ন্যায় বিচার চেয়ে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
লণ্ডন, ০৫ নভেম্বর: বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক জালাল উদ্দিনকে বাংলাদেশে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন ব্রিটেনে বসবাসরত তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই হত্যাকাণ্ডের সুবিচার চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে লণ্ডনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন জালাল উদ্দিনের আপন বড় ভাই সুনাম উদ্দিন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবিয়া বেগম এবং পালিতা কন্যা মান্না বেগম এবং তাদের সহযোগী আব্দুল হাসিব উদ্দিন পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
গত ৩০ অক্টোবর লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে এক লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নানা তথ্য, আলামত, গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষীদের বক্তব্য, ব্রিটিশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় জালাল উদ্দিনের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়াসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন নিহতের মেয়ে জুবেদা জালাল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার জামাতা জাফর ইকবাল। এসময় পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়ে রেজওয়ানা জালাল, ছেলে ওমর ফারুক ও ওমর শরীফ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে মরহুম জালাল উদ্দিনের পরিবারের পক্ষে ভূমিকা বক্তব্য রাখেন ৫২ বাংলা হেড অব কমিউনিটি এফেয়ার্স, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট, বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি ছরওয়ার আহমদ। অভিযোগে বলা হয়, তাদের পিতা জালাল উদ্দিন ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার তাজপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে একা বাস করছেন। যুক্তরাজ্য থেকে নিজ মাতৃভূমির টানে দুই লক্ষ পাউণ্ডের অধিক নিয়ে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন নিজের ভূসম্পত্তিতে কৃষি খামারে বিনিয়োগ করতে। কিন্তু আপন বড়ভাই কর্তৃক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট শনিবার আনুমানিক ৪টা-২০টায় জালাল উদ্দিন (৬০) হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
মরহুম জালাল উদ্দিনের মেয়ে জুবেদা জালাল বলেন, ব্রিটেনের ফরেন বিভাগ, বাংলাদেশস্থ যুক্তরাজ্য হাইকমিশন আমাদের অভিযোগটি আমলে নিয়ে দ্রুত কার্যকরি সহায়তা দিলেও বাংলাদেশে আমার বাবার লাশের ময়না তদন্তের জন্য দীর্ঘ ৫৯ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের প্রথমে মামলা না নেওয়া এবং এখনও ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়ার অভিযোগ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন তিনি। এসময় তারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। পিতার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরার সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লে সেখানে হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জুবেদা বলেন, জালাল উদ্দিন (৬০) বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। যুক্তরাজ্যে লণ্ডনের সাউথওয়ার্ক কাউন্সিলের বাসিন্দা। বাংলাদেশে নিবাস সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে। আমার দাদার নাম মরহুম মাহমুদ আলী। চার ভাই ও ১ বোনের মধ্যে আমার বাবা পঞ্চম। আমার পিতা জালাল উদ্দিনকে বাংলাদেশে তার বড়ভাই সুনাম উদ্দিন কর্তৃক অমানুষিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে জালালের মেয়ে জুবেদা উল্লেখ করেন, আমার বড় চাচা সুনাম উদ্দিন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবিয়া বেগম এবং পালিতা কন্যা রুহুল আমীনের মেয়ে মান্না বেগম এবং তাদের সহযোগী পাথাড়িপাড়া গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে আব্দুল হাসিব উদ্দিন পূর্ব পরিকল্পনা করে তাদের কেয়ারটেকারকে আমাদের পুকুরে মাছ ধরতে পাঠান যাতে আমার বাবা উত্তেজিত হন। আমার বাবা জালাল উদ্দিন তার বড়ভাই সুনাম উদ্দিনের কেয়ারটেকারকে ‘মাছ না ধরার’ অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা কেউ কথা শুনেনি। উল্টো তারা আমার বাবাকে মারধর করে। তাকে পানিতে ডুবিয়ে, এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি ও টানাহেচড়া করেন। একসময় তাকে দা দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন। আমার বাবা জালাল উদ্দিন কোনভাবে প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে বসতঘরের বারান্দায় এসে পড়ে যান। এসময় তিনি প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভূগছিলেন এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর গ্রামের একজন ফার্মাসিস্টকে ডেকে আনা হয়। তিনি তার মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত করেন। প্রতিবেশীরা যখন তাকে দেখেন তখন জালাল উদ্দিনের পেট ভর্তি পানি ছিল। পরদিন তাকে তড়িঘড়ি করে দাফন করা হয়।
