পত্রিকা প্রতিবেদন
লণ্ডন, ২২ মে: ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যাণ্ড ইণ্ডাস্ট্রিজের (বিবিসিসিআই) ডাইরেক্টর জেনারেল (ডিজি) পদ থেকে এএইচএম নুরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ২২ মে ববিসিসিআই প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। সংগঠনের ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল দেওয়ান মাহাদিকে ভারপ্রাপ্ত ডাইরেক্টর জেনারেল হিশেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত ১৬ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি এএইচএম নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত একাধিক অভিযোগ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে বিবিসিসিআই।
সংগঠনের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক ডাইরেক্টর মোস্তফা আহমদ লাকী স্বাক্ষরিত বিবৃতি থেকে জানা গেছে, সভায়?এজেণ্ডায় থাকা ‘ডাইরেক্টরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ সম্পর্কে আলোচনা শুরু হলে কয়েকজন পরিচালক সভাস্থল ছেড়ে যান। এ সময় প্রেসিডেন্ট কিংবা বোর্ডের অনুমতি না নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন বোর্ডসভা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ডাইরেক্টর জেনারেল (ডিজি) আবুল হায়াত মোহাম্মদ নুরুজ্জামানও। এমন পরিস্থিতিতে বাকী ডাইরেক্টররা তাঁর এই আচরণকে ‘ডিজি হিশেবে দায়িত্বের লঙ্ঘন’ বিবেচনা করেন এবং তাকে ডিজি’র পদ থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করা হয়। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, উত্থাপিত অভিযোগসমূহ তদন্তে ডাইরেক্টর মহিব চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটিকে আগামী বোর্ড সভায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আগামী বোর্ড সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিবিসিসিআই। সাধারণত তিন মাস পর পর বিবিসিসিআইর বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ১৬ মে অনুষ্ঠিত পূর্ব নির্ধারিত এই বোর্ডসভায় সভাপতিত্ব করেন বিবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রেনু। সংগঠনের ৩২ জন ডাইরেক্টরের মধ্যে এই বোর্ড সভায় ২৫ জন ডাইরেক্টর উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। এদিকে, অভিযোগ ও বিবিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তের বিষয়ে বক্তব্য জানতে পত্রিকার পক্ষ থেকে আবুল হায়াত মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের মোবাইলে ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর তাঁর বক্তব্য জানতে চেয়ে মোবাইলে টেক্সট ও হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো অনুরোধেরও সাড়া পাওয়া যায়নি।