শেষ দিনে মঞ্চ মাতালো ‘বাংলিশ’
পত্রিকা প্রতিবেদন
লণ্ডন, ০৭ নভেম্বর: শেষ হলো বিলেতে বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি তুলে ধরার বৃহত্তম আয়োজন এ সিজন অব বাংলা ড্রামা। মাসব্যাপী এই আয়োজনের শেষ পরিবেশনা বাংলিশ। নাম থেকেই বুঝা যায় বাংলা-ইংরেজির মিশেলে সৃষ্ট বাংলা ভাষার নতুর রূপ নিয়ে এই নাটিকা। মূলত বিলেতে বেড়ে উঠা বাঙালি পরিবারের সন্তানদের বাংলা শেখানোর নানা চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয় এই নাটকে। ছিলো বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। আর নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও শিকড়ের ঐতিহ্যকে লালন করার শক্তিশালী বার্তা।
গত ২৭ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারে এ সিজন অব বাংলা ড্রামার সমাপনী দিনে নাটকটি পরিবেশন করে ট্রিও আর্টস। শায়লা শারমিনের লেখা হাস্যরসপূর্ণ নাটকটি পরিচালনা করেছেন রুবাইয়েত শারমিন জারা। বিলেতে বাংলাদেশিদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার বৃহত্তম আয়োজন ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’।
৪ নভেম্বর শুরু হওয়া মাসব্যাপী এ আয়োজন চলে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। টাওয়ার হ্যামলেটসের বিভিন্ন ভেন্যুতে হয় মঞ্চনাটক, গান, কবিতার আসর, আলোচনা, হিস্টোরি ওয়াক সহ বেশকিছু আয়োজন। এ উপলক্ষে ব্রাডি আর্টস সেন্টারে চলে মাসব্যাপী শিল্পী এসএম আসাদের আঁকা একক চিত্রপ্রদর্শণী। এবারের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিলো-‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ এবং ‘আত্মপরিচয়’ (ফ্রিডম অব পীস অ্যান্ড সেল্প আইডেনটিটি)। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা অংশ নেয় মঞ্চের পরিবেশনায়। মঞ্চ নাটক, গীতি নাট্য ও নৃত্য নাট্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং আত্মপরিচয়ের গুরুত্ব ও নানা সংগ্রামের কথা। বাংলা ও বাংলাদেশিদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয় বেশ কয়েকটি পরিবেশনায়। দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল নভেম্বর মাসব্যাপী ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা’র আয়োজন করে আসছে। টাওয়ার হ্যামলেটসে ২০০৩ সালে শুরু হওয়া বাংলা নাট্যোৎসবের এটি ১৯ তম আয়োজন। মঞ্চ নাটকের পাশাপাশি গানে, গল্পে, কবিতায় ও আলোচনায় তুলে ধরা হবে জীবন সংগ্রামের গল্প।