হাসনাত চৌধুরী ♦
লণ্ডন, ০৮ মার্চ: লণ্ডন স্পোর্টিফের বার্ষিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে সুধীজনরা বলেছেন, বিভিন্ন খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে লণ্ডন স্পোর্টিফ কমিউনিটিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। গত ৩ মার্চ রোববার, পূর্ব লণ্ডনের লণ্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমী হলে আয়োজিত অ্যাওয়ার্ডস প্রদান অনুষ্ঠানে সুধীজনরা এ মন্তব্য করেন।
জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে এবার ৩০টির বেশী এওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের হাতে। এতে ক্লাবের সকল স্তরের খেলোয়াড় ছাড়াও যোগ দেন লণ্ডনের বিভিন্ন বারা কাউন্সিলের মেয়র, স্পিকার, কাউন্সিলার, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও ক্রীড়া অনুরাগীরা।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সুধীজনরা বলেন, অত্যন্ত কম সময়ের ব্যবধানে লণ্ডন স্পোর্টিফ খেলাধুলার ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে গেছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কমিউনিটির বর্তমান বাস্তবতায় তরুণদের এই পথে নিয়ে আসা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তারপরও লণ্ডন স্পোর্টিফ এই কাজটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করতে পেরেছে। কমিউনিটির সকলের উচিত এই ক্লাবটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক ইব্রাহিম খলিল। তিনি এ সময় ক্লাবের অন্যান্য কর্মকর্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন। তারা হলেন- ভাইস চেয়ারম্যান ঈসা জাকির খলিল, সেক্রেটারী মুহিবুল আলম, ট্রেজারার মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, ক্লাব ম্যানেজার মহি মিকদাদ, স্পোর্টস ডেভেলাপমেন্ট সেক্রেটারী কালিম উদ্দিন, ইভেন্ট সেক্রেটারি ফরহাদ উদ্দিন ও কমিউনিকেশন সেক্রেটারী শুয়েব আহমদ।
কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মেঘনা মিনারা উদ্দিনের সঞ্চালনায় অ্যাওয়ার্ড পর্বে ক্রিকেট, ফুটবল ও বেডমিন্টন মিলিয়ে ৩০টির বেশী এওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয় খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের হাতে। এবার ক্লাবের পক্ষ থেকে ‘মোস্ট ইন্সপায়রেশনাল পার্সন অব দ্যা ইয়ার’ লাভ করেন ক্লাব সেক্রেটারী মুহিবুল আলম।
খেলোয়াড়দের হাতে সাফল্যের স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথি টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার কাউন্সিলার জাহেদ চৌধুরী, ক্যামডেন কাউন্সিলের মেয়র কাউন্সিলার নাজমা রহমান, কার্ডিফের লর্ড মেয়র ড. বাবলীন মল্লিক, চ্যানেল এস-এর প্রতিষ্ঠাতা মাহি ফেরদৌস জলিল, টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলের লিড মেম্বার কাউন্সিলার আব্দুল ওয়াহিদ, কাউন্সিলার কামরুল হোসাইন, টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার গ্রুপের লিডার কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম, লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ওলি খান এমবিই, লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক ট্রেজারার মুসলেহ উদ্দিন, সাবেক স্পিকার আহবাব হোসেন, কাউন্সিলার আব্দাল উল্লাহ, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের ডাইরেক্টর জেনারেল আবুল হায়াৎ নুরুজ্জামান, ফাইনান্স ডাইরেক্টর মনির আহমেদ, সলিসিটর আবুল কালাম, সাবেক কাউন্সিলার ব্যারিস্টার খালেদ নূর, কাউন্সিল অব মস্কের ট্রেজারার আব্দুল মুনিম ক্যারল, এলবি২৪-এর শাহ ইউসুফ, লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের ট্রেজারার সালেহ আহমেদ, নতুন দিনের নির্বাহী সম্পাদক পলি রহমান, সুন্নাহ মাস্ক-এর প্রধান নির্বাহী কাজী আবিদুর রহমান, ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের প্রোগ্রাম ডাইরেক্টর শফিকুল ইসলাম সিকদার, লিজেণ্ড এক্সপ্রেস লণ্ডন-এর সিইও হাসনাত চৌধুরী, ইউকে টেল-এর প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহিম রহমান, প্রটো মটরসের ডাইরেক্টর শাকির আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে খেলাধুলার গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন লণ্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমীর প্রিন্সিপাল আশিদ আলী।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউডের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার লুৎফুর রহমানকে। এছাড়া ক্লাবের বিগত দিনের পথচলায় সহযোগিতার জন্য ক্লাবের স্পনসর সুন্নাহ মাস্ক, ওয়ার্ক পারমিট ক্লাউড, লিজেণ্ড এক্সপ্রেস লণ্ডন, ইউকে টেল, প্রটো মটরস, লণ্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমী, ক্রিস্টাল টায়ার্স, ব্রডওয়ে ওয়েস্ট, নিউ কাউনওয়াকে বিশেষ প্রশংসা-সনদ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্লাবের বিগত দু’বছরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
উল্লেখ্য, লণ্ডন স্পোর্টিফ এবার বছর প্রতিষ্ঠার সাত বছর পূর্ণ করেছে। ৩০ জন সদস্য নিয়ে কাজ শুরু করলেও এখন এই ক্লাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিন শতাধিক তরুণ অংশ নিচ্ছে। ইংল্যাণ্ড ক্রিকেট বোর্ড, ফুটবল এসোসিয়েশন এবং হোম অফিসের আর্থিক সহযোগিতায় সারা বছরজুড়ে ক্লাবটি তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে।