পত্রিকা ডেস্ক
লণ্ডন, ০৯ অক্টোবর: যুক্তরাজ্যে ন্যূনতম মজুরি বাড়ছে। তবে রক্ষণশীল দলের ভেতর থেকে যে করহার হ্রাসের দাবি উঠেছিল, তা সম্ভবত আলোর মুখ দেখছে না। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, গত সোমবার (২ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের রক্ষণশীল দল বা কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে দেশটির অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দেবেন। তবে সেই বক্তৃতায় কর হ্রাসের দাবি তিনি উপেক্ষা করবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আগামী বছর যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই নির্বাচনের আগে রক্ষণশীল দলের আইনপ্রণেতারা, এমনকি জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী মাইকেল গোভ কর হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সম্মেলনের বক্তৃতার যে সারাংশ প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে করের প্রসঙ্গ নেই।
আগামী নভেম্বরের ২২ তারিখ যুক্তরাজ্য সরকারের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা। তার আগে স্বল্প মেয়াদে কর হ্রাসের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন জেরেমি হান্ট। তিনি বরং প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের লক্ষ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন; অর্থাৎ মূল্যস্ফীতির হার অর্ধেকে নামিয়ে আনা। যুক্তরাজ্যে সব ধরনের শ্রমিকের সাপ্তাহিক গড় মজুরি বেড়েছে। যদিও ব্যাংক অব ইংল্যাণ্ড বলছে, মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বড় শঙ্কার কারণ। কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে জেরেমি হান্ট ২৩ বছরের বেশি বয়সী কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দেবেন। এত দিন যা ছিল ঘণ্টাপ্রতি ১০ দশমিক ৪২ পাউণ্ড, এখন তা বাড়িয়ে ১১ পাউণ্ড করা হবে। বক্তৃতার প্রকাশিত সারাংশে হান্ট বলেছেন, ‘লো পে কমিশন আগামী বছর কী সুপারিশ দেয়, আমরা তার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু আজ আমি নিশ্চিত করছি, তারা যে সুপারিশই দিন না কেন, আগামী বছর আমরা তা ঘণ্টাপ্রতি ১১ পাউণ্ডে উন্নীত করব।’ সেই সঙ্গে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ বা তাতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রক্রিয়া আরও কঠোর করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে হান্টের বক্তৃতার আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস করহার হ্রাসে সরকারের ওপর চাপ দেবেন বলে জানা গেছে। এক বছর আগে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন নিজেই করহার হ্রাসের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছিলেন ট্রাস। তাঁর সময়ে আর্থিক বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তিনি তার বলি হন। এর পর থেকে তিনি আবার নিম্ন করহারের পক্ষে কথা বলেছেন, বিশেষ করে করপোরেট করের ক্ষেত্রে। তিনি মনে করেন, প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে করহার কম রাখা প্রয়োজন।