লণ্ডন, ১৩ মে: বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রবাসীদের এনআইডি ও পাওয়ার অব এটর্নি প্রদান সহজতর করার দ্রæত উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকে’র একটি প্রতিনিধি দল গত ৮ মে লণ্ডন সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে তাঁর হোটেল কক্ষে দেখা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বিশিষ্ট অ্যালামনাই। সৌজন্যসভায় প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করেন। নেতৃবৃন্দ অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের সাম্প্রতিক কার্যক্রম সম্পর্কেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। ড. মোমেন বলেন, বর্তমান সরকার দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং রাষ্ট্রীয় ও সমাজ জীবনে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি সুদৃঢ় করতে কাজ করছে।
তিনি ২০০৮ সালে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার পর যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নর বর্ণনা দিয়ে দাবী করেন যে, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অব্যাহত আছে বলেই দেশ এগিয়ে যেতে পারছে। তাই কোন অজুহাতেই যেন অনির্বাচিত কোন শক্তি দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় না আসতে পারে সে বিষয়ে প্রবাসীদের সজাগ থাকার আহবান জানান। তিনি লণ্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের কনস্যুলার সেবার মান উন্নয়ন, প্রবাসীদের এনআইডি ও পাওয়ার অব এটর্নি প্রদান সহজতর করার জন্য দ্রæত উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। তিনি লণ্ডন-সিলেট/ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার দাবীর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সফলভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে “দ্বৈত শতবার্ষিকী” পালন এবং বিপ্লবী লীলা নাগের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্থাপনার নামকরণের সফল ক্যাম্পেইনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যলামনাই ইন দ্য ইউকের সদস্যদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। উল্লেখ্য, অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বছরের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী বিপ্লবী লীলা নাগের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পরীক্ষা হলের নামকরণ করেন। সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন অন্যতম সহসভাপতি মিসবাহ উদ্দীন ইকো, যুগ্ম সম্পাদক সলিসিটর সৈয়দ ইকবাল, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ এনামুল হক, যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহারুন আহম্মদ মালা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার মিজানুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রীপা সুলতানা রকিব, প্রচার সম্পাদক সৈয়দ এনামুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক এরিনা সিদ্দিকী সুপ্রভা, কার্যকরি সদস্য সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান, মারুফ আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক এবং সাংস্কৃতিক উপকমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল মিলন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি