লণ্ডন, ২৭ মে: বাংলাদেশ এসোসিয়েশন সুইণ্ডনের উদ্যোগে হয়ে?গেলো জমজমাট বৈশাখীমেলা। স্থানীয় পারিংডন পার্কে আয়োজিত এই ‘বৈশাখী মেলা’ আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করেছেন বাঙালিরা।
গত ১৪ মে রোববার অনুষ্ঠিত মেলায় সুইণ্ডনে বসবাসরত বাঙালি ছাড়াও অন্যান্য ভাষাভাষীরাও যোগ দেন। গত দুই বারের সাফল্যের পর তৃতীয়বারের মত উদ্যোক্তাদের এবারের আয়োজন ছিল আরও ব্যাপক।
এসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ কাহার বলেন, ইংল্যাণ্ডে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশি নতুন প্রজন্মকে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এই মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। শুরুতেই প্রধান অতিথি সুইণ্ডনের মেয়র কাউন্সিলার আব্দুল আমিন স্বাগত জানিয়ে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মজম্মিল আলী, সাবেক সহসভাপতি নোয়াব আলী কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কাদির মিয়া, আহাদ আলী, ডা. রাফি আহমেদ, বাবু স্বপন রায় ও বাবু সুমন রায়। তরুণ কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন রকীব আলী, মেহরান চৌধুরী ও ওয়ালিদ মিয়া হেলাল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইয়াছমিন চৌধুরী মনি, চম্পা সাহা, কাকলী দাসসহ আরো অনেকে। স্থানীয় এক ঝাঁক প্রতিভাবান সংস্কৃতি কর্মীদের মনমাতানো গান নাচ ফ্যাশন শো ও শিশুদের বিভিন্ন কার্যক্রম ছিল মেলার মূল আকর্ষণ।
সুইণ্ডন বাঙালিয়ানার পক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন শাহানুর চৌধুরী রানা। সঙ্গীত পরিবেশনায় ছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাউল আব্দুল শহীদ, মমতা দাস, আশরাফ চৌধুরী, আব্দুল রশীদ, বিথী সাহা, আনন্দিতা রায়সহ আরও অনেকে। এবারের মেলায় দূর-দূরান্ত থেকেও দর্শকদের সমাগম ঘটে। শিশুদের পাশাপাশি প্রবীণরাও বৈশাখী সাজে সজ্জিত হয়ে মেলাতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মেলায় উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সংবাদপত্রের সম্পাদক. টিভি সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, কবি ও সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের প্রবাসী ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা।
ঐতিহ্যবাহী এই ‘বৈশাখীমেলা’ প্রাঙ্গণে চারিদিক ঘিরে ছিল বাঙালি খাবার ও দেশীয় পোশাকের নানাবিধ স্টল। খাবারের স্টলগুলোতে ছিল নানা ধরনের মুখরোচক দেশীয় খাবারসহ পুরি, চটপটি, পিঁয়াজু, হালিম, জিলাপি, সিঙ্গারা বিরিয়ানি আর রকমারি পিঠা ও মিষ্টি। ছিলো তৈরি পোশাকের স্টলগুলোতে ছিল সালোয়ার কামিজ, জামদানি ও অন্যান্য তাঁতের শাড়ির বিপুল সমাহার। বৈশাখীমেলা উপলক্ষে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মেলায় বিভিন্ন রকমের রাইড, উপস্থিত দর্শকদের গ্রাম্য নাগরদোলার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছে, তেমনি সারাবেলা আনন্দে মাতিয়ে রেখেছিল শিশুদের। বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের পক্ষে মেলার সার্বিক তত্ত¡াবধানে ছিলেন মোস্তাক আহমেদ ও এম এ আউয়াল। সহযোগিতায় ছিলেন সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আকলাকুর রহমান মাসুম, শিক্ষা সম্পাদক মিজান মিয়া, মহিলা সম্পদিকা জিয়াসমিন আরা সোনালী, কার্যকরি সদস্য রাজু মালাকার রাজু। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি