আপনি কি জানেন, ডায়াবেটিস দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হতে পারে?

“আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে আপনি ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট চোখের রোগ ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।”

ডাঃ এভলিন মেনসাহ
ক্লিনিক্যাল প্রধান (লিড), অপথালমোলজি
লণ্ডন নর্থ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি হেলথকেয়ার এনএইচএস ট্রাস্ট ।

ডায়াবেটিস থাকলে চোখের স্ক্রীনিং করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ

“আমি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছি বলে যখন ধরা পড়ল, তখন তা আমার মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। কেউই তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারাতে চায় না। আমি ছয় মাস কেঁদেছি।”

বার্নাডেট ওয়ারেন (৫৫)
সাবেক শিক্ষক, সারে ।

স্ক্রিনিং প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করে

“নিয়মিত পরীক্ষা-নীরিক্ষা এবং স্ক্রিনিংয়ে অংশ নিলে তা মানুষের শরীরে জটিলতা সৃষ্টির ঝুঁকি অথবা প্রাথমিক লক্ষণগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করবে। তখন এসব ব্যাপারে আমরা কিছু করতে সক্ষম হবো।

ডা. ভরন কুমার
জিপি, স্লাও, বার্কশায়ার

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কমিউনিটি | সাক্ষাৎকার

কোনো অজুহাতে সেবা বন্ধ করায় আমি বিশ্বাসী নই- মেয়র লুতফুর রহমান

১ জুন ২০২৩ ১২:৪৩ অপরাহ্ণ | কমিউনিটি, সাক্ষাৎকার

মাতৃভাষা শিক্ষা পুনরায় চালু হচ্ছে

আরও বড় পরিসরে হবে ইয়ুথ সেন্টার

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত অধ্যুষিত এলাকা টাওয়ার হ্যামলেটসের রাজনীতিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্ব লুতফুর রহমান। লেবার দলের হয়ে বারার লীডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলীয় কোন্দলের জেরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ২০১০ সালে বারার প্রথম নির্বাহী মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হলে তিনি আবারও প্রতিপক্ষের আক্রোশের কবলে পড়েন।

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে দায়ের করা বিতর্কিত এক মামলায় ট্রাইব্যুনাল তাঁকে নির্বাহী মেয়র পদ থেকে অপসারণ করে ২০১৫ সালে। পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করা হয় নির্বাচনে। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে তিনি ২০২২ সালের নির্বাচনে আবারও প্রার্থী হন। আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র পদে ফিরে আসেন তিনি। গত ৫ই মে তাঁর চলতি মেয়াদের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে এই বারার সবচেয়ে বড় সমস্যা বাসস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লুতফুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেছে সাপ্তাহিক পত্রিকা। গত ১৯শে মে তাঁর কার্যালয় নতুন টাউন হলে এই সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী ও প্রধান প্রতিবেদক তবারুকুল ইসলাম।

পত্রিকা: আপনার রাজনৈতিক জীবনে নানা নাটকীয়তার পর পুনরায় নির্বাচিত হয়ে মেয়াদের এক বছর পূর্ণ করেছেন। তাই শুরুতে আপনাকে অভিনন্দন।

লুতফুর রহমান: নির্বাচনে বিজয়, অভিনন্দন- এগুলো আমার ব্যক্তিগত পাওনা নয়। এসবই এ বারার মানুষের প্রাপ্য। তাঁরা আমাকে বিশ্বাস করেছেন, আমার ওপর আস্থা রেখে আবারও তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি এজন্য টাওয়ার হ্যামলেটসবাসীর কাছে খুবই কৃতজ্ঞ।

পত্রিকা: টাওয়ার হ্যামলেটসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হাউজিং (আবাসন)। ২০ হাজারের বেশি আবেদন হাউজিং-এর অপেক্ষমান তালিকায়। এবারে আপনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিলো গড়ে এক হাজার করে চার বছরে মোট চার হাজার ঘর নির্মাণ করা। কিন্তু বিশাল চাহিদার বিপরীতে এটি যথেষ্ট নয়। আপনি কীভাবে এ সমস্যার সমাধান করবেন?

লুতফুর রহমান: আপনি ঠিকই বলেছেন, কাউন্সিল হাউজিংয়ের ওয়েটিং লিস্টে ২০ হাজারের বেশি আবেদন রয়েছে। কিন্তু সবার চাহিদা সমান নয়। আমাদের হিসাবে, গুরুতর (একিউট) হাউজিং সমস্যায় আছেন ৮ থেকে ১০ হাজার আবেদনকারী। এসব পরিবার সিরিয়াসলি ওভারক্রাউডেড (খুব বেশি গাদাগাদি করতে থাকছেন) অথবা তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণে অগ্রাধিকার (মেডিকেল প্রাইওরিটি) রয়েছে। এটা বুঝতে পেরেছি কারণ আমি সপ্তাহে দুইদিন সার্জারি করি। রাস্তাঘাটেও অনেকে কথা বলেন। আমরা সপ্তাহে গড়ে সরাসরি প্রায় ২শ বাসিন্দার কথা শুনি। এদের ৯৫ শতাংশের সমস্যা হাউজিং। এর মধ্যে বেশির ভাগের সমস্যা সিরিয়াস ওভারক্রাউডিং। কিছু আছে মোল্ড এবং কনডেন্সেশনের সমস্যা। 

গত ৭/৮ বছর আমরা কাউন্সিল পরিচালনায় ছিলাম না। গত মেয়াদে আমরা যেভাবে শুরু করেছিলাম, সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বহু মানুষ উপকৃত হতো। আপনি জানেন, আমাদের গত মেয়াদে আমরা প্রায় ৬ হাজার ঘরবাড়ি ডেলিভারি করেছি।

আমাদের পক্ষে সবাইকে একসঙ্গে রিহাউজ (অন্য ঘরে স্থানাস্তর) করা সম্ভব নয়। কাউন্সিল চাইলেও নিজস্ব জায়গায় চার বছরে চার হাজার ঘর তৈরী করে দিতে পারবে না। রেজিস্টার্ড সোশ্যাল ল্যাণ্ডলর্ড, হাউজিং এসোসিয়েশন এবং প্রাইভেট ডেভেলপারদের সাথে নিয়ে কাউন্সিলের প্ল্যানিং অথোরিটির পার্টনারশিপে কাজটি হয়। 

হাউজিং নিয়ে জোরেশোরে কাজ করতে আমি ইতিমধ্যে হাউজিংয়ের সিনিয়র অফিসার, চীফ এক্সিকিউটিভ (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গ্রুপ গঠন করেছি। ইতিমধ্যে অনেকগুলো কাউন্সিলের সাইট (জায়গা) চিহ্নিত করেছি যেগুলো অকেজো পড়ে আছে। এসব জায়গায় আমরা নতুন ঘরবাড়ি বানাবো। 

রেজিস্টার্ড সোশ্যাল ল্যাণ্ডলর্ডদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তাদের নিজস্ব জায়গা আছে। অনেক পুরনো ভবন আছে যেগুলো ভেঙ্গে বহুতল ভবন নির্মাণ করা যাবে।  আর এভাবেই বিভিন্ন পক্ষের সাথে অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে সবকিছুর সমন্বয় করে আমরা ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করবো। 

পত্রিকা: বাড়ীঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে ডেভেলপারদের সঙ্গে পার্টনারশীপে কাউন্সিলের নীতি কি, আপনারা কি পরিমাণ ঘরবাড়ি দাবি করেন?

লুতফুর রহমান: যে কোনো নির্মাণকাজের অনুমতি দেয়ার মালিক কাউন্সিল। আমরা সোশ্যাল ল্যাণ্ডলর্ড বা হাউজিং এসোসিয়েশনগুলোকে বলছি- আমরা আপনাদের সাহায্য করবো কিন্তু আমাদের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ঘর দিতে হবে কাউন্সিলের হাউজিংয়ের তালিকায় থাকা বাসিন্দাদের জন্য। তাদেরকে আমরা কাউন্সিলের নিজস্ব জায়গাও দিই ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য।

টাওয়ার হ্যামলেটসে ভূমির মূল্য অনেক বেশি। অনেক প্রাইভেট কোম্পানি এখানে জায়গা কিনে রেখেছে। তারা জায়গাগুলো কাজে লাগাতে চায়। তাদের সাধুবাদ জানিয়ে আমরা বলছি, আপনারা উঁচু ভবন নির্মাণ করতে পারবেন। কিন্তু কমপক্ষে ৩২ শতাংশ ঘর দিয়ে দিতে হবে কাউন্সিল হাউজিংয়ের জন্য।  

পত্রিকা: তার মানে আপনি সোশ্যাল ল্যাণ্ডলর্ডদের কাছে ৫০ শতাংশ আর প্রাইভেট ডেভেলপারদের কাছে নির্মিত ঘরবাড়ীর ৩২ শতাংশ কাউন্সিলের হিস্যা চাচ্ছেন।

লুতফুর রহমান: জি, এটা মিনিমান। এর বাইরে কখনো আমরা জিপি সার্জারি চাই, কখনো নগদ অর্থ চাই ইয়ুথ সার্ভিস কিংবা কমিউনিটি সেইফটির মত সেবাখাতের জন্য। আবার কখনো অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্যও অর্থ দাবি করি। প্রতিষ্ঠান ও পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বাসিন্দাদের কল্যাণে ডেভেলপারদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটুকু আদায় করে নেয়ার চেষ্টা করছি।   

পত্রিকা: ডেভেলপারদের কাছ থেকে পাওয়া এসব ঘরগুলোর ভাড়া কীভাবে নির্ধারিত হয়?

লুতফুর রহমান: ভাড়ার বিষয়টি নির্ভর করে কাউন্সিলের ঘরগুলো কারা পরিচালনা করছে তার ওপর। এগুলো সোশ্যাল রেন্ট কিংবা এফোর্ডেবল রেন্টও হতে পারে। আবার আমাদের টাওয়ার হ্যামলেটসে সোশ্যাল রেন্ট এবং এফোর্ডেবল রেন্টের মাঝামাঝি একটা ভাড়া আছে; যা বাসিন্দাদের জন্য সহনীয়। আর কাউন্সিলের পুরনো ঘরগুলোর তুলনায় নতুন ঘরগুলোর ভাড়া একটু বেশি হবে- এটাই স্বাভাবিক।

পত্রিকা: এক বছরতো চলে গেলো, আপনি কি এ সময়ে হাউজিং নির্মাণের লক্ষ্য ঠিক রাখতে পেরেছেন?

লুতফুর রহমান: যেভাবে কাজ এগুচ্ছে, চার বছরে আমরা চার হাজারের বেশি নতুন কাউন্সিল ঘর দিতে পারবো বলে আশা করছি।  

পত্রিকা: কিন্তু নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ তো অনেক দীর্ঘমেয়াদী ব্যাপার। এই সময়ের মধ্যে আপনারা কীভাবে বাসিন্দাদের বাসস্থানের জরুরি প্রয়োজনগুলো মেটাচ্ছেন?

লুতফুর রহমান: একটা হচ্ছে নক থ্রু যেমন কোনো পরিবার দুই রুমের ঘরে খুব বেশি গাদাগাদি করে বসবাস করছে। তাদের চার রুমের ঘর দরকার। দেখা গেলো, তাদের পাশের ঘরটি খালি হয়ে গেছে। খালি ঘরটা আমরা অন্য কাউকে ভাড়া না দিয়ে পরিবারটির সমস্যা সমাধানে মাঝখান দিয়ে ভেঙ্গে দুইটা ঘরকে একটা করে দিচ্ছি। এর পাশাপাশি ‘বাই ব্যাক’-এর (কাউন্সিলের বিক্রিত ঘর পুনরায় ক্রয় করা) বিষয়টিও দেখছি, যেটি ২০০৮ সালে আমরা চালু করেছিলাম। এটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু এখন আমি আবারও এ খাতে প্রায় ১০ মিলিয়ন পাউণ্ড বরাদ্দ রেখেছি। আরেকটি হলো- ‘অফ প্ল্যান’। কিছু ডেভেলপারকে বলছি অফ-প্ল্যানে সস্তায় আমাদের কিছু ঘর দিতে। এভাবেই নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণের পাশাপাশি জরুরি সমস্যা সমাধানে আমরা নানাভাবে কাজ অব্যাহত রেখে চলেছি। 

পত্রিকা: অতি সম্প্রতি ইভেনিং স্ট্যাণ্ডার্ডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপনারা প্রায় ১৬শ ঘর নির্মাণের একটি আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন। হাউজিংকে যদি আপনি এতই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন তাহলে এটি কেন করলেন? 

