স্বর্ণ ও নগদ অর্থ মিলিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ পাউণ্ড নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা
পত্রিকা ডেস্ক
লণ্ডন, ২১ নভেম্বর: পূর্ব লণ্ডনের বেনজনসন রোডের লাব্বাইক ট্রাভেলসে দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। দূর্বৃত্তরা ভারী সিন্দুকসহ এর ভেতরে রাখা স্বর্ণ ও নগদ অর্থ মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ পাউণ্ডের মত নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এর স্বত্বাধিকারী হিফজুর রহমান। চুরির ঘটনার পর তিনি লণ্ডনের বাংলা মিডিয়ার একাধিক সাংবাদিকদের সাথে আলাপে এ তথ্য জানান। এ ব্যাপারে পত্রিকার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে লণ্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশ জানিয়েছে, তারা রোববার ২১শে নভেম্বর সকাল পৌনে নয়টায় চুরি সংঘটিত হবার খবর পায়। এ ঘটনায় এখনো কোন গ্রেফতার নেই, তবে তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে কোন তথ্য জানিয়ে পুলিশের তদন্তকাজে সহায়তা দিতে ১০১ নম্বরে কিংবা ক্রাইমস্টপারে ০৮০০ ৫৫৫১১১ নম্বরে ফোন করার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া আুর্ণউউ-তে উইঊ২০৫৬/২০ূমশণবঠণর উল্লেখ করে টুইট করা যাবে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিটিতে হজ-ওমরাহ সেবা দেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে ট্রাভেল টিকিট ও অর্থ প্রেরণের সেবা দিয়ে আসছে লাব্বাইক ট্রাভেলস। লাব্বাইক ট্রাভেলসের অন্যতম স্বত্বাধিকারী হিফজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শনিবার (১৯ নভেম্বর) ব্যবসায়িক কার্যক্রম শেষে কর্মীরা স্বাভাবিক নিয়মে অফিস বন্ধ করে যায়। পরদিন রোববার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী অফিসের একজন আমাকে ফোন করে বলেন, আমাদের অফিসের দরজা ভাঙ্গা, শাটার ভাঙ্গা- ডাকাতি হয়ে গেছে। তখন আমি লন্ডনের বাইরে ছিলাম। আমি তখন আমার কর্মীদের দুজনকে ফোন করি এসে দেখার জন্য। তারা দেখেন সবকিছু তছনছ করা। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে আমাদের অফিসে না প্রবেশ করার অনুরোধ করে। তারা ঘটনাস্থল থেকে আঙ্গুলের ছাপসহ বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশকে নিয়ে সোমবার সকালে অফিসে প্রবেশ করে দেখি অফিসের সিসিটিভিসহ সকল নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা তারা খুলে নিয়ে গেছে যাতে কোনো কিছু ক্যামেরায় ধরা না পড়ে। সকল সার্ভার তারা অফ করে দেয়। অফিসে একটি সেইফে দুই-তিন দিনের ক্যাশ জমা রাখা হয়। সেখানেও প্রায় ২৫ হাজার পাউন্ড ছিলো। অফিসের অন্য একটি সেইফে আমার পরিবারের নগদ অর্থ ও স্বর্ণসহ বিভিন্নজনের জমা অর্থ রাখা ছিলো। সবমিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ পাউন্ডের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত সেইফের ওজন হবে অন্তত এক টন। সেই সেইফসহ দূর্বৃত্তরা নিয়ে গেছে। হিফজুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় তাঁর অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। তবে তিনি জানান, গ্রাহকদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে ব্যবস্থা তিনি ইতিমধ্যে করেছেন। হয়তো এক সপ্তাহ সময় লাগবে গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান করতে।