লণ্ডন, ১২ আগস্ট: যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সেক্রেটারি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সম্পত্তিজনিত আয় নিয়ে আনীত তদন্ত সমাপ্ত ঘোষণা করে পার্লামেন্টারি কমিশনারের কাছ থেকে রেহাই পেলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁর।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মেইল এবার তিনি যে বাড়িতে বসবাস করেন সেটির ভাড়া কত পরিশোধ করেন, সেই বাড়ির মালিকের কাছ থেকে বাড়িভাড়া বাবদ আর্থিক কোনো সুবিধা নেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নিয়ম অনুযায়ী বাজারমূল্যের চেয়ে কম মূল্যে কোন এমপি কারো কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে থাকলে তা পার্লামেন্টে জানাতে হয়। তিনি সেটি অবহিত করেছেন কিনা সেই প্রশ্নও ওঠেছে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, এ ব্যাপারে তাকে প্রশ্ন করেও কোন জবাব পাওয়া যায়নি টিউলিপের কাছ থেকে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করা হয় যে, লণ্ডনে অবস্থিত একটি ভাড়া দেয়া প্রপার্টির আয়ের তথ্য তিনি জমা দেননি যা ২৮ দিনের মধ্যে জানানোর কথা। সেই অভিযোগকে ঘিরে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তদন্ত শেষে পার্লামেন্টারি কমিশনার ড্যানিয়েল গ্রিনবার্গ জানান, টিউলিপকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। টিউলিপ তার আয়ের হিসাব উল্লেখ করতে দেরি হওয়ার পেছনে যে কারণ দেখিয়েছেন, সেটি গ্রহণ করা হয়েছে। কমিশনার আরও বলেন, হ্যাম্পস্টেডের এমপি টিউলিপ তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে টিউলিপের দল লেবার পার্টির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, টিউলিপ দেরিতে আয়ের তথ্য জমা দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার ভুলটি অনিচ্ছাকৃত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পার্লামেন্টারি কমিশনার টিউলিপের বিরুদ্ধে তদন্ত বাতিল করেছেন ও তাকে ভুল শুধরে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন। তবে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মেইলের নতুন প্রশ্নে যে বির্তক তাঁর পিছু নিয়েছে তা কোথায় গিয়ে শেষ হয় তা এখন দেখার বিষয়।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে এমপি টিউলিপ সিদ্দিক এবারের নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে লণ্ডনের হ্যাম্পস্টেড এণ্ড হাইগেইটে কনজারভেটিভ পার্টি ডন উইলিয়ামসের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে জয়ী হন।