লুতফুর রহমান: আপনি যে প্রকল্পের কথা বলছেন সেটি অ্যাবারফেল্ডি নিউ ভিলেজ প্রকল্প। পপলার হারকা এবং একোওয়ালড নামে একটি কোম্পানি সেখানে বর্তমান অবকাঠামো ভেঙ্গে নতুন করে ১৫৮২টি ঘর নির্মাণের প্রস্তাব করেছে। দেখুন, তিনটা প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। একটা হলো- মেয়র এবং লীড মেম্বার কাউন্সিল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিতে পারেন। কর্মকর্তারা আবেদন যাচাই-বাছাই এবং ডেভেলপারদের সাথে কাজ করেন। তারপর তারা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক ডেভেলপমেন্ট কমিটির (এসডিসি) কাছে সুপারিশ পাঠান, যারা প্ল্যানিংয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী। কর্মকর্তাদের সুপারিশ ছিলো অনুমতি দেয়ার পক্ষে। কিন্তু এসডিসি মনে করেছে, এই অনুমতি দেয়া ঠিক হবে না। তাই তা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। এটা আমার বা আমার প্রশাসনের সিদ্ধান্ত নয়।  তবে আপনাদের জানার জন্য বলতে চাই, আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে এসডিসি কিছু বিষয় বিবেচনা করেছে। একটা হলো- এই প্রকল্প থেকে কাউন্সিলকে পর্যাপ্ত ঘর দেয়া হচ্ছে না। আমাদের চাহিদা তো কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ঘর কাউন্সিলকে দিতে হবে। কিন্তু তারা যে প্রস্তাব করেছে তা অনেক কম। তাছাড়া, সেখানে তাদের ৩৩০ জন বিদ্যমান ভাড়াটিয়া আছে। এসব ভাড়াটিয়ার ঘর ভেঙ্গে যে নতুন ভবন হবে সেখানে তো এসব ভাড়াটিয়াকে আগে ঘর দিতে হবে। কিন্তু এসব ভাড়াটিয়াকে দেয়া ঘর তারা কাউন্সিলকে অফার করা ঘরের সঙ্গে যোগ করে দিয়ে হিসাব করছে। 

কমিটি বলেছে, এই ৩৩০ জন তো আপনাদের ভাড়াটিয়া। আমাদের ওয়েটিং লিস্টে থাকা বাসিন্দার জন্য তো এটা কোনো কাজে আসছে না। তারা প্রায় ১৬শ ঘর বানাবে আর আমাদের হাউজিং লিস্ট থেকে মাত্র ১২০ মত বাসিন্দা ঘর পাবে। এটা যথেষ্ট নয়। দেখা যাচ্ছে, প্রায় ১২শ ঘর তারা বিক্রির জন্য রেখে দিচ্ছে। এটা কাউন্সিলের এবং বারার বাসিন্দাদের স্বার্থ রক্ষা করছে না। 

আর দ্বিতীয় কারণটি আরও গুরুত্বপূর্ণ- সেখানে এ-১২ রোডে যাতায়াতের জন্য যে আণ্ডারপাস আছে সেটি বন্ধ করে কেবল সাইক্লিং এবং হাঁটার জন্য উন্মুক্ত রাখতে চায় তারা। ওই আণ্ডারপাসের ওপরেই নির্মাণকাজ করতে চায়। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- আণ্ডারপাসটা বন্ধ করা হলে এই রূটের সকল ট্রাফিক অ্যাবারফেল্ডি এস্টেইটের দিকে ‘ডাইভার্টেড’ হয়ে যাবে। ফলে এই এস্টেইটটা পুরোটা যানজটের কবলে পড়বে। এটা টাওয়ার হ্যামলেটসবাসীর জন্য বড় দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

পত্রিকা: কিন্তু এখন গ্রেটার লণ্ডন অথোরিটি (জিএলএ) যদি প্রকল্পটি এগিয়ে নিতে চায় তখন আপনাদের কি করার থাকবে?

লুতফুর রহমান: জিএলএ এবং সরকারের ক্ষমতা আমাদের চাইতে বেশি। কিন্তু এখানে আমাদের কাউন্সিলের কিছু জায়গা আছে যা তারা নির্মাণকাজে ব্যবহার করতে চায়। আবার আণ্ডারপাসের অর্ধেকের মালিক টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। বাকী অর্ধেকের মালিক ট্রান্সপোর্ট ফর লণ্ডন (টিএফএল)। ফলে কাজটি করতে আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হবে এবং ভূমির মালিকানা হস্তান্তরের প্রয়োজন হবে।     

পত্রিকা: তাহলে এ লড়াই কতদূর গড়াতে পারে?

লুতফুর রহমান: আমাদের চাহিদা পূরণ ছাড়া আমরা টাওয়ার হ্যামলেটসের কোনো ভূমি ব্যবহারের অনুমতি তাদেরকে দেবো না। সেক্ষেত্রে জিএলএকে কম্পালসারি পারচেইজ অর্ডার (সিপিও) অর্থাৎ সরকারের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক ক্রয়াদেশ এনে আমাদের জমি কিনে নিয়ে কাজটি করতে হবে। এতে তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য লাগবে। আর বিষয়টি যদি আদালতে গড়ায় তাহলে আদালতের অনুমতি লাগবে। এ বিষয়ে আমরা কোনো সম্মতি দেয়ার আগে বারার বাসিন্দাদের চাহিদাকে প্রাধান্য দেবো। 

পত্রিকা: টাওয়ার হ্যামলেটসে পরিবার নিয়ে বাসযোগ্য অর্থাৎ বড় ঘরের চাহিদা বেশি। নতুন ঘর নির্মাণে বিষয়টি আপনারা বিবেচনায় রাখছেন কিনা

লুতফুর রহমান: আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো তিন বেডরুম, চার বেডরুমের ঘর। আগেই বলেছি, এখানে বাসিন্দাদের বেশিরভাগের সমস্যা ওভারক্রাউডিং। এক-দুই বেডরুমের ঘরের চাহিদা খুব বেশি নেই। ফলে আমাদের অগ্রাধিকার হলো ফ্যামিলি হোম (পরিবারের জন্য বাসযোগ্য ঘর)। ডেভেলপারদের আমরা বলছি- আপনারা যদি আমাদের এক্ষেত্রে সহায়তা করেন আমরা আপনাদের সাথে কাজ করবো। অন্যথায় আমরা দুঃখিত।  

ছবি: জি আর সোহেল

পত্রিকা: হাউজিং নিয়ে আরেকটি বিষয় হলো- আপনি স্বায়ত্ত্বশাসিত টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসকে সরাসরি কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা কেন? কেনই বা এটা শুরুতে আলাদা করা হয়েছিলো?

লুতফুর রহমান: ২০০৮/০৯ সালে এটা আলাদা করার সময় আমি নিজেই কাউন্সিলের লীডার ছিলাম। ওই সময় সরকার আমাদের ১৬৮ মিলিয়ন পাউণ্ড দিয়েছিলো কাউন্সিলের ঘর-বাড়িগুলোর সংস্কারের জন্য। কিন্তু শর্ত ছিলো-এ অর্থ সরাসরি কাউন্সিলকে দেয়া হবে না; দেয়া হবে কোনো ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে যারা কাজটি করবে। যে কারণে আমরা টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস গঠন করে কাউন্সিলের ঘরগুলো তাদের কাছে স্থানান্তর করি। 

এটা ছিলো লেবার সরকারের পলিসি। কিন্তু গর্ডন ব্রাউন পরবর্তী নির্বাচনে হেরে গেলেও কনজারভেটিভের ডেভিড ক্যামেরন ক্ষমতায় এসে ওই পলিসি বাস্তবায়ন করেন। ফলে কাউন্সিলের ঘরবাড়িগুলো সংস্কারের জন্য ২০১০ সালে সরকারের কাছ থেকে আমরা ১৬৮ মিলিয়ন পাউণ্ড বরাদ্দ পাই।

ওই অর্থ দিয়ে কাউন্সিল ঘরগুলোতে নতুন বাথরুম, টয়লেট, কিচেন, দরজা, ডাবল গ্লেজিং দরজা-জানালা করে দিয়েছি। এখন টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসের আর কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, সরকার নতুন করে আর কোনো অর্থ দিচ্ছে না। তাছাড়া এখন এমন কিছু নেই যেটা টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস করছে কিন্তু কাউন্সিল করতে পারবে না। 

আরেকটি বিষয় হলো- প্রতি বছর আমরা ব্যবস্থাপনার খরচ বাবদ টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসকে প্রায় ৩৫/৩৬ মিলিয়ন পাউণ্ড দিয়ে থাকি। আমার বিশ্বাস, সেবাটি কাউন্সিলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে আনা হলে এই খরচের একটি বড় অংশ সাশ্রয় হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- কাউন্সিলের একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছেন। হাউজিংয়ের জন্য করপোরেট ডাইরেক্টর আছেন। তাহলে কেন টাওয়ার হ্যামলেটস হোমসে আরেকজন প্রধান নির্বাহী এবং করপোরেট ডাইরেক্টর লাগবে? এভাবে দুই প্রতিষ্ঠানে অনেকগুলো পদে দুজন করে বড় কর্মকর্তা রয়েছেন। 

এছাড়া এখন হাউজিং ব্যবস্থাপনার সবকিছু টাওয়ার হ্যামলেটস হোমস বোর্ড নির্ধারণ করে। কিন্তু দিনশেষে সব দায়-দায়িত্ব বর্তায় কাউন্সিলের ওপর। আমি বলছি না, তারা খারাপ কাজ করছে। কিন্তু এটি কাউন্সিলের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসলে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করা সম্ভব হবে। মেয়র, প্রধান নির্বাহী এবং ডাইরেক্টর সরাসরি হাউজিংয়ের বিষয়গুলো দেখভাল করবেন। এতে বাসিন্দারা আরও ভালো সেবা পাবেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান পাবেন।  

পত্রিকা: আমরা জানি বিগত দিনগুলোতে অনেকগুলো ইয়ুথ সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ইয়ুথ সার্ভিস নিয়ে আপনাদের নতুন উদ্যোগ কী?

লুতফুর রহমান: দেশের মধ্যে আমরাই একমাত্র বারা যেখানে আমরা তরুণদের জন্য বছরে অতিরিক্ত ১৯ মিলিয়ন পাউণ্ড ব্যয় করছি। ইয়ুথ সার্ভিস, স্কুল মিল, ইউনিভার্সিটি বার্সারিসহ তরুণদের নানা সুযোগ-সুবিধা দিতে এই অর্থ ব্যয় করা হয়। কেবল ইয়ুথ সার্ভিসের জন্য আমরা ১৪ মিলিয়ন পাউণ্ডের কাছাকাছি বরাদ্দ দিয়েছি। সমস্ত ইয়ুথ সার্ভিসকে আমরা এখন কাউন্সিলের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছি। এর পাশাপাশি আমরা এর সেবা আরও প্রসারিত করছি। আমাদের পরিকল্পনা হলো- প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে বারাজুড়ে কমপক্ষে ২০টি ইয়ুথ সেন্টার থাকবে। কোনো কোনো ওয়ার্ড বড়, তাই সেগুলোতে দুটি হবে। সবমিলিয়ে মোট ২৯/৩০টি ইয়ুথ সেন্টার চালুর পরিকল্পনা করছি আমরা। এতে ইয়ুথ ওয়ার্কার এবং ইয়ুথ ম্যানেজার মিলিয়ে আরও প্রায় ১৫০ জনের নতুন কর্মসংস্থান হবে। স্কুল, ভলান্টারি সেক্টর ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সাথে মিলে পার্টনারশিপে কাজ করা হবে। সেখানে বাচ্চাদের জন্য আফটার স্কুল প্রোভিশন থাকবে, হোম ওয়ার্ক ক্লাবও করা হবে। যেটি আমরা আগেও করেছিলাম। 

পত্রিকা: টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের লেইজার সেন্টারগুলোও (শরীরচর্চা কেন্দ্র) সরাসরি কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে ফিরিয়ে আনার কথা বলছেন আপনি। এই পবিরর্তনের পেছনে কারণ কি?

