পত্রিকা ডেস্ক
লণ্ডন, ১৯ জুন: একের পর এক কেলেঙ্কারির জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ আগেই খুইয়েছিলেন, সর্বশেষ এমপির পদও ছাড়তে হয় বরিস জনসনকে। তবে নতুন চাকরি পেয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির এই নেতা। প্রভাবশালী সংবাদপত্র ডেইলি মেইলে কলাম লেখক হিসেবে যোগ দিয়েছেন বরিস জনসন।
তবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নতুন চাকরি নিয়েও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। পার্লামেন্টের এ-সংক্রান্ত কমিটি বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস তাঁর নতুন চাকরির বিষয়ে আগে থেকে জানাননি।
খবরটি প্রকাশের মাত্র আধঘণ্টা আগে বরিস কমিটিকে বিষয়টি জানান। তাই এটাকে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলা হচ্ছে।
ডেইলি মেইলের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, বরিস জনসন সংবাদপত্রটিতে প্রতি সপ্তাহে একটি করে কলাম লিখবেন। ১৬ জুন শুক্রবার জনসন ও ডেইলি মেইলের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে এ তথ্য জানানো হয়। এর পরদিন (১৭ জুন) বিকেলেই ডেইলি মেইলের অনলাইন সংস্করণে বরিসের প্রথম কলাম প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে বরিস জনসনের অন্যতম কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিল ডেইলি মেইল।
পার্টি গেট কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তদন্তের মুখে গত সোমবার (১২ জুন) পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন বরিস জনসন। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়েন তিনি। আইন অনুযায়ী, সাবেক মন্ত্রীরা পদ ছাড়ার দুই বছরের মধ্যে চাকরিতে যোগ দিতে চাইলে অ্যাডভাইজরি কমিটি অন বিজনেস অ্যাপয়েন্টমেন্টের পরামর্শ নিতে হয়।সংবাদপত্রে কলাম লেখকের চাকরির বিষয়ে বরিস জনসন এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। ঘোষণা দেওয়ার মাত্র আধঘণ্টা আগে কমিটিকে জানিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। এ জন্য কারণ জানতে চেয়ে বরিস জনসনকে চিঠি দিয়েছে কমিটি।
এ বিষয়ে বরিস জনসনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বরিস জনসন কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।
বরিস জনসনের সঙ্গে বিতর্ক-সমালোচনা যেন এক সুতায় গাঁথা। ২০২০-২১ সালের দিকে করোনা মহামারি চলাকালে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন বিধিনিষেধ জারি ছিল। তখন লকডাউনের বিধি ভেঙে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজের কার্যালয়ে একাধিকবার পানাহারের আয়োজন করেন, যা নিয়ে তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। এ বিষয়টিই ‘পার্টি গেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত।