লণ্ডন, ১০ জুন: দেশীয় সংস্কৃতির উপস্থাপনের বর্ণিল আয়োজনে নজর কাড়া ফ্যাশন শো আর হাজারো দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে সপ্তম লণ্ডন বেঙ্গলী ওয়েডিং ফেয়ার। ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৪টা ছুই ছুই, উপর থেকে কেক নামলো। আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ কেক কেটে মেলার উদ্বোধন করলেন। মেলা জুড়ে ছিল বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ছোট বড় নানা জিনিসের পসরা। দামি ব্র্যাণ্ডের গাড়ী থেকে পালকি, কিংবা রিকশা প্রায় সবখানেই ছিল বাঙালীয়ানার ছাপ। আরো ছিল কনের লেহেঙা ও শাড়ীসহ আসবাবপত্র। আগত দর্শনার্থীরা উপভোগ করেন ভিন্নমাত্রার এই অনুষ্ঠান। বরেণ্য শিল্পীদের গান আর খ্যাতনামা মডেলদের ফ্যাশন শোতে প্রাধান্য পায় বাংলাদেশী ঐতিহ্য।

এছাড়া রুমিনা-১০১-এর মত সোশাল মিডিয়া সেলেব্রিটি এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশী মডেলদের নিয়ে ছিল চোখ ধাঁধানো ফ্যাশন শো। আবায়া এবং হিজাব এই ফ্যাশন শোকে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্কের জনপ্রিয় উপস্থাপক স্ম্যাস বেঙ্গলীর উপস্থাপনায় রোববার পূর্ব লণ্ডনের রয়েল রিজেন্সিতে অনুষ্ঠিত মেলায় ছিল প্রায় ২ হাজার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি।

লণ্ডন বেঙ্গলী ওয়েডিং ফেয়ারের এমডি ও চ্যানেল এস-এর সিনিয়র প্রযোজক আহাদ আহমদ ও সিইও সোহানা আহমদ জানান, বাংলাদেশী ডিজাইনার বা নতুন উদ্যোক্তাদের তুলে ধরার পাশাপাশি বিয়ের খরচ কমিয়ে আনাই ছিল এই আয়োজনের লক্ষ্য।

আমন্ত্রিত অতিথি ও আগত দর্শনার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান আয়োজকরা। পার্ল এ্যাডভার্টাইজিংয়ের উদ্যোগে লাক্স ফার্নিশিং-এর সৌজন্যে এবং রয়েল রিজেন্সীর সহযোগিতায় আয়োজনে ছিল ক্যাটারার্স, মেইকআপ আর্টিস্ট এবং কার সার্ভিস থেকে জুয়েলার্সের বিভিন্ন স্টল। এক ছাদের নিচে ছোট বড় প্রায় ৫০টি স্টলেই ছিল আকর্ষণীয় ছাড়।

নিউহাম কাউন্সিলের সিভিক মেয়র কাউন্সিলার রাহিমা রহমান, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলার ব্যারিস্টার সায়েফ উদ্দিন খালেদ, ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কর্মাস এণ্ড ইণ্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহমান রানু, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ওলী খান এমবিই, বিবিসিএর সভাপতি তোফাজ্জুল মিয়া, চ্যানেল এস ফাউণ্ডার মাহি ফেরদৌস জলিল, লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী এবং বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ জুবায়ের ও সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ, ব্রিটিশ বাংলাদেশি হুজহুর ফাউণ্ডার আব্দুল করিম গনি, রয়েল রিজেন্সির এমডি আব্দুল বারি, সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন, ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ ও কমিউনিটির বিশিষ্ট জনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

অনুষ্ঠানে গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন ও সমবেদনা জানিয়ে ২ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও এই আয়োজন সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয় স্পনসরদের। আগামীতে এই আয়োজনের আরও নতুনত্ব নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি