লণ্ডন, ৩১ জুলাই: সাবেক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মনির হুসাইন বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের সত্যিকারের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য সংসদে প্রয়োজন সৎ ও যোগ্য জনপ্রতিনিধি। একজন সৎ ও শিক্ষিত জনপ্রতিনিধি জনগণের অধিকার রক্ষায় নিজেকে বিলিয়ে দেবার পাশাপাশি সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষায় আইন প্রণয়নে সংসদে সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারেন।
তিনি গত ১১ই জুলাই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পূর্ব লণ্ডনের একটি হলে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। ব্রিটিশ-বাংলাদেশ টিচার্স এসোসিয়েশন ইউকের সাবেক সভাপতি আরও বলেন, আমি তৃণমূলের একজন রাজনৈতিককর্মী, স্কুল ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করে আমার ছাত্র রাজনীতির জীবন শুরু, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত করতে নৌকার মনোনয়ন চাই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শিক্ষিত জনপ্রতিনিধির বিকল্প নেই।
আইনজীবী ও সমাজসেবী আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট শাহফারুক আহমদের সভাপতিত্বে ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার ও কাউন্সিলার খালেস উদ্দিনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন মাহমুদ হাসান এমবিই, বাংলাদেশ টিচার্স এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ মুকুল, সাবেক কাউন্সিলার হেলাল উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল জলিল চৌধুরী, আব্দুল কাদির, আব্দুল করিম প্রমুখ।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কে এম আবু তাহের চৌধুরী, লণ্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী তাইসির মাহমুদ,সাবেক সেক্রেটারী মুহাম্মদ জুবায়ের, জনমত নির্বাহী সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, এটিএন বাংলার হেড অব নিউজ মুস্তাক আলী বাবুল, চ্যানেল এস এর সিনিয়র রির্পোটার রেজাউল করিম মৃধা প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় মোহাম্মদ মনির হুসাইন আরও বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মদন মোহন কলেজ ও সিলেট ল-কলেজের (আইন কলেজ) ভিপি নির্বাচিত হয়ে আমি ছাত্র নেতা হিসেবে নৈতিকতা সমুন্নত রেখে সন্ত্রাস মুক্ত ছাত্র নেতৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা রেখেছি। কর্মজীবনেও আমি ব্রিটেনে বাংলাদেশী শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব করেছি। এছাড়াও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের বর্তমান সদস্য ও সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করি। তিনি বলেন, দক্ষিণ সুরমা আমারজন্ম মাটি। আমি আমার জীবনের শিক্ষা, অভিজ্ঞতাকে মাটি ও মানুষের জন্য কাজে লাগাতে চাই। শিক্ষিত জনপদের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সংসদে যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলতে চাই। তিনি দক্ষিণ সুরমাবাসী ও প্রবাসীদের দোয়া, সহযোগিতা কামনা করে বলেন, আপনাদের প্রতিনিধি যদি শিক্ষিত ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হন তাহলে আপনাদের সম্মান-মর্যাদা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি আপনাদের অধিকারগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি