লণ্ডন, ১৯ ডিসেম্বর: ইস্ট লন্ডন মসজিদ ম্যানেজমেন্ট কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ইউকের (বি.এম.এ ইউকে) নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় লন্ডন মুসলিম সেন্টারের বোর্ড রুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রিটেনের বাংলাদেশী কমিউনিটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে ধারাবাহিক নেটওয়ার্কিং কর্মসূচির অংশ হিসেবে মসজিদের পক্ষ থেকে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
মতবিনিময়কালে ইস্ট লন্ডন মসজিদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মসজিদের ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আইয়ুব খান ও ফাইন্যান্স এন্ড এনগেইজমেন্ট ডাইরেক্টর দেলওয়ার খান। এসময় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ইউকের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেনারেল সেক্রেটারি ডাঃ মোঃ জিয়াউল হক, কনসালটেন্ট এন্ড পিজিশিয়ান ডাঃ মোহাম্মদ শওকত আলী, কনসালটেন্ট ও সাইকিয়াটিস্ট ডাঃ শামসুল হক জায়গীরদার, ডাঃ আফসার উদ্দিন ও ডাঃ আব্দুর রহিম। মতবিনিময়কালে দেলওয়ার খান ইস্ট লন্ডন মসজিদের ইতিহাস ও বহুমুখী কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রজেক্টারের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ইস্ট লন্ডন মসজিদের কার্যক্রম শুধু নামাজ পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নামাজের পাশাপাশি বহুমূখী সামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। তিনি বলেন, একজন মানুষের জীবনে যে ধর্মীয় সেবাগুলো প্রয়োজন তার অধিকাংশই ইস্ট লন্ডন মসজিদ প্রদান করে থাকে।
ইস্ট লন্ডন মসজিদের চেয়ারম্যান আইয়ুব খান বলেন, আজকের এই মতবিনিময় সভা আয়োজনের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মসজিদ সম্পর্কে কমিউনিটির মানুষকে আরো বেশি করে অবহিত করা। বিশেষ করে কমিউনিটির যারা বিভিন্ন সংগঠন ও প্রজেক্টের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন তাদেরকে। তারা হয়তো নামাজে আসেন, নামাজ পড়েই আবার চলে যান। এই বিরাট প্রতিষ্ঠানটি কীভাবে পরিচালিত হয়, এখানে কী কী সেবা প্রদান করা হয় সে সম্পর্কে অবহিত নয়। আমরা চাই, মানুষ মসজিদের ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আরো বেশি জানবে। বি.এম.এ ইউকের জেনারেল সেক্রেটারি ডাঃ মোঃ জিয়াউল হক তাঁদেরকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মসজিদের ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ইসলাম হচ্ছে মানবজাতির পরিপুর্ণ জীবন ব্যবস্থা। আর ইস্ট লন্ডন মসজিদ ইসলামকে পরিপুর্ণভাবে প্রতিনিধিত্ব করছে। এটি আমাদের গর্বের প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় যারা দায়িত্ব পালন করছেন তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি। আল্লাহ তায়ালা যেন তাদেরকে সুমহান কাজের প্রতিফল দান করেন।
কনসালটেন্ট এন্ড ফিজিশিয়ান ডাঃ মোহাম্মদ শওকত আলী বলেন, আমি মসজিদের আমন্ত্রনে আজকের এই নেটওয়ার্কিং বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পেরে গর্ববোধ করছি। যুক্তরাজ্যের অন্যতম সর্ববৃহৎ এই মসজিদ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানতে পেরে অভিভুত। এই মসজিদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
ডাঃ আফসার উদ্দিন বলেন, এই মসজিদ পরিচালনায় যাঁরা দায়িত্বে আছেন তাঁরা অভিজ্ঞ ও ইসলাম ধর্মে প্রজ্ঞাবান। তাঁদের সুযোগ্য নেতৃত্বে মসজিদ আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘটে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি