পত্রিকা ডেস্ক:
লণ্ডন, ১৭ এপ্রিল: চক্রটিতে ১০ থেকে ১২ জন আছেন। তাঁদের মধ্যে তিন থেকে চারজন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে অবস্থান নেন। আর বাকিরা পথে অপেক্ষায় থাকেন। বিদেশে থেকে আসা প্রবাসীরা গাড়িতে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলেও বিমানবন্দরের সামনে থাকা সদস্যরা তাঁদের বাকি সদস্যদের এ তথ্য জানিয়ে দেন। তখন বাইরে অপেক্ষায় থাকা বাকি সদস্যরা প্রবাসীদের পথে আটকিয়ে মালপত্র ছিনিয়ে নেন। বিশেষ করে তাঁদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেন।
এরপর এক থেকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ফেরত দেন। গত শনি ও রবিবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-সংলগ্ন এলাকা থেকে এই চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব এসব তথ্য জানায়। গ্রেপ্তার ১১ জন হলেন ইমরান হাসান, মো. রুবেল, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মোয়াজ্জেম হোসেন, ইয়াসিন আরাফাত, মো. জমির, মো. সৈকত, হাবিবুল কিবরিয়া, কিল্টন দে ও কায়সার হামিদ। র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) নুরুল আবছার বলেন, শনিবার চট্টগ্রাম নগর থেকে চক্রটির কয়েকজন সদস্য শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আসছেন, খবর পেয়ে র?্যাব তাঁদের গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ডাকাতি, ছিনতাই, প্রবাসীদের কাছ থেকে পাসপোর্টসহ মূল্যমান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রবাসীদের পাসপোর্টের পাশাপাশি চক্রটি সিএনজি অটোরিকশাও চুরি কিংবা ছিনতাই করে থাকে। বিশেষ করে চট্টগ্রামের পটিয়া, বোয়ালখালী ও বাঁশখালী রুটে চলাচলকারী অটোরিকশাগুলোই তাদের লক্ষ্য। যাত্রী বেশে তাঁরা অটোরিকশাগুলোতে ওঠেন। মাঝপথে নির্জন স্থানে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চালকের কাছ থেকে অটোরিকশা কেড়ে নেন। কোনো চালক প্রতিবাদ জানালে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখেন। পরে অটোরিকশাগুলোর রং, নম্বর প্লেট, চেসিস নম্বর পরিবর্তন করেন। এরপর দুই থেকে তিনটি অটোরিকশা একত্র করে কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের বাইরে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং বগুড়ায় এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। চট্টগ্রামের জঙ্গল সলিমপুরসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসের যাত্রী ও চালকদের কাছ থেকে অস্ত্রের মুখে আসামিরা ছিনতাই করতেন বলে জানান নুরুল আবছার। তিনি বলেন, বিশেষ করে ভোরবেলায় লোকজন কম থাকায় তাঁরা চালক ও যাত্রীদের মালপত্র ছিনিয়ে নেন। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।