লণ্ডন, ১৩ নভেম্বর: বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রবীণ কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট সমাজসেবী ফারুক চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। গত ৮ই নভেম্বর তিনি নর্থ লণ্ডনের বার্নেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
গত ১০ নভেম্বর বাদ জুম্মা ইস্ট লণ্ডন মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠানের পর তাঁকে হেইনলট কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ ইস্ট লণ্ডন মসজিদে রাখা হয়।
মরহুম ফারুক চৌধুরী বাংলাদেশ থেকে স্নাতক পাশ করে পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে বিলাতে আসেন। এখানে তিনি রেলওয়েতে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে চাকুরীতে ইস্তফা দিয়ে কিছুদিন রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায় জড়িত হন। এরপর তিনি ইস্ট লণ্ডনের বেথনাল গ্রিন হাউজিং অফিসে কর্মকর্তা হিশেবে দীর্ঘদিন কাজ করে অবসরে যান। তিনি কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলেন। মানুষের নানা ধরনের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয়ে এগিয়ে আসতেন।
বিভিন্ন চ্যারিটি সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন মরহুম ফারুক চৌধুরী। তিনি অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক জনজীবন পত্রিকার অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন। বাংলাদেশে ফারুক চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস ছিলো সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া গ্রামে। লণ্ডনে তিনি এজোয়ার এলাকায় সপরিবার বসবাস করতেন। মরহুমের রুহের মাগফিরাতের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া কামনা করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি