যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের বিচারের মুখোমুখি করার হুমকি
পত্রিকা ডেস্ক ♦
লণ্ডন, ১৬ অক্টোবর: গাজায় নির্বিচারে ইসরাইলি হামলায় একচেটিয়া সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইসরাইলের সুরক্ষায় ব্রিটিশ রণতরী পাঠিয়েছেন। অন্যদিক যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষে সভা-সমাবেশ বন্ধে জোর গলায় বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন হোম সেক্রেটারি সুয়েলা ব্রেভারম্যান। তাঁর নির্দেশনায় ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের পুলিশ ফিলিস্তিনের পক্ষে সভা-সমাবেশ করার ওপর বাড়তি সতর্কতা আরোপ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ রাজনীতিকদের আইনের মুখোমুখি করার হুমকি দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অব জাস্টিস ফর প্যালেস্টাইন। ১৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে লেখা এক চিঠিতে এমন বার্তা দেয়া হয়েছে। চিঠিতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অব জাস্টিস ফর প্যালেস্টাইন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনিদের ওপর যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তার জন্য ইসরাইলকে সমর্থনকারীরাও সমানভাবে দায়ী। যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের যে কোনো দেশের রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলার প্রতিবাদে লণ্ডনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন হাজার হাজার মানুষ।
গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় সেন্ট্রাল লণ্ডনের পোর্টল্যাণ্ড স্ট্রিট ব্রিটিশ ব্রডকাস্টি করপোরেশন (বিবিসি) অফিসের সামনে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। বেলা দেড়টার সময় পোর্টল্যাণ্ড স্ট্রিট থেকে মিছিল নিয়ে শান্তিকামী মানুষ রিজেন্ট স্ট্রিট, পিকাডোলি স্কয়ার, হ-মার্কেট, ট্রাফলগার স্কয়ার, হোয়াইটহল ও পার্লামেন্ট স্ট্রিট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর অফিস ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন। লণ্ডন শহরের বাসিন্দা ছাড়াও সারা যুক্তরাজ্য থেকে কয়েক শত বাস ভর্তি হয়ে অনেকে বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন রাখতে লণ্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের কয়েক হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ সময় আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়। রাত আটটা পর্যন্ত ট্রাফালগার স্কয়ারে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ করতে দেখা গেছে।