পত্রিকা প্রতিবেদন ♦
লণ্ডন, ২৫ সেপ্টেম্বর: লণ্ডন মহানগরীর ব্যস্ততম ব্ল্যাকওয়াল টানেল পারাপারে টোল আরোপের পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছেন লণ্ডন মেয়র সাদিক খান। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে প্রতিবার টানেল পারাপারের জন্য গাড়ি চালকদের ৪ পাউণ্ড পর্যন্ত পরিশোধ করতে হতে পারে। টেমস নদীর নীচ দিয়ে নির্মিত ব্ল্যাকওয়াল টানেলে উত্তরমুখী দুটি লেইন এবং দক্ষিণমুখী আরো দুটি লেইন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। বর্তমানে ব্যস্ত লণ্ডন মহানগরীর অতি ব্যস্ত এই টানেল ব্যবহারে কোনো টোল দিতে হয় না। কিন্তু আগামী ২০২৫ থেকে ব্ল্যাকওয়াল টানেল দিয়ে নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য টোল প্রযোজ্য হতে যাচ্ছে।
অবশ্য মেয়র সাদিক খানের নিয়ন্ত্রণাধীন ট্রান্সপোর্ট ফর লণ্ডন সংক্ষেপে টিএফএল জোর দিয়ে বলছে, নতুন টোল আরোপের বিষয়ে কোনো এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অথচ সরকারী নথি থেকে জানা যাচ্ছে, ব্ল্যাকওয়াল টানেল ব্যবহারকারী গাড়ি চালকদের ৪ পাউণ্ড পর্যন্ত চার্জ করা হতে পারে। চালকদের টোল বুথের পরিবর্তে অনলাইনে ফি পরিশোধ করতে হবে। ট্রান্সপোর্ট সেক্রেটারি মার্ক হার্পার ২০২৫ সাল থেকে টানেল ব্যবহারকারী চালকদের যে অর্থ প্রদান করতে হবে তা জানিয়ে সড়কচিহ্ন (রোড সাইন) স্থাপনের জন্য ট্রান্সপোর্ট ফর লণ্ডনের একটি হালনাগাদ অনুরোধ গত ২০শে সেপ্টেম্বর অনুমোদন করেছেন। ডিপার্টমেন্ট ফর ট্রান্সপোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নথি অনুযায়ী, সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টানেলে টোল কার্যকর হবে। মোটরসাইকেল চালকদের ৩, গাড়ির চালকদের ৪ এবং অন্যান্য যানবাহনকে ৮.৫০ পাউণ্ড পর্যন্ত টোল পরিশোধ করতে হবে।
এদিকে, টেমস নদীর নীচ দিয়ে নুতন সিলভারটাউন টানেল নির্মাণের কাজ চলছে যা আগামী ২০২৫ সালে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্ল্যাকওয়াল টানেল রয়েল বারা গ্রীনিচ এবং ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মানুষের আবাসস্থল টাওয়ার হ্যামলেটসকে সংযুক্ত করেছে। নির্মিতব্য?সিলভারটাউন টানেল গ্রীনিচকে পূর্ব লণ্ডনের আরেক বারা নিউহ্যামকে সংযুক্ত করবে। নিউহ্যাম এবং গ্রিনিচের বাসিন্দাদের টোলের ক্ষেত্রে ছাড় পাবার সুযোগ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মেয়র সাদিক খানের বলেছেন, টোল আরোপ করলে তা ব্ল্যাকওয়াল টানেলের দূষণ কমাতে সাহায্য করবে।