আমার বাবার বড়ভাই সুনাম উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিকভাবে আমার বাবা ও চাচাদের জমি-জমার নায্য ভাগ দিচ্ছেন না উল্লেখ করে অভিযোগে জুবেদা আরও বলেন, ২০১৯ সালে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ হলেও আমার বাবা তার জমির দখলীস্বত্ত্ব পাননি। উপরন্তু আমাদের এক চাচা প্রাণভয়ে তার অংশ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে সেখান থেকে পৈতৃক ভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। আমার বাবাকে এর আগেও বেশ কয়েকদিন সুনাম উদ্দিন শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন। কিন্তু তিনি মামলা-হামলার ভয়ে থানায় কোন মামলা করেননি। প্রায় ২৫ বছর পূর্বে সিলেটের উপশহরে আমার বাবা-চাচা (চারভাই মিলে) একটি বাসা যৌথভাবে কিনেছিলেন। কিন্তু সুনাম উদ্দিন বাকী তিনভাইকে বাদ দিয়ে গোপনে তার নামে রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। আমাদের দাদী তাঁর নিজ অর্থ দিয়ে কিছু জমি কিনে আমার বাবার নামে রেজিস্ট্রি করে দিয়েছিলেন। এই জমির অর্জিত ফসলের টাকা সদকায়ে জারিয়া হিসাবে আমার বাবা ব্যয় করতেন। এই জমিও সুনাম উদ্দিন জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন এবং এই জমির মূল কাগজ সুনাম উদ্দিন তার কাছে রেখে দিয়েছেন। আমার বাবা বহুদিন থেকে এই কাগজ উদ্ধারের চেষ্টা করেও পারেননি। আমার বাবা জালাল উদ্দিন লণ্ডনের নিজের ঘর বিক্রি করে প্রায় দুই কোটি টাকা নিয়ে দেশে গিয়েছিলেন। স্বপ্ন ছিল গ্রামে তার জমিতে খামার করার। মূলত এসব করেই তার বাকী জীবন সুখে কাটাতে চেয়েছিলেন। জুবেদা অভিযোগে আরো বলেন, আমার বাবাকে হত্যায় বড় চাচা সুনাম উদ্দিনের সাথে ছিলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবিয়া বেগম এবং পালিতা কন্যা মান্না বেগম এবং তাদের সহযোগী হিসাবে কাজ করেছে একই এলাকা-পাথারিপাড়া গ্রামের মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে আব্দুল হাসিব উদ্দিন। এর আগেও বিভিন্ন সময় সুনাম উদ্দিন আমার বাবাকে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। সুনাম উদ্দিন তাজপুর গ্রামের ত্রাস ও মামলাবাজ হিসাবে পরিচিত উল্লেখ করে বক্তব্যে বলা হয়, গ্রামের বেশীরভাগ মানুষ নিম্ন মধ্যবিত্ত। তাদের গৃহপালিত হাঁস, মোরগ, গরু, ছাগল ইত্যাদি তার জায়গায় অনুপ্রবেশ করলে প্রাণে মেরে ফেলার অনেক উদাহরণ আছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রামের মানুষ তার অপরাধের প্রতিবাদ করেছেন। যারাই প্রতিবাদ করেছেন, পরবর্তীতে মাদক ও ডাকাতি মামলায় তাদেরকে হয়রানি করা হয়েছে এবং এখনও করা হচ্ছে। ফলে গ্রামে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রাণভয়ে কথা বলতে পারেন না। কোন শালিস বৈঠকেও গ্রামবাসী অপমানের ভয়ে আর আসতে চান না।
লাশ দাফনের পূর্বে কেন জালাল উদ্দিনের ময়না তদন্ত করা হয়নি এর কারণ উল্লেখ করে জুবেদা বলেন, প্রথমত আমার বাবা বাংলাদেশে একা ছিলেন। আমরা খবর পাই ১৯ আগস্ট মৃত্যুর প্রায় চার ঘন্টা পরে, আত্মীয়দের মাধ্যমে। আমরা এতোই বেদনাভারাক্রান্ত ছিলাম যে, চাচা সুনাম উদ্দিনের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ থাকলেও বাবা জালাল উদ্দিনকে যে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে সে সময় আমাদের মনে আসেনি। সুনাম উদ্দিন তড়িঘড়ি করে পরের দিন লাশ দাফন করেন। এরপরেই আমাদের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের নিকট থেকে জানতে পারি সেদিন কীভাবে সুনাম উদ্দিন তাকে মারধর করেছেন। বাবা মারা যাওয়ার তিনদিন পরে চাচা সুনাম উদ্দিন আমাদের ঘরে তালা মেরে সিলেট শহরে চলে যান। আমি সংবাদ পেয়ে সুনাম উদ্দিনকে লণ্ডন থেকে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘আমি মনুকে দিয়ে ঘরে তালা মারিয়েছি। ঘরের তালা খুলে দেয়া সম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, আমার বাবার পাসপোর্ট ও ওয়ালেটসহ অন্যান্য জিনিস তার হাতে তুলে দিতে। আমাদের পরিবারের সদস্যরাসহ আত্মীয়স্বজন তাকে অনেক অনুরোধের এক পর্যায়ে তিনি বাড়ি আসলেও আমাদের ঘরের তালা খুলে দিতে অস্বীকার করেন এবং বলেন কেউ যেন ঘরের তালা খোলার সাহস না করে। এই সময় আশপাশের মানুষ সুনাম উদ্দিনকে বোঝানোর উদ্দেশে বলেন, আপনার ভাইর সাথে মৃত্যুর সময় পর্যন্ত ঝগড়া করেছেন, এখন উনি মৃত, অন্তত এখন এইসব বাদ দিয়ে তাদের ঘরের তালা খুলে দেয়ার অনুরোধ দিন। এতে সুনাম উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে এক পর্যায়ে বলেন ‘হ্যা আমি আমার ভাইকে মারছি। তোমরা উপরে যাইতে চাইলে যাও। আমাকে তোমরা কিছুই করতে পারবে না।’ মূলত আমার বাবার পাসপোর্ট, জমিজমা ইত্যাদি ডকুমেন্ট হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা, ঘরে তালা মারা এবং মৃত্যুর পর থেকে তার সকল কাজে সন্দেহজনক ও অদ্ভুত আচরণ, প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষর্শীদের কথায় আমাদের সন্দেহ আরও শক্ত হয়। তারপর আমার আত্মীয়রা বিয়ানীবাজার থানায় একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ করে মামলার জন্য পাঠালে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করেনি। এরপর আমি অসহায় হয়ে যুক্তরাজ্যের ফরেন বিভাগে ইমেইলে আমার কনসার্ন তুলে ধরি। তাদের পরামর্শে আমি বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনে বিষয়টি জানাই। বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের সহায়তায়-প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রবাসী হটলাইনে আমার বাবার হত্যার অভিযোগ দায়ের করে ময়না তদন্তের আবেদন করি। কিন্তু তাতেও কোন সমাধান না হওয়াতে অনন্যোপায় হয়ে আমি গত ১৩ সেপ্টেম্বর আমার এক বছর বয়সী সন্তানকে ইউকেতে রেখে আইনজীবীদের সহায়তা নিয়ে দেশে গিয়ে সুনাম উদ্দিন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবিয়া বেগম এবং পালিতা কন্যা মান্না বেগম এবং তাদের সহযোগী আব্দুল হাসিব উদ্দিন গংদের বিরুদ্ধে সিলেট জুডিশিয়াল কোর্টে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে মাননীয় আদালত গত ২৬ সেপ্টেম্বর তারিখ হত্যা মামলার এফআইআর সহ ময়না তদন্তের আদেশ দেন। এফআইআর নং হলো-৩৬৫৭(৫)/ ১ ও বিয়ানীবাজার সিআর মামলা নং ২৭১/২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ। কিন্তু তারপরও অজানা কারণে প্রায় তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর দুপুরে দীর্ঘ ৫৯ দিন পর সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলামের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়।
জুবেদা বলেন, ময়না তদন্ত শেষ হলেও অজানা কারণে আমার বাবার ময়না তদন্তের রিপোর্ট আমরা এখনও পাচ্ছিনা। উপরন্তু আমার স্বাক্ষী এবং গ্রামের আশেপাশের নিরীহ প্রতিবেশীদের প্রায় প্রতিদিন হুমকি দেয়া হচ্ছে এই বলে যে, যদি এনিয়ে কেউ কথা বলে তাহলে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। সাক্ষীদের সুনাম উদ্দিন বলছেন, তিনি আওয়ামীলীগ করেন, মামলা নিয়ে কথা বললে সবাইকে শেষ করে দেবো। মামলার সাক্ষীরা এই মুহূর্তেই অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ঘটনাটি স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ায় অনেক তরুণ এই বিষয়ে প্রতিবাদী হওয়াতে সুনাম উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসীবাহিনী তাদেরকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। সংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে জুবেদা বলেন, আমার বাবার হত্যার পেছনের কারণ এবং ময়না তদন্ত পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল বিষয় আপনাদেরকে অবগত করলাম। আমার বাবা জালাল উদ্দিনের হত্যার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করার লক্ষ্যে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, সুনাম উদ্দিন পরিবারের বড় ছেলে হওয়ার সুবাদে পারিবারিক সম্পত্তি মূলত তিনি একাই ভোগ করেন। ২০১৯ সালে পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ করা হয়। তৃতীয় ভাই জয়নাল উদ্দিন প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে নামমাত্র মূল্যে তার সম্পতি বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন। দুই নম্বর ভাই নিজাম উদ্দিন তার পুরো সম্পত্তি এখনও নিজের দখলে আনতে পারেননি। বর্তমানে তিনি স্থানীয় মসজিদ কমিটির কাছে সালিশ চেয়ে তাঁর বাড়ি ও জমি উদ্ধারের আবেদন করেছেন। ২০১৯ সালে বন্টনকৃত আমার বাবার প্রাপ্ত সম্পত্তি সুনাম উদ্দিন জবরদখল করে ভোগ করে আসছেন।