বিশেষ রিপোর্ট:
লন্ডন, ১১ সেপ্টেম্বর: গত ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বিলেতের বাংলা ভাষাভাষি লেখক-সাহিত্যিক-সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে চতুর্দশ লল্ডন বাংলা বইমেলা ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উৎসব।
গত ২রা সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় আকাশে বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক কামরুজ্জামান এবং শব্দ সৈনিক রথীন্দ্রনাথ রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর ফারুকসহ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা।
যুক্তরাজ্য সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে বাংলা একাডেমি এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির তৃতীয় চারণভূমি লন্ডনে ১৪তম লন্ডন বাংলা বইমেলা ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ৫জনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
২০১০ সালে যে বইমেলার সূচনা হয়েছিলো অনেক চড়াই উৎরাই ও বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে ইতিমধ্যেই এই মেলা এক যুগ পূর্ণ করেছে। এবার পালিত হয়েছে ১৪তম উৎসব। শুরু থেকেই এই মেলার সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতি, ঢাকা। বাংলাদেশ হাইকমিশ লন্ডন, যুক্তরাজ্য সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক পরিষদ ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল। এবার যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী এবং জাতীয় জাদুঘর।
বই আত্মার খোরাক, হৃদয়ের সমস্ত রুদ্ধ দ্বার খুলে দেয় বই। লেখক-পাঠক-প্রকাশকের মলাটবন্দি আবেগকে পরস্পরের নিকটে আনে বইমেলা। যে কোনো বইমেলা ভাষা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্য এবং সাহিত্যের অপার ভান্ডারের সমাহার প্রকাশ করার জন্যই নিবেদিত আয়োজন। তাই ২রা সেপ্টেম্বর সকাল থেকেই হ্যানবারী স্ট্রীটস্থ ব্রাডি আর্টস সেন্টার বইয়ের সুবাস, সুরের মূর্ছনা, কবিতার পংক্তি, নুপুর নিক্কনের ঝংকার আর প্রাণময় মানুষের কোলাহলে ছিলো মুখরিত। এই বইমেলা আর সাংস্কৃতিক উৎসব যেহেতু প্রবাসে জন্ম নেয়া ও বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মকে তাদের শিকড়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার একটি প্রয়াস; তাই ২রা সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর থেকে এই ভিন্নদেশে ভিন্ন মাটিতে বেড়ে ওঠা শিশু-কিশোরদের কলকাকলিতে ভরে উঠে সমগ্র ব্রাডি সেন্টার। দুপুর ১২টা থেকে তাদের জন্য ছিলো চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা। এরপর ছিলো শিশুদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। লণ্ডনের কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং সংস্কৃতিকর্মীদের পদভারে মেলা প্রাঙ্গণ যখন মুখরিত তখন বিকেল সাড়ে ৫টায় সেন্টারের বাইরে শিশুরা মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুরে নৃত্যের তালে তালে আগত অতিথিদেরকে স্বাগত জানায়। সেসময় আকাশে বেলুন উড়িয়ে বইমেলা উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন। সাথে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিমসহ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা।
এরপর বিকেল ৬টায় পিন-পতন নিরবতায় ব্রাডি সেন্টারের থিয়েটার হলে আধো আলো আধো অন্ধকারে মঞ্চে রঙিন আলো জ্বলে উঠতেই শিশুরা সমবেত কণ্ঠে গেয়ে উঠে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’…। হলভর্তি দর্শক দাঁড়িয়ে যখন শিল্পীদের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলাচ্ছিলেন তখন এক মোহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এরপর বইমেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব কবি দিলু নাসেরের উপস্থাপনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জাতিসত্তার কবি মোহাম্মদ নূরুল হুদা। তিনি বলেন, লণ্ডন বাংলা বইমেলা কমিটিকে আমি সাধুবাদ জানাই বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যারা এই মেলার সাথে সংযুক্ত আছেন তাদেরকে এবং এরই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমাজে যারা বাঙালি, বাংলা ভাষার প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের সকলকে । বাংলা বইমেলা এটি একটি বেশ পুরানো উদ্যোগ। ১৪তম লÐন বইমেলা এক দশক পার হয়ে আরোও চার বছর পার হয়েছে, এই অভিযাত্রাটা চলবে যদি ওখানে যারা আয়োজক আছেন তারা এবং আমরা যারা দেশে আছি একটা সেতু বন্ধন তৈরী হয় এবং তাই হয়েছে, নানা ধরনের আলোচনা হয়ছে। আজ লন্ডনে যে বইমেলা হচ্ছে পৃথিবীজুড়ে বাঙালি লেখকরা-পাঠকরা সবাই এটা দেখবে। কাজেই আমি আশা ব্যক্ত করছি এটি ভালো একটি মেলা হবে। আর বাংলা একাডেমী বাঙালির জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেলায় অংশ নিয়েছে। আমার শ্রদ্ধেয় শামসুজ্জামান খান এই মেলার সাথে যুক্ত ছিলেন। আমি তার সহযোদ্ধা ছিলাম। তার হাত দিয়ে বাংলা একাডেমী বইমেলা লন্ডনে শুরু হয়েছিলো। এখনো আমাদের সহযোগীতা যথাসম্ভব থাকবে, কোনো বৈরী পরিবেশ না থাকলে প্রতি বছর আমরা উপস্থিত থাকবো আমাদের বই নিয়ে, আমাদের প্রতিনিধি নিয়ে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বলেন, ব্রিটেনে একটি বিশাল বাঙালি জনগোষ্ঠী রয়েছে, এখানকার নতুন প্রজন্ম যাতে বাংলা-বাঙালি এবং বাংলাভাষা-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে এই লক্ষ্যে গত ১৩ বছর ধরে এই মেলা হয়ে আসছে। এর সাথে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের সবাইকে আমি সাধুবাদ জানাই। এই মেলার শুরু থেকেই বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং এখনকার বাংলাদেশ হাইকমিশন সহযোগিতা করে আসছে। আমি আশাকরি আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। এই মেলায় এসে আমি অভিভূত হয়েছি। আমি আশাকরি আগামীতে এই মেলার মাধ্যমে এখানে বাংলাভাষা এবং সংস্কৃতি আরো ব্যাপকতা লাভ করবে।
বিশেষ অতিথি বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, লন্ডন বাংলা বইমেলায় এসে আমি অনুপ্রণিত হয়েছি। এখানকার বাঙলিদের বাংলাভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। তারা যে এখানে জাতিসত্বার বিকাশ ঘটিয়ে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে বড় অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন এজন্য তাদেকে আমি অভিনন্দন জানাই। লÐন বাংলা বইমেলার আয়োজকদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই আমি আশাকরি এই মেলার মাধ্যমে আমাদের হাজার বছরের ভাষা সংস্কৃতি এই ভিন্নদেশে আরও বিস্তার লাভ করবে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম আগামিতে এই বইমেলা উৎসবকে সব ধরনের সহায়তা দানের আশ্বাস দেন। বিশেষ অতিথি জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচাক কামরুজ্জামান বলেন, এই মেলায় এসে আমি সত্যিই অভিভুত। এই মেলাকে আরও বর্ধিত করতে জাতীয় জাদুঘর সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সাথে মিলে আরও ব্যাপক সহয়াতা করবে। আলোচনা পর্বে আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরিফ, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সহ সভাপতি জনমত সম্পাদক সৈয়দ নাহাশ পাশা এবং কানাডা ও আমেরিকা থেকে আগত কবি ধনঞ্জয় সাহা, কবি মৌ মধুবন্তী।
সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মোস্তফা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আগত অথিতিদের ফুলের শুভেচ্ছা জানান বইমেলা পর্ষদের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কবি মুজিবুল হক মনি, কবি গোলাম কবির, চায়না চৌধুরী, সমন্বয় কমিটির সদস্য ফয়জুর রহমান ফয়েজ। নির্বাহী সদস্য জামাল আহমদ খান, মিজানুর রহমান মীরু। আলোচনা শেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত কণ্ঠযোদ্ধা বিশিষ্ট লোকশিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় এবং গৌরী চৌধুরী। পরের দিন রবিবার মেলার ২য় দিনে দুপুর বারোটা থেকে শুরু হয় বইমেলা, ছিলো সাহিত্য আলোচনার পাশাপাশি কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিশুতোষ আয়োজন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদেশবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী। বিশেষ অথিতি ছিলেন রাষ্টদূত সাঈদা মুনা তাসনিম সহ কবি সাহিত্যক, সাংবাদিকও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহনে ব্রাডি আর্ট সেন্টার পরিনত হয়ছিলো প্রাণের মেলায়। দুপুর বারোটা থেকে শুরু হওয়া বইমেলা সাহিত্য সাংস্কৃতিক উৎসব রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত চলে। বইমেলা চলাকালীন সময়ে মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সংগঠনের পরিবেশনায় সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কবি ফয়জুর রহমান ফয়েজ এবং কবি মিজানুর রহমান মীরুর পরিচালনায় বিলেতের নির্বাচিত কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠের এতে অংশ নেন কবি মাশুক ইবনে আনিস, কবি দিলু নাসের, কবি মুজিবুল হক, মরিয়ম চৌধুরী, কবি আহমেদ শাহনুর। কলকাতা থেকে আগত কবি পাপিয়া ঘোষাল, কানাডা থেকে আগত কবি ধনঞ্জয় শাহ, মউ মধুবন্তী ,কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজ মিজানুর রহমান মীরু প্রমুখ্য, আবৃত্তি করেন লন্ডনের জনপ্রিয় রেডিও উপস্থাপক মিসবাহ জামাল।পরে বিশিষ্ট আবৃত্তিকার উদয় শংকর দাশের নেতৃত্বে আবৃত্তি সংগঠন বর্ণন পরিবেশন করে “ও আমার দেশের মাটি তোমার ‘পরে ঠেকাই মাথা” শীর্ষক আবৃত্তি অনুষ্ঠান। নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ছাড়াও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী এবং স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ফজলুল বারী, হীরা কাঞ্চন হিরক, তানজিন বারী সোমা প্রমুখ্য। নৃত্যে অংশ নেয় উদীচী স্কুলের নৃত্য শিল্পরা এব শ্রীপর্ণা সেন। মেলায় সিলেট-৩ আসনের প্রয়াত সাংসদ মাহমুদু সামাদ চৌধুরী স্মরণে সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থ ‘হৃদয়ে মাহমুদুস সামাদ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. গওহর রিজভী সাথে ছিলেন চ্যানেল এস টেলিভিশনের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আহমদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি এবং বিশেষ অতিথিবৃন্দ। দিলু নাসেরের উপস্থাপনায় সমাপনী আলোচনায় অংশনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং বিশেষ অতিথি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম বাংলা একাডেমির সভাপতি প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কালজয়ী গান পরিবেশন করেন শব্দ সৈনিক রথীন্দ্রনাথ রায়। এবারের উৎসবে ‘লন্ডনবাংলা বইমেলা’ পর্ষদের পক্ষ থেকে বিলেতে সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের যে ৫জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। তারা হলেন- সংস্কৃতিতে (সঙ্গীত) আজীবন সম্মাননা বিশিষ্ট কণ্ঠ যোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেণু, সাহিত্যে আজীবন সম্মাননা সালমা নাসির ডলি (ডলি ইসলাম) সংস্কৃতিতে বিশেষ সম্মাননা (সঙ্গীত) হিমাংশু গোস্বামী, চায়না চৌধুরী (নৃত্য) ও সাহিত্যে বিশেষ সম্মাননা কবি গোলাম কবির। মেলার সমাপনী দিনে তাদের নাম ঘোষণা করেন বইমেলা পর্ষদের সচিব দিলু নাসের এবং মঞ্চে তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান প্রধান অতিথি গওহর রিজভী, বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম, প্রখ্যাত কণ্ঠ শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায় এবং বইমেলা পর্ষদের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম মুস্তাফা। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মানিত ব্যক্তিদের হাতে পদক তুলে দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নূরুল হুদা।