লণ্ডন, ০৯ অক্টোবর: কবি আসাদ চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কানাডার টরন্টোর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কবি আসাদ চৌধুরীর ছোট ছেলে জারিফ চৌধুরী টরন্টো থেকে বলেন, ‘টরন্টোর আসোয়া লেকরিচ হাসপাতালে আব্বার মৃত্যু হয়। স্থানীয় সময় বুধবার দিবাগত রাত তিনটায় তিনি মারা যান।’ কবি আসাদ চৌধুরীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা সবাই এখন টরন্টোয় আছেন বলে জানান জারিফ চৌধুরী। কানাডাতেই কবির দাফন হবে।
প্রথম কবিতার বই ‘তবক দেওয়া পান’-এ পরিচিতি পান কবি আসাদ চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান তিনি। ২০১৩ সালে পান একুশে পদক। খ্যাতিমান এ কবির জন্ম ১৯৪৩সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উলানিয়া চৌধুরীবাড়িতে। ভূস্বামী পরিবারের সন্তান আসাদ চৌধুরীর পিতা মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী ছিলেন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। চৌধুরীবাড়ির আরো কয় জন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন ওয়াহেদ রেজা চৌধুরী, বিচারপতি আবদুর রহমান চৌধুরী, বাহাউদ্দীন চৌধুরী, আতিকুল হক চৌধুরী, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী প্রমুখ। একই পরিবারে এতজন কীর্তিমান হওয়া এক বিরল ঘটনা এবং কম সৌভাগ্যের কথা নয়। আসাদ চৌধুরী আরমানিটোলা হাইস্কুল, বি এম কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাংলা বিভাগের) শিক্ষার্থী ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি কিছুকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজে অধ্যাপনা করেছেন, এরপর সাংবাদিকতা করেছেন এবং পরে বাংলা একাডেমির চাকরিতে থিতু হয়েছেন। শেষে একাডেমির পরিচালক হিসেবে এখান থেকেই অবসরে গিয়েছেন। তার সাহিত্যিক জীবনের উন্মেষ ঘটে কৈশোরে, ছাত্রজীবন থেকেই। মূলত কবি হিসেবে তার স্বীকৃতি ব্যাপ্ত হলেও, ছড়াকার, শিশুকিশোর সাহিত্য রচয়িতা, অনুবাদকর্মে, রূপকথা ও রম্য রচনায়, জীবনীগ্রন্থ লেখায় ও গ্রন্থ সম্পাদনায় এবং গল্পকার হিসেবেও তার বুত্পত্তি ঈর্ষণীয়। সব মিলিয়ে তার গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় চল্লিশ।