রমজানে প্রবাসীর কাছে গ্রামের চিঠি..
চিঠি এসেছে গ্রামের চিঠি, লণ্ডনীদের নামে
লিখেছেন সব কাছের স্বজন, বিষাদের নীল খামে।
চিঠির ভেতরে গরীব-দুখীর বেদনাও হাহাকার
গরীব-নিঃস্ব স্বজনের কথা তাদের কি মনে আছে?
জানতে চেয়েছে কাছের স্বজন সব প্রবাসীর কাছে
এবং রয়েছে নানান রকম দুঃখের সমাচার।
মনে যদি থাকে তাহলে কেন, এখন আর আগের মতন
লণ্ডনীদের দান-খয়রাত পায়না আপনজন?
জানতে চেয়েছে অসহায় সব পাড়া-প্রতিবেশী লোক
তাদের উপর প্রবাসীরা কেন হয়েছেন এমন বিমুখ!
লিখেছেন তারা ঈদে-রমজানে বন্যা-খরার কালে
লণ্ডনীদের সাহায্য কেন জোটেনা তাদের কপালে?
ঈদুল আজহায় কোরবানীরও অংশ পায়না তারা
স্বজনের এই অধিকারটুকু কেড়ে নিয়ে গেলো কারা?
প্রবাসীর দানে চলতো যে সব গরীব মানুষজন
অভাব-অনটনে আজকে তাদের রুক্ষ জীবনযাপন।
আরো লিখেছেন, শুনেছি এখনো প্রবাসীরা ঘরে ঘরে
দান-খয়রাত করে যাচ্ছেন নিত্য দুহাত ভরে
কিন্তু এসব খয়রাতে কেন আমাদের ভাগ নাই
জানিনা কারা দিয়েছে দেশের গরীবের পাতে ছাই?
শুনেছি সেখানে কিছু লোকজন চ্যারেটির নাম করে
দানের টাকায় নিচ্ছে কেবলই নিজের পকেট ভরে।
আমরাও দেখি কদাচিৎ দেশে এসে সেইসব লোক
ব্যানারের রঙে মিডিয়ায় তারা উজ্জ্বল করে মুখ
অন্যের দেয়া অর্থে করেন নিজেদের নাম প্রচার
গরীব লোকেরা পায়না তাদের কাছেতে সুযোগ বসার।
যেরকম আছে সেরকম থাকে আসল ভুক্তভোগী
মাঝখান থেকে লাভবান হয় মধ্যসত্বভোগী।
তাই সকলের কাছে আজ করি করজোড়ে নিবেদন
সুখে-দুখে যেন সাহায্য পায় নিজের আপনজন।
সব জিনিসে উর্ধদামে বিপাকে গ্রামের লোক
প্রবাসীদের সাহায্য পেতে তাই আছে উনামুখ।
মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে না করে লিল্লাহ দান
দু:সময়ে বাঁচান সকলকে দুখী স্বজনের প্রাণ।
পত্রের শেষে সকলের তরে সালাম ও প্রীতি
সবার জীবনে বাজুক নিত্য শান্তির সুরগীতি।
পবিত্রময় মাহে রমজানে স্বজনকে করে দান
হোক বিলেতের সব বাঙালির জীবন পূণ্যবান।