লণ্ডন, ০৫ ডিসেম্বর: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলা ভাষা চর্চা ও প্রসারের প্রত্যয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলো বিজয়ফুল কর্মসূচি-২০২২। বুধবার, ৩০ নভেম্বর পূর্ব লণ্ডনের আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সন্ধ্যা ছ‘টা এক মিনিটে কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। উপস্থিত অতিথিগণ নিজের ডান পাশের জনকে বিজয়ফুল পরিয়ে দেয়ার পর উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাগণ শহীদ মিনারে বিজয়ফুলের রেপ্লিকা অর্পণের মাধ্যমে এ বছরের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ হাসান এমবিই, মুক্তিযোদ্ধা ফয়জুর রহমান খান, মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মেফতাহুল ইসলাম ,মুক্তিযোদ্ধা ও কণ্ঠশিল্পী হিমাংশু গোস্বামী, মুক্তিযোদ্ধা গয়াসুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবদুল মাবুদ, বিজয়ফুল কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও কবি মুজাহিদ চৌধুরী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্যের সভাপতি সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশা, কবি হামিদ মোহাম্মদ, চার্টার্ড একাউন্টেণ্ড মোহাম্মদ আব্দুর রাকিব, সৈয়দ হামিদুল হক, মিরা বড়ুয়া, মোহনা এবং লণ্ডনস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের মিনিস্টার পলিটিক্যাল এ এফ এম জাহিদুল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, বিজয়ফুল কর্মসূচি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়েছে। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশ ও এর ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং শিল্প-সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দিতে বিজয়ফুল কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভৃমিকা পালন করছে। বক্তারা আরো বলেন, বিজয়ফুলের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কাল থেকে কালান্তরে পৌঁছে দেয়া সম্ভব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজয়ফুল কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে জানানো হয়, আগামী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দলিল আঁকারে রাখার জন্য বাংলা এবং ইংরেজি দ্বিভাষিক প্রকাশনার জন্য আগামী এক বছর কাজ করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজয়ফুল কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মশালা সম্বয়ক শামীমা মিতা, উজ্জীবক সালেহা চৌধুরী, উজ্জীবক ফিরোজ আহমদ বিপুল, উজ্জীবক সুশান্ত দাস, কণ্ঠশিল্পী রিপা রকিব, ডাক্তার রেজাউল করিম, সলিসিটর ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহরিয়ার বিন আলী, কামরান আহমেদসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিজয়ফুল কেন্দ্রীয় কমিটির সম্বয়ক কবি মিলটন রহমান। সহযোগিতায় ছিলেন কর্মশালা সমন্বয়ক শামীমা মিতা, উজ্জীবক ফিরোজ আহমেদ বিপুল এবং উজ্জীবক সুশান্ত দাস। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি