাংশ যাত্রী সিলেটের। বিগত ১০ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায় যে, আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধারা যখন নাড়ির টানে বাংলাদেশে যাতায়াত করেন তখন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা ভ্রমণকালীন সময়ে প্রিয়জনদের জন্য ব্যক্তিগত ব্যবহারযোগ্য জিনিস এবং উপহার সামগ্রী নিয়ে থাকেন।
যার ফলে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিমান এবং বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ড কোটি কোটি টাকা রেমিট্যান্স অর্জন করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হল যে, কোভিড পরবর্তীকালীন সময় থেকে বাংলাদেশের রাজস্ব বোর্ড এবং কিছু সংখ্যক কাষ্টমস কর্তৃক্ষের অসহযোগিতার কারণে প্রবাসীরা তাদের ন্যায্য অধীকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ নিয়ম থাকা সত্তে¡ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে অঘোষিতভাবে ২০২০ সাল থেকে সিলেট ওসমানি বিমানবন্দরে ব্যাগেজ খালাসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ হাই কমিশনসহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রী এবং যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এতে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। চালুর দাবি লিখিত বক্তব্যে সিলেট বিমানবন্দরের ব্যাগেজ খালাস ব্যবস্থা পুনরায় চালুর জন্য সংবাদিকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সিলেটবাসীর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। শুধু সিলেটের কথা চিন্তা করে আমাদের প্রবাসীদের পক্ষ থেকে অতীতে সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীকে এবং বর্তমানে সিলেট-৩ আসনের এমপি মো. হাবিবুর রহমানসহ সবার অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তি অনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে সিলেটের মেয়র নির্বাচনে মনোনোয়ন দিয়েছেন যা প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য বড় সম্মানের এবং বিরল দৃষ্টান্ত। সিলেটের প্রবাসীসহ সকল রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কথা মাথায় রেখে প্রবাসীদের ভোগান্তি লাঘব ও সরকারের রাজস্ব আয় এবং বাংলাদেশের সি এণ্ড এফ এজেন্ট কর্মীদের জীবিকার কথা বিবেচনা করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবাসী ব্যাগেজ খালাস পুনরায় চালু করার অনুরোধ জানানো হয়?সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি