পত্রিকা ডেস্ক ♦
লন্ডন, ১১ সেপ্টেম্বর: জরাজীর্ণ কংক্রিটের কারণে যুক্তরাজ্যে যে কোনো সময় ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত ১০৪টি স্কুলভবন। সোমবার বিবিসি রেডিওকে এ তথ্য জানিয়ে দেশটির শিক্ষামন্ত্রী গিলিয়ান কিগ্যান জানিয়েছেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্কুলভবনগুলো ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ হওয়া এই স্কুলগুলোর সবই যুক্তরাজ্যের অন্তর্ভুক্ত বৃহত্তম দেশ ইংল্যান্ডের। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ইংল্যান্ডের ১৫ হাজার স্কুলভবনের মধ্যে ১০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। প্রকৃত তথ্য জানতে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্কুলগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সংস্কারের অভাবে ব্রিটেনের অবকাঠামোগত ভবনগুলো নড়বড়ে হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ করে আসছেন বিভিন্ন নাগরিক অধিকার সংস্থা। তাদের এই অভিযোগকে আরও উস্কে দিচ্ছে ব্রিটেনের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে নির্মাণ শ্রমিকদের চলমান ধর্মঘট। বিবিসি রেডিওকে গিলিয়ান কিগ্যান বলেন, ঝুঁকির মুখে থাকা ১০৪টি স্কুলভবনের সবগুলোই রিইনফোর্সড অটোক্লেভ অ্যারেটিড কংক্রিট (রাক) নামের বিশেষ এক কংক্রিটে তৈরি। সাধারণ কংক্রিটের চেয়ে এই কংক্রিট বেশ হালকা। ১৯৬০ থেকে ’৮০ সাল পর্যন্ত ভবনের ছাদ, দেওয়াল, মেঝে প্রভৃতি নির্মাণে ব্যাপকহারে এই কংক্রিট ব্যবহার করা হতো। কিন্তু পরে দুর্বল ও অনিরাপদ বলে প্রমাণিত হওয়ায় এখন আর এই কংক্রিট ব্যবহার করা হয় না।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে রাক দিয়ে তৈরি স্কুলভবনগুলোর তালিকা করছি। আমার ধারণা, এই ১০৪টির সঙ্গে আরও কয়েকশত স্কুল এই তালিকায় যুক্ত হবে।’ এদিকে, ভবনের নির্মাণে ত্রুটির কারণে আকস্মিকভাবে শতাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়ায় সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন যুক্তরাজ্যের অনেক অভিভাবক ও স্কুলশিক্ষক। তাদের এই ক্ষোভকে আরও উস্কে দিয়েছেন ব্রিটেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জোনাথন সৌটার। কয়েক মাস আগে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া সৌটার বিবিসিকে বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায় ঋষি সুনাক যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, সে সময় তাকে আমরা এই সমস্যাটি অবহিত করে স্কুলভবন মেরামত খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানোর আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তিনি তাতে কান না দিয়ে উলটো (বরাদ্দ) অর্ধেক করে দিয়েছিলেন।