লুতফুর রহমান: বর্তমানে জিএলএল নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানি কাউন্সিলের লেইজার সেন্টারগুলো পরিচালনা করছে। এগুলো সরাসরি কাউন্সিলের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হলে এর সেবা ও ব্যবস্থাপনা খরচ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নিতে পারবেন। এখানে নারীরা আছেন, স্থূলতা নিয়ে কষ্ট করছেন এমন মানুষ আছেন, আরও আছেন বয়স্ক মানুষজন- শরীরচর্চার জন্য এদের সাহায্যের দরকার। আমরা কিভাবে বারার বাসিন্দাদের শরীরচর্চার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে পারি এবং কীভাবে কম খরচে আরও ভালো সেবা দিতে পারি তা নিয়ে কাজ করবো। সেন্টারগুলো এখন যারা পরিচালনা করেন তারা অনেক কিছু করার ক্ষমতা রাখেন না, যা আমরা করতে পারবো। আমরা সাবসিডি (ভর্তূকী) দিয়ে অল্প খরচে সেবা চালুর পাশাপাশি বাসিন্দাদের আরও কার্যকর ও মানসম্পন্ন সেবা দিতে সক্ষম হবো। এরপর আছে খরচের বিষয়টি- কীভাবে অপ্রয়োজনীয় খরচ বাঁচিয়ে বাসিন্দাদের কল্যাণে বেশি বিনিয়োগ করা যায় সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। ২০২৪ সালের মার্চ থেকে এই সেবা সরাসরি কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে আসবে। 

পত্রিকা: আগের প্রশাসন মাতৃভাষা শিক্ষা সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা জানি যে, টাওয়ার হ্যামলেটসে এ সেবার চাহিদা রয়েছে। আপনি বাসিন্দাদের মাতৃভাষা শিক্ষার বিষয়টিতে উৎসাহিত করবেন কি-না?

লুতফুর রহমান: অবশ্যই। আমরা ইতিমধ্যে এনিয়ে কিছু কাজ করেছি। কমিউনিটি ল্যাঙ্গুয়েজ সার্ভিস (সিএলএস) পুনরায় চালুর জন্য প্রায় ৮শ হাজার পাউণ্ড বরাদ্দ রেখেছি। আমি আগেরবার মেয়র থাকার সময় এই পরিমাণ বাজেটই ছিলো। পরিবারগুলো বিশ্বাস করে তাদের শিশুরা নিজের মাতৃভাষা, সংস্কৃতি ও ঐহিত্য সম্পর্কে জানবে এবং একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। এটিকে সাধুবাদ জানানো উচিত। একের অধিক ভাষায় কথা বলার দক্ষতা অর্জন খুবই দরকার এবং সেটা মাতৃভাষা দিয়ে শুরু হওয়াটা উত্তম। এটা প্রমাণিত যে, যেসব শিশু একের অধিক ভাষায় কথা বলে তারা বড় হয়ে একক ভাষা জানা ব্যক্তির চাইতে ভালো করে। আমি নিজে সাড়ে ৪ বছর বয়সে এদেশে আসার কারণে বাংলা জানতাম। কিন্তু ইংরেজি জানতাম না। পরবর্তীতে এদেশে আইন পড়তে গিয়ে দেখেছি বাংলা জানার কারণে অনেক ইংরেজি শব্দের অর্থ বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে বুঝতে আমার জন্য সহজ হয়েছে।

পত্রিকা: কিন্তু সিএলএস নিয়ে একটি সমালোচনা আছে- মানুষ সন্তানের ধর্ম শিক্ষার জন্য নিজের অর্থ খরচ করে। তাহলে মাতৃভাষার জন্য কেন কাউন্সিলের অর্থ ব্যয় করা হবে? 

লুতফুর রহমান: ধর্মীয় শিক্ষার বিষয়টি আলাদা। আপনি এটা শিখছেন, কারণ আপনি কোনো একটি ধর্মে বিশ্বাস করেন। এটা আপনার মাতৃভাষা নয়। এদেশের আইন ধর্মীয় বিশ্বাস লালনের জন্য জনগণের করের অর্থ ব্যয় করতে অনুমতি দেয়নি। কিন্তু বহুজাতিক সমাজের এই দেশের আইন আপনাকে কমিউনিটি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ ব্যয়ের অনুমতি দিয়েছে। এটা আরবি, ম্যাণ্ডারিন, স্প্যানিশ কিংবা অন্য যে কোনো ভাষা হতে পারে। 

পত্রিকা: এ বিষয়ে আরেকটি সমালোচনা হলো- সিএলএস-এ অনেক অব্যবস্থাপনা ছিলো। সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন ছিলো। বিশেষ করে বাংলা ভাষা শিক্ষাদানে নিয়োজিত কিছু শিক্ষকের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো। আপনি যখন আবার এ সেবা চালু করতে যাচ্ছেন, আপনি কি নিশ্চিত করবেন যে সেবাটা যেন সবদিক থেকে মানসম্পন্ন হয়। 

লুতফুর রহমান: সিএলএস বন্ধের অজুহাত হিসেবে এসব কথাবার্তা একেবারে অবান্তর। কিছু শিক্ষক ছিলেন যারা অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন, তাদের সম্পর্কে আমি নিজে জানি। এছাড়া কার্যকর উপায়ে কাউন্সিলের অর্থ ব্যয় হচ্ছে কি-না এবং মানসম্মত সেবা দেয়া হচ্ছে কি-না তা মূল্যায়নের জন্য কাউন্সিলের ‘রোবাস্ট পারফরমেন্স প্রসেস’ আছে। কোনো সংগঠন যদি অর্থের সঠিক ব্যবহারে ব্যর্থ হয় কাউন্সিল ওই সংগঠনের মাধ্যমে অর্থ ব্যয় করবে না। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে কার্যকর ও মানসম্পন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সার্ভিস চালু করবো। এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা অর্থের যথাযথ ব্যবহার (ভেল্যু ফর মানি) নিশ্চিত করতে কাউন্সিল ব্যবস্থা নেবে। 

পত্রিকা: এই সেবাটা পরবর্তীতে যাতে কেউ এসে বন্ধ করে দিতে না পারে সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করার কোনো সুযোগ আছে কি-না?

