পত্রিকা ডেস্ক:
লণ্ডন, ০৮ মে: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তার সদস্য দেশগুলোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নতুন কিছু প্রস্তাব ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত, কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয় এমন দেশের ব্যক্তিদের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইউরোপীয় দেশের এই জোট প্রস্তাব করেছে যে ‘গুরুতর দুর্নীতি’ করেছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা সম্পদ জব্দ করা ও তাঁদের এই জোটে নিষিদ্ধ করা হবে। ইইউর ২৭টি দেশের সবগুলোকে এই পরিকল্পনা অনুমোদন করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রস্তাবগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগনিটস্কি আইনের অনুরূপ। ওই আইনের আওতায় মার্কিন সরকার দুর্নীতি কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত বিদেশি সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। রাশিয়ার আইনজীবী সের্গেই ম্যাগনিটস্কির নামে এ আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে তিনি রাশিয়ায় একটি কারাগারে বিচারের আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে ‘ইইউর সর্বজনীন পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির প্রতি ব্যাঘাত ঘটায় বা ঘটাতে পারে এমন দুর্নীতির ঘটনার’ বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার অধিকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক-প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, ‘আমরা একটি পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছি। যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ইউরোপের দরজা বন্ধ। এই দুর্নীতি যেখানেই ঘটুক না কেন।’ কমিশন যেসব ঘটনাকে গুরুতর দুর্নীতি হিসেবে বিবেচনা করছে তার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়া। এ ছাড়া রয়েছে জনগণের তহবিল তছরুপ করা, বিশেষ করে এমন সব দেশে যারা করের মতো বিষয়ে সহযোগিতা করে না বলে মনে করা হয় অথবা যারা অর্থ পাচার ও জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জোসেফ বোরেল বলেন, ‘গোপন দুর্নীতির ঘটনা সন্ত্রাস, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও অন্যান্য ধরনের অপরাধ উসকে দেওয়ার মাধ্যমে শান্তি এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রতি হুমকি তৈরি করতে পারে। সে কারণে আমরা আমাদের ক্ষেত্র বাড়াচ্ছি এবং পুরো বিশ্বে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা বলছি।’
কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জুরোভা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাধারণত যে ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়, প্রস্তাবগুলো অনেকটা সে ধরনেরই। ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তবে নতুন প্রস্তাবমালা বিশেষ কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হয়নি। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় যদি কোনো ব্যক্তি ‘মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত’ হন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার একটি পদ্ধতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২০ সালের শেষের দিকে চালু করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কালো তালিকায় কারও নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে তখনই, যখন পররাষ্ট্রবিষয়ক-প্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নাম প্রস্তাব করবেন এবং এরপর সব দেশ সর্বসম্মতভাবে সেটি অনুমোদন করবে। তবে কালো তালিকায় নাম ওঠার সিদ্ধান্তকে ওই ব্যক্তি ইউরোপীয় বিচার আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।পত্রিকা ডেস্ক লণ্ডন, ০৮ মে: ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তার সদস্য দেশগুলোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে নতুন কিছু প্রস্তাব ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত, কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয় এমন দেশের ব্যক্তিদের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইউরোপীয় দেশের এই জোট প্রস্তাব করেছে যে ‘গুরুতর দুর্নীতি’ করেছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা সম্পদ জব্দ করা ও তাঁদের এই জোটে নিষিদ্ধ করা হবে। ইইউর ২৭টি দেশের সবগুলোকে এই পরিকল্পনা অনুমোদন করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রস্তাবগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগনিটস্কি আইনের অনুরূপ। ওই আইনের আওতায় মার্কিন সরকার দুর্নীতি কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত বিদেশি সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। রাশিয়ার আইনজীবী সের্গেই ম্যাগনিটস্কির নামে এ আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল।
২০০৯ সালে তিনি রাশিয়ায় একটি কারাগারে বিচারের আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন। কমিশনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন যেসব পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে ‘ইইউর সর্বজনীন পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির প্রতি ব্যাঘাত ঘটায় বা ঘটাতে পারে এমন দুর্নীতির ঘটনার’ বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার অধিকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন পাবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক-প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, ‘আমরা একটি পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছি। যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ইউরোপের দরজা বন্ধ। এই দুর্নীতি যেখানেই ঘটুক না কেন।’ কমিশন যেসব ঘটনাকে গুরুতর দুর্নীতি হিসেবে বিবেচনা করছে তার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়া। এ ছাড়া রয়েছে জনগণের তহবিল তছরুপ করা, বিশেষ করে এমন সব দেশে যারা করের মতো বিষয়ে সহযোগিতা করে না বলে মনে করা হয় অথবা যারা অর্থ পাচার ও জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। জোসেফ বোরেল বলেন, ‘গোপন দুর্নীতির ঘটনা সন্ত্রাস, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও অন্যান্য ধরনের অপরাধ উসকে দেওয়ার মাধ্যমে শান্তি এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রতি হুমকি তৈরি করতে পারে। সে কারণে আমরা আমাদের ক্ষেত্র বাড়াচ্ছি এবং পুরো বিশ্বে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নেওয়ার কথা বলছি।’
কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জুরোভা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাধারণত যে ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়, প্রস্তাবগুলো অনেকটা সে ধরনেরই। ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তবে নতুন প্রস্তাবমালা বিশেষ কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হয়নি। বিশ্বের যেকোনো জায়গায় যদি কোনো ব্যক্তি ‘মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত’ হন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার একটি পদ্ধতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২০ সালের শেষের দিকে চালু করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কালো তালিকায় কারও নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে তখনই, যখন পররাষ্ট্রবিষয়ক-প্রধান আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নাম প্রস্তাব করবেন এবং এরপর সব দেশ সর্বসম্মতভাবে সেটি অনুমোদন করবে। তবে কালো তালিকায় নাম ওঠার সিদ্ধান্তকে ওই ব্যক্তি ইউরোপীয় বিচার আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।