লণ্ডন, ১০ এপ্রিল: যুক্তরাজ্যে উপাত্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে চীনা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটককে ১ কোটি ২৭ লাখ পাউণ্ড জরিমানা করেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনারের কার্যালয় গত সপ্তাহে জানিয়েছে, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করেছে টিকটক।
মা-বাবার অনুমতি ছাড়া ১৩ বছরের কম বয়সী শিশুদের ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করছে। এ ছাড়া শিশুদের টিকটক ব্যবহার বন্ধ ও তাদের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতেও যা করা প্রয়োজন, তা করছে না। ২০২০ সালের হিসাবে বয়সসীমার বিষয়টি নিয়ে টিকটক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাজ্যে ১৪ লাখের বেশি ১৩ বছরের কম বয়সী শিশু প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী এ বয়সী শিশুরা টিকটক ব্যবহার করতে পারার কথা নয়। তথ্য কমিশনারের কার্যালয় বলেছে, যুক্তরাজ্যের উপাত্ত সুরক্ষা আইনে শিশুর ইন্টারনেট ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে শিশুদের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিভাবকদের অনুমতি নিতে হয়। উপাত্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে টিকটককে জরিমানা করার বিষয়টি জানিয়ে তথ্য কমিশনার জন এডওয়ার্ডস বলেন, ‘সাধারণ দুনিয়ার মতো ডিজিটাল-দুনিয়াতেও আমাদের শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে আমাদের দেশে আইন রয়েছে। কিন্তু টিকটক এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের বিদ্যমান এসব আইন মেনে চলছে না।’ জন এডওয়ার্ডস আরও বলেন, ‘টিকটকেরই এটা ভালো জানা উচিত। টিকটক আরও ভালো কিছু করতে পারত। তাদের যে বড় ধরনের ব্যর্থতা আছে, এ জরিমানা তাই তুলে ধরেছে। কারা টিকটক ব্যবহার করছে এবং কম বয়সী যেসব শিশু ব্যবহার করছে, তাদের অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়নি টিকটক।’ উপাত্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাজ্যের জরিমানা করার প্রতিক্রিয়ায় টিকটকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘যাদের বয়স ১৩ বা এর বেশি, তাদের জন্যই টিকটক। কম বয়সী শিশুরা যাতে টিকটক ব্যবহার করতে না পারে, এ জন্য আমরা কাজ করছি। বিষয়টি নিশ্চিতে আমাদের ৪০ হাজার কর্মী নিরলস কাজ করছেন।’ যুক্তরাজ্যের মতো একই অভিযোগে ২০১৯ সালে টিকটককে ৫৭ লাখ ডলার জরিমানা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন। সে সময় টিকটককে করা এটা ছিল সর্বোচ্চ জরিমানা। এ ঘটনার পর টিকটক প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল, তারা শিশুর বিষয়টিতে উন্নতি ঘটাবে ও কম বয়সীদের যথোপযুক্ত কনটেন্ট প্রদর্শন করবে। ুু ১৪ মাদক ব্যবসায়ী তিন জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড পত্রিকা ডেস্ক লণ্ডন, ১০ এপ্রিল: টাওয়ার হ্যামলেটস, হ্যাকনি এবং ইসলিংটন জুড়ে ড্রাগ লাইন পরিচালনাকারী তিন মাদক ব্যবসায়ীকে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে ‘আইস’ ড্রাগ লাইন চালানোর জন্য এই চক্রটিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) স্ন্যায়ার্সব্রæক ক্রাউন কোর্টে টাওয়ার হ্যামলেটসের অ্যারো রোডের সুমন মিয়াকে (২৫) ক্র্যাক-কোকেইন সরবরাহের ষড়যন্ত্র, হেরোইন সরবরাহের ষড়যন্ত্র এবং অপরাধমূলক সম্পত্তি দখলের দায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই অভিযোগে কিলিক ওয়ে এলাকার নাসির আহমেদকে (২৪) সাড়ে সাত বছরের এবং স্টেপনি ওয়ে এলাকার সুহান আহমেদকে (২৪) পাঁচ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এর আগে জানুয়ারি ও ফেব্রæয়ারি জুড়ে আদালতে পাঁচ সপ্তাহের শুনানী শেষে আদালত এতে দোষী সাব্যস্ত করে। পুলিশ ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের যৌথ অভিযান ‘অপারেশন কন্টিনিউম’-এর অংশ হিসেবে এই সাজা দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল ইস্ট বিসিইউ’র ডিসিআই শন লিয়নস বলেন, ‘সেন্ট্রাল ইস্ট পুলিশ সহিংসতায় আক্রান্ত সকল মানুষকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সহিংস অপরাধের সঙ্গে যুক্ত মাদকের ব্যবহার ও সরবরাহ বন্ধ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। “আমরা বারার বিভিন্ন কমিউনিটি এবং অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব। একই সাথে ডাইভার্সন, চিকিত্সা এবং সহায়তার প্রয়োজনীয়তার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখব। মাদক সরবরাহ এবং সহিংসতার মধ্যে যোগসূত্র খুব স্পষ্ট এবং আমরা এই অপারেশনগুলি অব্যাহত রাখতে এবং দায়ীব্যক্তিদের আদালতের সামনে উপস্থাপন করতে যত বেশি তৎপরতা চালাতে পারি, লন্ডনের বাসীন্দাদেরর জন্য তা তত ভাল।