লুতফুর রহমান: দেখুন, কোনো রাজনীতিক যদি কমিউনিটি ল্যাঙ্গুয়েজের বৈচিত্রে বিশ্বাস না করে, ইংরেজিকেই দক্ষতার একমাত্র মানদণ্ড হিসেবে বিশ্বাস করে, তাহলে তারা ক্ষমতা পেলে যা ইচ্ছা তা-ই করবে। কিন্তু আমার অবস্থান একাধিক ভাষায় দক্ষতা অর্জনের পক্ষে।  

পত্রিকা: গত প্রশাসনের সময়ে বাজেট কর্তন করে বিভিন্ন সেবা বন্ধ করতে আমরা দেখেছি। কিন্তু আপনি দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন নতুন সেবা চালু করছেন, অনেক সেবার পরিসর বৃদ্ধি করছেন। আপনি এসবের জন্য অর্থ পাচ্ছেন কোথায়?

লুতফুর রহমান: অর্থের ব্যবস্থা করতে নানা হিসাব-নিকাশ করতে হচ্ছে। আমরা বেশ কিছু সেবা চিহ্নিত করেছি, কিছু সেবা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। একদিকের খরচ বাঁচিয়ে অন্যদিকে খরচ করছি- যেগুলো বাসিন্দাদের জন্য জরুরি। এরপর আমরা রিজার্ভ থেকে কিছু অর্থ ব্যয় করছি। 

পত্রিকা:পনার একটা সমালোচনা হলো- আপনি সব সময় রিজার্ভ থেকে বেপরোয়াভাবে অর্থ ব্যয় করেন। 

লুতফুর রহমান: রিজার্ভের অর্থটা তো মানুষের কল্যাণের জন্য। আপনার যদি দিনে দুইবেলা ঠিকমতো আহার জোটে না, তারপরও কি আপনার রোজগার আপনি ব্যাংকে জমা করে রাখবেন? জমানো অর্থ যদি আমার দরকারের সময় এবং সংকট মোকাবেলায় কাজে না লাগে, তাহলে সে অর্থ কিসের জন্য? আগের প্রশাসন সেবা বন্ধ করে অর্থ রিজার্ভে জমা রেখেছে। কিন্তু আমি কোনো অজুহাতে সেবা বন্ধ করার পক্ষে নই। আমার নীতি হলো- প্রয়োজনে সেবাগুলো নতুন করে ঢেলে সাজানো। যে কোনো মূল্যে জরুরি সেবাগুলোকে টিকিয়ে রাখা। 

আর রিজার্ভ থেকে অর্থ ব্যয়ের নিয়ম আছে। বছরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ রিজার্ভে রাখতে হয়। আবার রিজার্ভ থেকে কতটুকু খরচ করা যাবে তারও একটা সীমা নির্দিষ্ট করা আছে। আগের মেয়াদেও আমি রিজার্ভের নীতি রক্ষা করেছি। আগের মেয়াদ শেষে আমরা ৪৩০ মিলিয়ন পাউণ্ড রিজার্ভে রেখে গিয়েছিলাম যা নির্ধারিত সীমার চাইতে বেশি ছিলো। আমরা বিভিন্ন সেবা ঢেলে সাজানোর কাজ করছি। এর থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান হয়ে যাবে বলে আশা করছি। 

পত্রিকা: আপনার মনে থাকবে নজরুল সেন্টার এক সময় ছিলো কমিউনিটির বহু কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু। এর নিয়ন্ত্রণ এক সময়?কাউন্সিল নিয়ে নিয়েছিলো। যদিও পরবর্তীতে আপনি লীডার এবং মেয়র হিশেবে দায়িত্ব পালনকালে তা আবার কমিউনিটির কাছে ফিরিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়নে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। বাংলাদেশের জাতীয় কবির নামে স্থাপিত সেন্টারটি কমিউনিটির কার্যক্রমের জন্য কখন ফেরত দেয়া হবে।

লুতফুর রহমান: আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে, এ বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ আমি এখনো পাইনি। তবে এটাই যদি কমিউনিটির মানুষের চাওয়া হয় তাহলে আমরা বিষয়টি দেখবো। কবি নজরুল সেন্টার কীভাবে কার্যকর ও সর্বোত্তম সেবা দিতে পারে সে বিষয়টি আমরা বিবেচনা করবো।

পত্রিকা: আপনি বহু বছর ধরে টাওয়ার হ্যামলেটসের রাজনীতিতে আছেন। একাধিকবার কাউন্সিল লীডার এবং মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আপনি কি একটু বলবেন যে, টাওয়ার হ্যামলেটস অভিজাত লণ্ডনের একটি কাউন্সিল এবং দেশের অন্যতম উপার্জনকারী কর্তৃপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও টাওয়ার হ্যামলেটস কেন এখনও সুবিধা বঞ্চিত-দরিদ্রদের বারা রয়ে গেলো? 

লুতফুর রহমান: এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের কাউন্সিলের বার্ষিক টার্নওভার হলো প্রায় ৪ বিলিয়ন পাউণ্ড। আর বাজেট হচ্ছে প্রায় ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন। বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো টাওয়ার হ্যামলেটসে আছে। আমাদের অর্থনীতি ম্যানচেস্টার কিংবা বার্মিংহামের মত শহরের চাইতে বড়। তারপরও দুঃখজনকভাবে আমাদের এখানে শিশু-দারিদ্র সবচেয়ে বেশি। 

এজন্য বিভিন্ন কারণ দায়ী। আমাদের শিক্ষার হার দেশের অন্যান্য বারার তুলনায় এখনো কম। এখানে চাকরির সংখ্যা এখনো তুলনামূলক কম। আবার টাওয়ার হ্যামলেটসের যারা চাকরিতে প্রবেশ করছেন তারা বেশি বেতনের, উপরের সারির চাকরিতে খুব একটা নেই। বেশির ভাগ বাসিন্দা ম্যানুয়াল কিংবা ফ্রন্ট লাইন চাকরিতে আছেন। আপনি ক্যানারি ওয়ার্ফের দিকে তাকিয়ে দেখেন- সেখানে উচ্চআয়ের চাকুরীগুলোতে আছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের বাইরের মানুষ।

আরেকটা বিষয় হলো, টাওয়ার হ্যামলেটস এখনো অভিবাসী কমিউনিটির ‘ট্রানজিট’ স্থল হিসেবে রয়ে গেছে। অভিবাসীরা শুরুতে এখানে আসেন। যখন তারা ভালো করতে শুরু করেন তখন অন্যত্র চলে যান। এরপর নতুন অভিবাসীরা পুরনোদের জায়গা নেয়। এভাবে এখানকার বেশিরভাগ মানুষ স্বল্প আয়ের কাজে থেকে যাচ্ছে। 

পত্রিকা: আদালতের রায়ে মেয়র পদ থেকে অপসারিত হয়ে আপনি নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘ সাত বছর সক্রিয় রাজনীতির বাইরে ছিলেন। এই সাত বছর আপনার কীভাবে কেটেছে? এ সময়ে আপনি কমিউনিটিকে কোনো সেবাও দেননি। তারপরও আপনি বিজয়ী হলেন কী করে?

লুতফুর রহমান: এই সাত বছর অনেক দুঃখ-কষ্টে আমাকে পার করতে হয়েছে। আমার নিজের জীবনে যে অস্থিতিশীলতা এসেছিলো, সেটি ঠিক করতে বেশির ভাগ সময় গেছে। কমিউনিটির অনেকে আমাকে দয়া করেছেন, সাহায্য করেছেন- তাদের কারণে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো- আমি ধৈর্য্য ধরেছি, অপেক্ষা করেছি। আমি এই বারার মানুষের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। কারণ, আমি সাত বছর তাদের কোনো ধরণের সেবা দেইনি। কিন্তু তাদের কাছ থেকে অনবরত দোয়া পেয়েছি। আমার প্রতি তাদের একটা দয়া আছে, মায়া আছে, তারা আমাকে সম্মান দেখিয়েছেন। আমার প্রতি মানুষের ভালোবাসাই নির্বাচনে সাফল্য এনে দিয়েছে। 

পত্রিকা: কিন্তু আপনার প্রতি বাসিন্দাদের এই দয়া-মায়া কেন?

লুতফুর রহমান: আমি টাওয়ার হ্যামলেটসে বড় হয়েছি। এখানকার মানুষের সমস্যাগুলো আমার নিজের সমস্যা। আমি তাদেরই এক সন্তান, ভাই-ভাতিজা। ২০০২ সাল থেকে আমি কাউন্সিলার। তার আগে ছিলাম কমিউনিটি এক্টিভিস্ট। আমি নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হিসেবে কিংবা আইনজীবী হিসেবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি সততার সঙ্গে কমিউনিটির মানুষের পাশে থাকতে। তারপর যখন লীডার এবং মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি, তখন আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি মানুষের জীবনমানের উন্নতির। তাঁরা সেটি মনে রেখেছেন। তারা হয়তো মিলিয়ে দেখেছেন যে, গত সাত বছর তারা যা পেয়েছেন তার চাইতে আমরা তাদের ভালো সেবা দিয়েছিলাম। যে কারণে তারা আমাকে এবং আমার দলের কাউন্সিলারদের আবারও সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। আমি তাদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ।

পত্রিকা: অতীতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আপনার নানা ভুলত্রুটি সামনে এসেছে। আপনি হয়তো জনগণের চোখে দোষী নন। কিন্তু এদেশের ব্যবস্থা (সিস্টেম) আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলো। একই ধরণের পরিস্থিতি যাতে আর সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে আপনি কতটা সতর্ক?

লুতফুর রহমান: আমি সব সময় সতর্ক। সবসময় এই আত্মপর্যালোচনা (রিফ্লেক্ট) করি- আমরা যখন আগে ক্ষমতায় ছিলাম তখন কি ভুল করেছি যা আমাদের সংশোধন করা উচিত, যা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। আমি সবসময় গঠনমূলক সমালোচনার পক্ষে। আমি মানুষ, আমি ভুল-ত্রুটির উর্ধ্বে নই। আমি সবসময় কাউন্সিলের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আমার সহকর্মী সকলের কাছে জানতে চাই- আমার আর কী করা উচিত অথবা আমরা এমন কী করছি যেটা আমাদের করা উচিত নয়। সব মিলিয়ে আমি খুবই সতর্ক। আমরা নিয়মকানুনের মধ্যে থেকে দক্ষতার সঙ্গে প্রশাসন পরিচালনার চেষ্টা করছি। আমরা এমন কোনো ভুল করতে চাইবো না যা আমাদের জন্য কোনো রকমের সমস্যা তৈরি করবে।

পত্রিকা: আপনার ব্যাপারে আরেকটা সমালোচনা হচ্ছে- আপনি এই এলাকার বাসিন্দা এবং তরুণ প্রজন্মকে মূলধারার রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছেন। এতে অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ মূলধারার রাজনীতিতে ভালো করার সুযোগ হারাচ্ছে।

লুতফুর রহমান: আমি এলাকার বাসিন্দা ও তরুণদের কাছে কৃতজ্ঞ যারা আমার এবং আমাদের অ্যাসপায়ার পার্টির যাত্রায় যোগ দিয়েছেন। আমাদের রাজনীতি হলো টাওয়ার হ্যামলেটসকে ঘিরে। এখানকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন, স্থানীয় সেবাগুলোর উন্নয়ন আমাদের কাজ। আমাদের সঙ্গে যারা আছেন তারা স্থানীয় জনগণের সেবায় বেশি আগ্রহী। কেউ যদি জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহী হন, এমপি-মন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রী হতে চান তাহলে তারা নিজেদের পছন্দমত মূলধারার দলে যুক্ত হবেন। আমি তাদের পূর্ণ সমর্থন দেবো। আমরা চাই বেশি বেশি মানুষ রাজনীতিতে যুক্ত হোন। কিন্তু টাওয়ার হ্যামলেটসের স্থানীয় রাজনীতিতে আগ্রহী হলে আমি বলবো- অ্যাসপায়ার হচ্ছে সেরা দল। 

পত্রিকা: ভবিষ্যতে আপনি লেবার পার্টিতে ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা?  

লুতফুর রহমান: আমরা এখন আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়নে মনোযোগী। ভবিষ্যতে কি হবে সেটি ভবিষ্যত ভালো বলতে পারবে। 

পত্রিকা: আপনি কি পরবর্তী মেয়াদে মেয়র নির্বাচন করবেন?  

লুতফুর রহমান: এটা আল্লাহ ভালো জানেন এবং এই বারার মানুষের প্রত্যাশা কী তা তারাই ভালো জানবেন। মানুষের জীবনের এক সেকেণ্ডের কোনো ভরসা নাই। তাই আমি ভবিষ্যতে কি হবে সেটি নিয়ে পূর্বাভাষ দিতে চাই না।

 পত্রিকা: এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 

 লুতফুর রহমান: আপনাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ আমাকে কথা বলার সুযোগ দেয়ার জন্য। 

আরও কমিউনিটি সংবাদ

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের আহবায়ক কমিটি গঠিত

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের আহবায়ক কমিটি গঠিত

আগামী তিনমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি লণ্ডন, ০৪ এপ্রিল: হারুনুর রশিদকে আহবায়ক এবং জামাল হোসেনকে সহ-আহবায়ক করে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। গত ২রা এপ্রিল মঙ্গলবার ইস্ট লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল রোডস্থ বারাকা...

জমজমাট আয়োজনে সম্পন্ন হলো লণ্ডন স্পোর্টিফ অ্যাওয়ার্ডস

জমজমাট আয়োজনে সম্পন্ন হলো লণ্ডন স্পোর্টিফ অ্যাওয়ার্ডস

হাসনাত চৌধুরী ♦ লণ্ডন, ০৮ মার্চ: লণ্ডন স্পোর্টিফের বার্ষিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে সুধীজনরা বলেছেন, বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে লণ্ডন স্পোর্টিফ কমিউনিটিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। গত ৩ মার্চ রোববার, পূর্ব লণ্ডনের লণ্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমী হলে আয়োজিত...

লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে পয়লা ফাল্গুন উদযাপিত

লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে পয়লা ফাল্গুন উদযাপিত

লণ্ডন, ১৯ ফেব্রুয়ারী: পয়লা ফাল্গুন ও ভালবাসা দিবস উদযাপন উপলক্ষে লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের আজকের অনুষ্ঠানটি ছিল প্রকৃতঅর্থেই আনন্দপূর্ণ। ক্লাবের সদস্যরা ভালবাসার স্মৃতিচারণ এবং কবিতা ও গান পরিবেশনের পাশাপাশি হাস্যরসে ও গল্পকথায় অনুষ্ঠানটিকে হৃদয়গ্রাহী করে তোলেন।...

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস লণ্ডন মহানগর শাখার সভায় দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ত্যাগের আহবান

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস লণ্ডন মহানগর শাখার সভায় দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ত্যাগের আহবান

লণ্ডন, ১৭ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস লণ্ডন মহানগর শাখার নিয়মিত মাসিক নির্বাহী সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব লণ্ডনের একটি হলরুমে শাখার সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা নোমান হামিদীর...

গ্রেটার সিলেট ইউকে উদ্যোগে মৌলভীবাজারে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ

গ্রেটার সিলেট ইউকে উদ্যোগে মৌলভীবাজারে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ

লণ্ডন, ১৭ ফেব্রুয়ারি: গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের পক্ষ থেকে এবছর সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় ১ হাজার সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি রোববার মৌলভীবাজার ক্লাবে দুইশত শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল...

আরও পড়ুন »

 

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের আহবায়ক কমিটি গঠিত

গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের আহবায়ক কমিটি গঠিত

আগামী তিনমাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি লণ্ডন, ০৪ এপ্রিল: হারুনুর রশিদকে আহবায়ক এবং জামাল হোসেনকে সহ-আহবায়ক করে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ইস্ট রিজিওনের ১০১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। গত ২রা এপ্রিল মঙ্গলবার ইস্ট লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল রোডস্থ বারাকা...

জমজমাট আয়োজনে সম্পন্ন হলো লণ্ডন স্পোর্টিফ অ্যাওয়ার্ডস

জমজমাট আয়োজনে সম্পন্ন হলো লণ্ডন স্পোর্টিফ অ্যাওয়ার্ডস

হাসনাত চৌধুরী ♦ লণ্ডন, ০৮ মার্চ: লণ্ডন স্পোর্টিফের বার্ষিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে সুধীজনরা বলেছেন, বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে লণ্ডন স্পোর্টিফ কমিউনিটিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। গত ৩ মার্চ রোববার, পূর্ব লণ্ডনের লণ্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমী হলে আয়োজিত...

লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে পয়লা ফাল্গুন উদযাপিত

লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে পয়লা ফাল্গুন উদযাপিত

লণ্ডন, ১৯ ফেব্রুয়ারী: পয়লা ফাল্গুন ও ভালবাসা দিবস উদযাপন উপলক্ষে লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের আজকের অনুষ্ঠানটি ছিল প্রকৃতঅর্থেই আনন্দপূর্ণ। ক্লাবের সদস্যরা ভালবাসার স্মৃতিচারণ এবং কবিতা ও গান পরিবেশনের পাশাপাশি হাস্যরসে ও গল্পকথায় অনুষ্ঠানটিকে হৃদয়গ্রাহী করে তোলেন।...