লণ্ডন, ২৪ মার্চ: ফিলিস্তিনের পক্ষে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত অঙ্গীকার রক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান অটল রয়েছে উল্লেখ করে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন লণ্ডনে দায়িত্বরত বাংলাদেশ মিশনের উপরাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী খান। ’রাজনৈতিক প্রতিরোধ: বাংলাদেশের ফিলিস্তিন নীতি’ শীর্ষক ষষ্ঠ বার্ষিক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লেকচার’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ আলোচনায় মূল বক্তা ছিলেন বেসরকারি সংগঠন ‘রেস্টলেস বিইংস’-এর প্রতিষ্ঠাতা মানবাধিকার সংগঠক মাবরুর আহমেদ।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন উপলক্ষে সোয়াসের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটের সাথে যৌথভাবে ৭ মার্চ ফাউণ্ডেশন কর্তৃক গত ৬ মার্চ, ইউনিভার্সিটি অব লণ্ডনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় ও অব্যাহত সমর্থনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে মাবরুর আহমেদ এবং বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হজরত আলি খান দুজনেই বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের সব সরকারই ফিলিস্তিন প্রশ্নে একই নীতি অনুসরণ করে এসেছে, যার মূলে আছে ফিলিস্তিনিদের মুক্তিসংগ্রামকে সমর্থন করা, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারির অবসান এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রস্তাবসমূহ লঙ্ঘনের বিচার। বাংলাদেশ কখনোই এ অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়নি। তবে ইসরায়েলের নজরদারি প্রযুক্তি কেনা ও ইসরায়েলে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি কীভাবে সম্ভব হলো, এ প্রশ্নের কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা আলোচনায় পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েলে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণাটি তুলে নেওয়ার নীতিও আলোচনায় সমালোচিত হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় সমর্থন দেওয়া এবং ইসরায়েলের দখলদারি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন কি না, সে বিষয়ে শুনানিতে পক্ষভূক্ত হয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য দেওয়াকে আলোচনা সভায় প্রয়োজনীয় এবং প্রশংসনীয় ভূমিকা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
৭ই মার্চ ফাউণ্ডেশনের নুরুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য প্রদানকালে লণ্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপরাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সূচনালগ্নে এবং ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ এবং ওআইসি সম্মেলনে ফিলিস্তিনের পক্ষে বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি রক্ষায় বাংলাদেশ তার অবস্থানে অটল রয়েছে।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তা রেস্টলেস বিয়িংসের পরিচালক মাবরুর আহমেদ গাজার মাটিতে সর্বশেষ মানবিক প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাঁর দীর্ঘ উপস্থাপনায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি বাঙালী এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন জাতির রাজনৈতিক সমর্থনের একটি চিত্র তুলে ধরেন তিনি।