লণ্ডন, ০৩ জুন: ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এণ্ড ইণ্ডাস্ট্রির (বিবিসিসিআই) পরিচালক ও নর্থ ওয়েস্ট রিজিয়নের প্রেসিডেন্ট, আন্তর্জাতিক চ্যারিটি সংস্থা জাস্ট হেল্প ফাউণ্ডেশন ইউকে’র চেয়ারম্যান ও আই হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, চ্যানেল এস-এর ম্যানচেস্টার ব্যুরো চিফ মিজানুর রহমান মিজানকে এ বছর ফ্রিডম অফ দ্য সিটি অফ লণ্ডন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে। গ্রেটার ম্যানচেস্টারে বাংলাদেশী-ব্রিটিশদের মধ্যে মিজানই প্রথম এই সম্মাননা পেলেন। চ্যারিটি কার্যক্রমে ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
গত ২৮ মে ২০২৪ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় লণ্ডন সিটি কাউন্সিলে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। পরে দুপুরে তাঁর সম্মানে হোয়াইটচ্যাপলের ফিস্ট এণ্ড মিষ্টি রেস্টুরেন্টে এ আলোচনা সভা এবং মধ্যাহ্ন ভোজ অনুষ্ঠিত হয়। ফারহান মাসুদের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন বিবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রেনু, লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ জুবায়ের, বিবিসিসিআই সাবেক প্রেসিডেন্ট বশির আহমদ, বিসিএর প্রেসিডেন্ট ওলি খান এমবিইসহ কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য, ১২৩৭ সাল থেকে চালু হওয়া ফ্রিডম অফ দ্য সিটি অফ লণ্ডন এওয়ার্ড ব্রিটেনের একটি অন্যতম পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী সম্মাননা। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদেরকে ইতিপূর্বে এই এওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, জন ক্যারি, ভান মরিসন, ড্যামি মারি পিটার্স, শাবানা আজমি, লর্ড মেয়র প্রফেসর মাইকেল ম্যানেলিলি, হাইড-স্টেলিব্রিজের এমপি জোনাথান রেনাল্ড প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান মিজান গত ২৫ বছর থেকে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকতায় যুক্ত। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত বাংলা টিভি ও তারপর থেকে চ্যানেল এস-এ তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটির সংবাদ প্রচারের মধ্যদিয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছেন। মিজানুর রহমান মিজান বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। সিলেট পাইলট স্কুলে থাকাকালীন সময় থেকে হকি খেলা শুরু করেন। মৌসুমী ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। দীর্ঘদিন সিলেট মৌসুমী ও জেলা দলের হয়ে খেলেছেন। ১৯৮২ সনে খেলোয়াড় হিসাবে ঢাকা মোহামেডান যোগ দেন দুই বছর মোহামেডানে খেলার পর আবাহনীতে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে খেলেছেন। সর্বশেষ ১৯৯০ সনে তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্রের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। হকি দলের খেলোয়াড় হিসাবে জাতীয় ইণ্ডিয়া, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে খেলে দেশের সম্মান বয়ে এনেছেন। এ ছাড়া মিজান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ১৯৮৭/৮৮ সনে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় হকি সুনামের সাথে খেলেন।
সিলেটের নগরীর মিরা বাজার, আগ পাড়ায় তাঁর পারিবারিক বাসস্থান। ১৯৯১ সালে ব্রিটেনে পাড়ি জমান। গ্রেটার ম্যানচেস্টারের ডাকিনফিল্ডে সপরিবারে বসবাস করছেন। বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ মিজান বাল্যকাল থেকেই নিজেকে চ্যারিটি কর্মকাণ্ডে যুক্ত রেখেছেন। লণ্ডনে ২০০৬ সালে আগপাড়া মসজিদের তহবিল সংগ্রহ করেন।
২০০৭ সালে জাস্ট হেল্প ফাউণ্ডেশন গঠন করে দেশে-বিদেশে আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করে আসছেন। ২০১২ সালে সিলেটের গোয়াইনঘাটে জাস্ট হেল্প আই হসপিটাল নির্মাণ দুঃস্থ মানবতার সেবায় একটি কার্যকর অবদান। বর্তমানে এটি সিলেট প্রাইড রোটারীর সাথে যৌথ পরিচালনায় হসপিটাল পরিচালিত হচ্ছে। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি শতাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি