।। বার্মিংহাম থেকে মোহাম্মদ মারুফ।।
লণ্ডন, ৯ সেপ্টেম্বর: প্রবাসে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মিছির আলী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তিনি গত ৬ সেপ্টেম্বর বার্মিংহামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স ছিল আনুমানিক ৮৪।
ষাটের দশকে বিলেতে পাড়ি জমান মিছির আলী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হওয়ার পরপরই প্রবাসে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে তৎপরতা। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে মিছিল, মিটিং, র্যালিসহ নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে ভূমিকা রাখেন প্রবাসীরা।
ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্মিংহামে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালীরা ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ আয়োজন করেন শপথ সমাবেশ। স্মলহীথ পার্কের সেই সমাবেশে তৎকালীন সময়ে প্রায় দশ হাজার বাঙালী উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন-সংগ্রামের শপথ নেন। এই সমাবেশেই বহির্বিশ্বে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সমাবেশে উপস্থিত অন্যান্য সংগঠকদের সাথে পতাকা উত্তোলনের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন মিছির আলী। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়ই মিছির আলী নিরবচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন সংগ্রামে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের মে মাসে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বার্মিংহামে সফরের বিরুদ্ধে আয়োজিত বিক্ষোভে অংশ নেন। বার্মিংহাম থেকে বাসযোগে অনেকের সাথে লণ্ডনের বিক্ষোভ সমাবেশগুলোতেও তিনি নিয়মিত অংশ নিতেন। সমাজহিতৈষী মিছির আলী নিজ ব্যয়ে তাঁর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত একটি এতিমখানা পরিচালনা করতেন।
মরহুমের নামাজে জানাজা গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩) বাদ আসর কভেন্ট্রি রোড জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরদিন জোহরের পর সাটন ক?ফি?ে তাকে দাফন করা হয়। তিনি স্ত্রী, পাঁচ পুত্র ও দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাংলাদেশে তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিলো ল²ীপুর জেলাধীন রামগঞ্জ থানার ভাটরা গ্রামে। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর রূহের মাগফেরাতের জন্য সকলের দোয়া কামনা করা হয়েছে।
ুু ১৪