বিভিন্ন সেক্টরে সম্মাননা পেলেন ১০ সফল বাংলাদেশি-ব্রিটিশ
লণ্ডন, ১৪ নভেম্বর: বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহুর ১৩তম প্রকাশনা ও অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান। গত ৮ নভেম্বর মঙ্গলবার লণ্ডনের অভিজাত ভেন্যু মেরিডিয়ান গ্রাণ্ড হলে বসেছিলো এবারের আসর। নিজ নিজ পেশায় বিশেষ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখা দশজন বাংলাদেশি-ব্রিটিশকে এওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছে ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজহু। বাংলা মিরর গ্রুপের এই প্রকাশনায় এবার সংযুক্ত হয়েছে ২৭০ জন বাংলাদেশি-ব্রিটিশের সাফল্যের কথা। ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজহু যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বংলাদেশীদের বিভিন্ন বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান ও উৎকর্ষের বিবরণ নিয়ে প্রকাশিত হয় প্রতি বছর। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। এবারের প্রকাশনায় সংযুক্ত হয়েছে নতুন নতুন প্রতিভাবানের অবদানের কথা। নতুনত্ব সমৃদ্ধ করেছে এ প্রকাশনাকে। বাংলাদেশি-ব্রিটিশ তৃতীয় প্রজন্মকে যুক্ত করে হুজহুর কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে, আঙ্গিকও শোভিত হয়েছে নতুনদের অবদানে।
হুজহুর সফলতা পুরানো নতুনের সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে এসেছে। কমিউনিটির গুণীজনদের উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা লিপিবদ্ধ করে তাদের স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৮ সালে ব্রিটিশ-বাংলাদেশী হুজহু যাত্রা শুরু করে। হুজহু বিশ্বস্ততার সাথে সে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বললেন হুজহুর বিগত সময়ের ও এবারের অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তরা। ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজহু থেকে সহজেই কমিউনিটির বিভিন্ন খাতের সফল ব্যক্তির অবদানের বিষয়টি জানা যায়। বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রবীণ ও নবীনরা ব্রিটেনের সমাজে যে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তা সত্যি প্রশংসা করার মত বললেন আগত অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ বাংলাদেশী হুজহু-এর প্রধান সম্পাদক আব্দুল করিম গণি বলেন, কোভিড মহামারির ফলে আমাদের ইভেন্ট এবং বার্ষিক প্রকাশনা বন্ধ করতে হয়েছিল। তারপরও কমিউনিটির সহযোগিতায়, গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকাশনা এবং গালা অনুষ্ঠানটি আবার শুরু করা হয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন, প্রথম থেকেই এই প্রকাশনা আমাদের কমিউনিটির নবীনদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা যুগিয়ে আসছে। প্রবীণদের সাফল্যের কথার সাথে সাথে ভবিষ্যতে নবীণদের অবদান সুন্দরভাবে সংযোজিত হবে।
জনপ্রিয় উপস্থাপিকা নাদিয়া আলি ও ব্যারিস্টার আনোয়ার বাবুল মিয়ার পরিচালনায়, এই আয়োজনের দীর্ঘ ১৩ বছরের পথচলা নিয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন প্রকাশনার নির্বাহী সম্পাদক সোহানা আহমেদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ এমপি, মেয়র, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ মূলধারা ও কমিউনিটির বিভিন্নস্তরের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ।
এসময় অ্যাঞ্জেলা রেইনার তাঁর বক্তৃতায় ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের বিভিন্ন কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ব্রিটিশ সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তারা যে অমূল্য অবদান রাখছেন তার ওপরও জোর দেন তিনি। এছাড়া অনুষ্ঠানে এওয়ার্ডপ্রাপ্তদের অভিনন্দনও জানান।
ব্রিটিশ বাংলাদেশি এমপি আপসানা বেগম ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তিনি যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশী কমিউনিটিকে মূলধারার রাজনীতিতে আরও যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। এবারের এওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন আকলাকুর রহমান আক্ক, মোহাম্মদ শামসুর রহমান, আমিন বাবর চৌধুরী, নাজমুল ইসলাম নুরু, সেলিম চৌধুরী, ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমান, মেয়র হেনা চৌধুরী, সাইদুর রহমান রেনু, সৈয়দ আফসার উদ্দিন ও টিপু রহমান।
জমকালো এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির ডেপুটি লিডার অ্যাঞ্জেলা রেইনার, ফয়সল চৌধুরী এমবিই এমএসপি, স্যাম টেরি এমপি, ক্যামডেনের মেয়র নাসিম আলী, টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার শাফি আহমেদ, রামসগেটের মেয়র রওশন আরা, সুইণ্ডন সিটির মেয়র প্রমুখ। এতে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিলো চ্যানেল এস, জি টেন ডিজাইন এণ্ড প্রিন্ট, ইমপ্রেস মিডিয়া। পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলো মেরিডিয়ান গ্রাণ্ড। ইভেন্ট পরিচালনায় পার্ল এডভারটাইজিং এবং একমাত্র চ্যারিটি পার্টনার হিসেবে ছিলো হিউম্যান রিলিফ ফাউণ্ডেশন। স্পন্সর হিসেবে ছিলো প্রাইম এস্টেট এজেন্ট, রোজেনবার্গ ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ড্রিম পা, লণ্ডন টি এক্সচেঞ্জ, এসিসি ট্যাক্স কন্সালট্যান্সি, এ এইস এণ্ড জেড লিমিটেড, এন আর বিঞ্জ হলিডে রিসোটস, জেএমজি এয়ার কার্গো, ব্লুস্টোন ফাইন্যান্স, এপেক্স একাউন্টেন্সী, পার্পল আই, ইউরোশিয়া ফুড সার্ভিস, ইউনি সফট। এছাড়া আরো সহযোগিতায় ছিলো ভ্যানটেজ এক্সিডেন্ট ম্যানেজম্যান্ট, সিটিগেইট একাউটেন্ট