দশকে বাঙালিদের বসতিস্থাপন নিয়ে গবেষণা শাবনা বেগমের পিএইচডি লাভ
লন্ডন, ১৪ জানুয়ারি: বাঙালি কন্যা শাবনা বেগম লন্ডনের কুইনমেরী ইউনির্ভাসিটি থেকে সম্প্রতি পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। পূর্ব লন্ডনে ৭০ দশকে বাঙালিদের বসতিস্থাপনকে কেন্দ্র করে তাঁর তাঁর গবেষণা ছিল ‘ফ্রম সিলেট টু স্পিটালফি?স এক্সপ্লোরিং বেঙ্গলী মাইগ্রেন্ট হোমমেইকিং ইন দি কনটেকস্ট অব এ স্কোয়াটার্স মুভমেন্ট ইন ১৯৭০’স ইস্ট লন্ডন’। গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় ছিলো ‘স্কোয়াটিং’ আন্দোলন। কুইনমেরী ইউনির্ভাসিটির স্কুল অব জিওগ্রাফীতে গবেষণা কাজ তত্ত¡াবধান করেন প্রফেসর কবিতা দত্ত, প্রফেসর আলাস্টায়ার ওউনস ও ড. অলিভিয়া সেরিংহাম।
গত ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ইউনির্ভাসিটির পিপলস প্যালেস হলে আয়োজিত গ্রেজুয়েশন অনুষ্ঠানে তাকে এ সনদ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুইনমেরী ইউভর্িাসিটির প্রেসিডেন্ট এন্ড প্রিন্সিপাল প্রফেসর কলিন বেইলি ও ইউনির্ভাসিটির চেয়ার অব কাউন্সিল লর্ড ক্লেমেন্ট জোন্স। শতাধিক গ্রেজুয়েট এই অনুষ্ঠানে তাদের নিজ নিজ সনদপত্র গ্রহণ করেন। শাবনা বেগম ইজলিংটনের একটি কলেজে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন। শিক্ষকতা পেশায় থাকাকালে তিনি বাঙালি কমিউনিটির অভিবাসন বিষয়ে কৌতুহলী হয়ে ওঠেন। পরে এ নিয়ে গবেষণা করার চিন্তা করেন। ২০১৭ সালে কুইনমেরী ইউনির্ভাসিটিতে তাঁর গবেষণার পছন্দের বিষয় হিসাবে উল্লেখিত বিষয়টি বেছে নেন। উল্লেখ্য, কুইনমেরী ইউনির্ভাসিটি ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে মানের দিক দিয়ে তালিকার ৭ম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া এ ইউনির্ভাসিটিতে গবেষণা কাজে কৃতিত্বের জন্য ৯ জন শিক্ষাবিদ নোবেল পুরষ্কার লাভ করেছেন। শাবনা বেগম লন্ডনের বিশিষ্ট রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী মো. আবদুল মছব্বিরের দ্বিতীয় কন্যা। মাতা গুলজাহান বেগম। তিনি কবি হামিদ মোহাম্মদের ভাতিজি। বাংলাদেশে ছাতক উপজেলার দোলারবাজার ইউনিয়নের চেলার চর গ্রামে তার পৈতৃক বাড়ি। দুই সন্তানের জননী শাবনা বেগম উত্তর লন্ডনের ওয়ালথামস্টো বারায় বসবাস করেন। ব্রিটেনের একটি অভিজাত প্রকাশনী তাঁর গবেষণা অভিসন্দর্ভভিত্তিক গ্রন্থ ‘সিলেট টু স্পিটালফি?স’ শীঘ্রই প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি