পত্রিকা ডেস্ক ♦
লণ্ডন, ১৯ ডিসেম্বর: যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মাত্র তিন মাসেই ১০ লাখ পাউণ্ডেরও বেশি অর্থ আয় করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়ার পর থেকে তিনি এই বিপুল পরিমাণ আয় করেছেন বলে দেশটির পার্লামেন্টের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিয়ে বরিস জনসন ১২ লাখ ডলার আয় করেছেন। বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে বরিস জনসনের। তিনি ডাউনিং স্ট্রিট ছাড়ার পর নিউইয়র্কের কয়েকটি ব্যাংক ও বিমা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সামনে, মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন আয়োজিত পর্তুগালের একটি সম্মেলনে এবং ভারতে একটি সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন।
পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রতি বক্তৃতার জন্য তিনি ২ লাখ ১৫ হাজার পাউণ্ড থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার পাউণ্ড পর্যন্ত ফি নিয়েছেন। পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে সাধারণত আইন প্রণেতাদের আর্থিক তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বরিস জনসন। পরে করোনা মহামারির সময়ে নিজ দপ্তরে পার্টির আয়োজন করাসহ নানা কেলেঙ্কারি মাথায় নিয়ে এ বছরের ৭ জুলাই পদত্যাগ করেন তিনি। তাঁর পদত্যাগের পর স্বল্প সময়ের জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন লিজ ট্রাস। তাঁর আকস্মিক ক্ষমতাচ্যুতির পর পুনরায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নামেন বরিস জনসন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত টরি এমপিরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনাককে বেছে নেন। বরিস জনসনের শাসনামলের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।