পত্রিকা ডেস্ক
লণ্ডন, ১৯ জুন: গৃহহীন (হোমলেস) মানুষদের জন্য শিগগিরই একটি বড় প্রকল্প শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়াম। চলতি মাসের শেষদিকে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্যে গৃহহীনতার সমস্যা সমাধানে কাজ করবেন তিনি।
১৮ জুন রোববার বাবা দিবস উপলক্ষে সানডে টাইমসের সঙ্গেআলাপচারিতায় এসব কথা বলেন যুক্তরাজ্যের রাজ সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী প্রিন্স উইলিয়াম। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে গৃহহীনতার সমস্যা নির্মূল করতে চান তিনি। বলেছেন, নিজেরসন্তানদেরও গৃহহীনদের দুর্দশার সঙ্গে পরিচিত করাতে চান তিনি।
চলতি বছরেই পাঁচ বছর মেয়াদি ওই প্রকল্প শুরু করতে যাচ্ছেন প্রিন্স উইলিয়াম। সানডে টাইমসের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, আশপাশের অনেকেরই যে সাহায্যের প্রয়োজন, তা সন্তানদের জানাতে চান তিনি। এ জন্য সময়মতো সন্তানদের একটি গৃহহীনদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তাঁর বয়স যখন ১১ বছর ছিল, তখন তাঁর মা প্রিন্সেস ডায়ানা একই কাজ করেছিলেন।
বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে কেনসিংটন প্যালেস প্রিন্স উইলিয়ামের একটি ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিতে তিন সন্তানের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় দেখা গেছে তাঁকে। এরপরই সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি সামনে এল। এটি ছিল প্রিন্স অব ওয়েলস হিসেবে সংবাদপত্রকে দেওয়া উইলিয়ামের প্রথম সাক্ষাৎকার।
সাক্ষাৎকারে সানডে টাইমসকে প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, স্কুলে যাওয়ার সময় তাঁর তিন সন্তান-প্রিন্স জর্জ, প্রিন্স লুইস এবং প্রিন্সেস চার্লট সুপারমার্কেটগুলোর বাইরে অনেককে বসে থাকতে দেখত। এই মানুষগুলোকে নিয়ে তিনি সন্তানদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রিন্স উইলিয়াম বলেন, ‘আজ সকালে বের হওয়ার সময় আমি একটি বিষয় নিয়ে ভাবছিলাম। সেটি হলো, সন্তানদের একটি গৃহহীন নিয়ে কাজ করে এমন সংস্থায় নিয়ে যাওয়ার সঠিক সময় কখন আসবে। আমরা যখন লণ্ডনে ঘোরাঘুরি করতাম, তখন নিয়মিতই সুপারমার্কেটগুলোর বাইরে বসে থাকা মানুষদের দেখতাম। তাদের নিয়ে কথাও বলতাম।’
প্রিন্স অব ওয়েলস বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমি সন্তানদের বলতাম, তারা কেন এখানে এসেছে। তাদের কী হয়েছে? আমি মনে করি, সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে বিষয়গুলো সন্তানদের সামনে আনা উচিত, যেন এগুলো নিয়ে তাদের ধারণা থাকে।’
গৃহহীন মানুষদের নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংস্থা সেন্টারপয়েন্টের পৃষ্ঠপোষকও প্রিন্স উইলিয়াম। গৃহহীন মানুষদের দুর্দশা তুলে ধরতে লণ্ডনে তাদের সঙ্গে ঘুমিয়ে এর আগে সংবাদের শিরোনামও হয়েছিলেন তিনি।