০৫ জুন: বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শামস আহমেদ এমি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। শামস দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশী আমেরিকান যিনি একাধারে সংগীত পরিচালক, কণ্ঠ সংযোজক এবং গায়ক। শামস হলেন প্রথম বাংলাদেশী-আমেরিকান যিনি এই সম্মানজনক এমি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিলেন।
গত ২২ মে সোমবার অ্যাওয়ার্ড লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় শামস বলেন, সত্যিই আমি আনন্দিত যে সুপার বল অংশের জন্য সেরা সঙ্গীত পরিচালনার জন্য এমি পুরস্কার জিতেছি! নিজের দলের লোকজনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শামস বলেছেন যে চমৎকার দল এ পুরস্কার অর্জন সম্ভব করেছে তাদের নিয়ে আমি গর্ব করি। তিনি বলেন, আপনাদের মতো সহকর্মীদের দুর্দান্ত সহযোগিতা এবং বন্ধু হওয়ার জন্য নিজেকে অবিশ্বাস্যভাবে ভাগ্যবান মনে করছি। শামস আহমেদ বলেন, ‘আমি আসলে আজকে কী আশা করছিলাম তা জানতাম না। সব সময় অনুভব করতাম লক্ষ লক্ষ আমেরিকানের সামনে প্রতিভাবান তরুণদের একটি বৈচিত্রময় সঙ্গীত দলকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো, এটি আজ সম্ভব হয়েছে।
এখন এই পুরস্কারটি হলো আমাদের সকলের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি, যুব কিশোর এবং তাদের বাবা-মা, ক্রু, প্রত্যেকের কঠোর পরিশ্রমের ফল।’ এর জন্য তিনি দলের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। কিছুদিন পূর্বেও শামস আহমেদ ব্যতিক্রমী রচনা এবং অসাধারণ সঙ্গীত প্রযোজনার জন্য পাশ্চাত্য সঙ্গীতে বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছিলেন। গার্লস গ্রæপ, সিটিজেন কুইন, অল্পবয়স্কদের মিউজিক ব্র্যাণ্ড, অ্যাকাপপসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের বৈশিষ্ট্য সহ-প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি এরমধ্যেই খ্যাতিমান সঙ্গীতজ্ঞ হয়ে উঠেছেন। কিডস, এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ক্যাপেলা গ্রুপ, পেন্টাটোনিক্সসহ শামসের অনন্য প্রযোজনা ইতিমধ্যেই সঙ্গীতশিল্প জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শামস আহমেদ হলেন দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশী আমেরিকান। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমেদ।
একাত্তরে যুদ্ধাহত লোকজনের সেবা দেয়ার সময় পাক হানাদার বাহিনীর হাতে তিনি শহীদ হন। শামস আহমেদের বাবা সালাহউদ্দিন আহমেদ পেশায় প্রকৌশলী হলেও একজন নিবেদিতপ্রাণ সঙ্গীতশিল্পী। শামসের চাচা ফিলাডেলফিয়ায় বসবাসরত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এলিস আইল্যাণ্ড পদক পাওয়া একমাত্র বাংলাদেশী আমেরিকান।
বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি ফোরাম অব পেনসিলভেনিয়াসহ উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী বিভিন্ন সংগঠন শামস আহমেদকে ব্যাপকভাবে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশি প্রজন্মের এমন সাফল্যের আমরাও গর্বিত অংশীদার। (উত্তর আমেরিকা প্রথম আলোর সৌজন্যে)।