পত্রিকা ডেস্ক
ক্যাপশন : বাসায় গিয়ে দেখা যায়?একটি সুটকেইসের তালা নেই। অন্য সুটকেইসের ‘বি?-ইন’ তালাটিও ক্ষতিগ্রস্ত
লণ্ডন, ০৫ ডিসেম্বর: সিলেট বিমানবন্দরে সুটকেইস থেকে মালামাল চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী জাহাঙ্গির হক। তিনি মরলি ভ্যালি কাউন্সিলের সাবেক স্পীকার এবং ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
সুটকেইস থেকে মালামাল চুরির তথ্য জানিয়ে কাউন্সিলার জাহাঙ্গির হক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সিলেট বিমানবন্দরে চুরির বিষয়টি জানিয়ে উ?ো তিনি আরও অপমানের শিকার হয়েছেন।
জাহাঙ্গির হক বলেন, ২ ডিসেম্বর তিনি পরিবার নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে যাত্রা করেন। পরদিন ৩ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা নাগাদ সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হয়। কিন্তু এরপর লাগেজের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকতে হয়। তাঁর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আরও ১০/১৫ মিনিট পরে বে?ে কিছু কিছু লাগেজ আসতে শুরু করে। কিন্তু বেশিরভাগ লাগেজের জন্য লোকজনকে অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। তাঁর নিজের লাগেজ পেয়েছেন এক ঘন্টার বেশি সময় অপেক্ষার পর। পরিবার সঙ্গে থাকায় লাগেজ পাওয়া মাত্রই বাসায় রওয়ানা হয়ে যান। কিন্তু বাসায় গিয়ে তাঁর স্ত্রী খেয়াল করেন একটি সুটকেইসের তালা নেই। অন্য সুটকেইসের ‘বি?-ইন’ তালাটিও ক্ষতিগ্রস্ত। স্ত্রী বিষয়টি তাঁকে জানায় এবং তারা সুটকেইসটি খুলে দেখেন এতে থাকা মূল্যবান জিনিসগুলো খোয়া গেছে। এরমধ্যে আছে কাপড়চোপড় এবং রান্নাঘরে ব্যবহার্য কিছু মূল্যবান জিনিসপত্র।
জাহাঙ্গির হক অভিযোগ করেন, তখন বিষয়টি জানাতে তিনি সিলেট বিমানবন্দরে টেলিফোন করেন। সবকিছু শোনার পর টেলিফোনের অপরপ্রান্তে থাকা বিমানবন্দরের কর্মকর্তা তাঁকে বলেন, আপনারা যেহেতু বাসায় চলে গেছেন, তাই বিষয়টি নিয়ে কিছু করার সুযোগ নেই। কারণ বাসায়ও তো আপনার মালামাল চুরি হয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া, আপনি নিজেওতো মালামাল সরিয়ে অভিযোগ করে থাকতে পারেন। জাহাঙ্গির হক সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দর কর্মকর্তার এমন কথা শুনে তিনি আরও বেশি মর্মাহত হয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, আমি কেন মালামাল সরিয়ে তাদের কাছে চুরির অভিযোগ করতে যাবো। আমরা প্রবাসীরা তো ন্যায্য সেবাটুকু চাই। বাড়তি কোনো সুবিধাতো চাই না। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে কাউন্সিলার এবং স্পীকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো ধরণের অসদাচারণের অভিযোগ কেউ কখনো তুলতে পারেনি। অথচ, লাগেজ চুরির অভিযোগ জানাতে গিয়ে উ?ো আমাকে সন্দেহ করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।