লণ্ডন, ৩০ অক্টোবর: একটি জটিল অভিযানের পর টাওয়ার হ্যামলেটসে মাদক সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত বিভিন্ন মেয়াদে জেলদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপারেশন কন্টিনিউম নামের মাদক বিরোধী চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টাওয়ার হ্যামলেটসে মাদক ব্যবসা, মাদকের ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের বিরুদ্ধে বিশেষ এই অভিযানটি টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ও পুলিশের যৌথ নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
সাম্প্রতিক তদন্তের ফলস্বরূপ, স্নেয়ার্সব্রুক ক্রাউন কোর্টে মাদক অপরাধের জন্য এই ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দিয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেনঃ আবু তাহের, অ্যারো রোড, ই৩ ৯ বছর জেলদণ্ড; রিয়াজ হুসেন, চেরিউড ক্লোজ, ই৩ ৮ বছর জেল; মহিদ আলী, চিপিং রো, স্এিম৩ ৫ বছর, ৩ মাসের জেলদণ্ড; সেন্ট লিওনার্ডস স্ট্রিটের (ই৩) নাজির হোসেন- পাঁচ বছর, আট মাস; ট্রুম্যান ওয়াকের (ই৩) মোহাম্মদ মিনানুর রহমান- ছয় বছরের জেলদণ্ড; আরএম ৮ এর লংব্রিজ রোডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহ রহমান- তিন বছর, সাত মাস; বেন জনসন রোডের (ই১) আলী আকবর হোসেন- দুই বছর; আরএম৯-এর সিঙ্গেলটন রোডের মোহাম্মদ হাসান- তিন বছর, আট মাস, ই৩-এর বো রোডের নাইম সামি- পাঁচ বছর, ছয় মাস; অ্যালেন রোডের (ই-৩) শুহেব মিয়া- দুই বছর, আট মাস এবং ড্রাইভিং এর জন্য অযোগ্য দুই বছর, ছয় মাস; ই ৩ এর বলিংগার পয়েন্টের মোহাম্মদ ইমরান আলী ২০ সপ্তাহের কারাদণ্ড; ই১৫-এর ওলফি গার্ডেন্সের সৈয়দ আহমেদ ১৫ মাস, দুই বছরের জন্য সাসপেণ্ডেড দণ্ড; ই-১৪এর পপলার হাই স্ট্রিটের আবদুল্লাহ আল-হুদা ২৩ মাসের জেলদণ্ড, যা ২৪ মাসের জন্য স্থগিত; আইজি১১-এর ক্রানলি গার্ডেন্স এর মাহিদুর রহমান দুই বছর, ২৪ মাসের জন্য স্থগিত দণ্ড।
পুলিশের এডিআই স্যাম লাইভসি বলেছেন, “সেন্ট্রাল ইস্ট পুলিশ সহিংসতা দ্বারা প্রভাবিত যুবকদের সাহায্য করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সহিংস অপরাধের সাথে মাদক সরবরাহের বিষয়টি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত আমরা গোটা লণ্ডন থেকে আসা নানা কমিউনিটি এবং অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব, এবং আইনের প্রয়োগের পাশাপাশি সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা ভারসাম্য বজায় রাখব।”
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, “আমরা জানি যে মাদক আমাদের কমিউনিটিকে কিভাবে ধ্বংস করে এবং গুরুতর সহিংসতার দিকে পরিচালিত করে। তাই আমরা এই ব্যবসার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।আমরা টাওয়ার হ্যামলেটসকে বসবাসের জন্য একটি নিরাপদ এবং সুখী জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের এই বারা এবং এর বাইরে আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাব।”
কমিউনিটি সেফটি বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আবু তালহা চৌধুরী বলেছেন: “অপারেশন কন্টিনিউম একটি অত্যন্ত সফল উদ্যোগ হিসাবে প্রমাণিত। মাদকগুলি সহিংস অপরাধের উচ্চ অনুপাতের সাথে সম্পর্কিত। তাই আমরা অপরাধীদের টার্গেট করা চালিয়ে যাব, পুলিশের সহকর্মীদের সাথে যৌথভাবে কাজ করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।” সংবাদ বিজ্ঞপ্তি