পত্রিকা প্রতিবেদন
লণ্ডন, ২৬শে মার্চ: যুক্তরাজ্যে সফররত উপমহাদেশের প্রাচীনতম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ(কেমুসাস) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক সৈয়দ মবনুর বলেছেন, বাংলাদেশের প্রাচীন অনেক সংগঠন-প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কেমুসাসই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যা ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ইস্যুতে অগ্রণী ভূমিকা রাখার গৌরব রয়েছে। এরকম আরেকটি প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের আর কোথাও নেইÐ যা এখনো সচল ও সক্রিয় রয়েছে। সাপ্তাহিক সুরমা সাহিত্য সাময়িকীর উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গত ২০ মার্চ, সোমবার সন্ধ্যায় লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় লÐনের বাংলা মিডিয়া সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ কবি, সাহিত্যিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সাপ্তাহিক সুরমা’র প্রধান সম্পাদক ফরিদ আহমেদ রেজা।
কবি আহমেদ ময়েজ ও সাংবাদিক আমিমুল ইসলাম তানিমের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক জনমত সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা, সাংবাদিক ও কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরী, লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, সুরমা সাবেক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, লেখক ও গবেষক ফারুক আহমদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব পীর আহমেদ কুতুব, রাজনৈতিক ও কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মওলানা অধ্যাপক আবদুল কাদির সালেহ, টাওয়ার হ্যামলেটসকাউন্সিলের নির্বাহী মেয়রের উপদেষ্টা ও লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জুবায়ের, লণ্ডন প্রেসক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাপ্তাহিক বাংলা পোস্ট সম্পাদক তারেক চৌধুরী, সাংবাদিক ও লেখক আবদুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, ইমাম ও টিভি প্রেজেন্টার শাইখ আবু সাইদ আনসারী, লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরী বাবু, সাপ্তাহিকসুরমার ক্রীড়া সম্পাদক কবি মুহাম্মদ শরীফুজ্জামান, কবি ফয়জুর রহমান ফয়েজ, কবি মাজেদ বিশ্বাস, লেখক মাওলানা আবদুল আওয়াল হেলাল, সাংবাদিক আকবর হোসেন, সাংবাদিক বদরুজ্জামান বাবুল, সাংবাদিক জামাল নুরুল ইসলাম খান, সাংবাদিক আবদুর রহীম রন্জু, সাংবাদিক আলাউর রহমান খান শাহীন, সাংবাদিক মাহবুব আলী খানশূর, সাংবাদিক হাসনাত আরিয়ান খান ও সৈয়দ মিছবাহ ’কেমুসাস’ এর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক সৈয়দ মবনুকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। একই সাথে তারা ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।শুরুতে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সভার অতিথি সৈয়দ মবনুর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন সাপ্তাহিক সুরমা’র বার্তা সম্পাদক কবি কাইয়ুম আব্দুল্লাহ।
মতবিনিময়ে অংশ নিয়ে বক্তারা প্রাচীনতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় কবি ও গবেষক সৈয়দ মবনুকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুসমূহে বলিষ্ঠভূমিকা পালনকারী সিলেট তথা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান কেমুসাসের অবদান তুলে ধরে সভায় প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় লণ্ডনে কেমুসাস’কে নিয়ে একটি বৃহত্তর আয়োজন করার জন্য আয়োজক প্রতিষ্ঠান সাপ্তাহিক সুরমার পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়। এতে অন্যান্য গণমাধ্যম ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই সম্ভাব্য আয়োজনে সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতার কথা বলা হয়। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা আগ্রহীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য লণ্ডনে একটি ব্যাপকভিত্তিক আয়োজনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে কমিউনিটির সকল প্রতিষ্ঠানের প্রতি সহযোগিতার আহবান জানানো হয়।
মতবিনিময়কালে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সঙ্গে জড়িত নেতৃবৃন্দের অনেকে স্মৃতিচারণ করে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্যসংসদের উন্নয়নে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন ও নানান দিকনির্দেশনা দেন। বক্তারা ব্রিটিশ-বাংলাদেশী তরুণ প্রজন্মেও প্রতিনিধি হিসেবে নবনির্বাচিত সেক্রেটারি সৈয়দ মবনু তাঁর উভয় দেশে বসবাসের অভিজ্ঞতা ও চৌকষ নেতৃত্বের মাধ্যমে প্রচীনতম এই সংগঠনটিকেযাতে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিক ও বিশিষ্ট কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট কে এম আবু তাহের চৌধুরী বলেন- সৈয়দ মবনুকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি সিলেটের শত বছরের প্রাচীন একটা সংগঠনের সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় মুসলিমসাহিত্য সংসদ আমাদের গৌরব এবং গর্বের প্রতীক। প্রবাস থেকে যদি কোনো ধরণের সাহায্য লাগে আমরা করবো ইনশাআল্লাহ।’
লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক জনমত সম্পাদক সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন- ’কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ থেকে আল ইসলাহ নামে একটা পত্রিকা বের হতো। এখন বের হয় কিনা জানিনা। পুরাতন জিনিসগুলোর ডিজিটালাইজড করার একটা উদ্যোগ নেয়া উচিত। বইগুলোর মর্ডানাইজ করা উচিত। ব্রিটিশরা দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি সংরক্ষিত রাখে তাদের পুরনো জিনিসগুলো। সৈয়দ মবনু এই যুগের মানুষ, এই যুগের সেক্রেটারি, কাজেই এই দিকে তাঁর দৃষ্টি দেয়া উচিত। সারাজীবন সে সেক্রেটারি থাকবে না, এমন একটা কাজ করে যাওয়া উচিত যা সে চলে যাওয়ার পরও মানুষ মনে রাখবে। আমি এই জিনিসটি মবনুর কাছে দেখতে চাই। মবনু আমার ছোট ভাই। আমি মবনুর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।’
লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ সৈয়দ মবনুকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, লণ্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে তিনি প্রথম এসেছেন। সৈয়দ মবনু ভাইকে আমি অভিনন্দন জানাই। তিনি আমাদের নতুন প্রজন্মের একজন সেক্রেটারি। ডিজিটাল যুগ এখন। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে ডিজিটাল করা হলে ভালো হবে। আশাকরি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সিলেটের সাহিত্য চর্চায় অবদান রাখবে।
লেখক ও গবেষক ফারুক আহমদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ (কেমুসাস) এর একটি সমৃদ্ধ আর্কাইভ করা উচিত। একইসাথে কেন্দ্রে সংরক্ষিত বইসহ এর সকল সেবা ডিজিটাল করা উচিত।’
বিশিষ্ট কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মওলানা অধ্যাপক আবদুল কাদির সালেহ বলেন- আমি সৈয়দ মবনুর সফলতা কামনা করি। মবনু কর্মপাগল, আড্ডা পাগল, স্পষ্টভাষী মানুষ। উনি একজন বহুমাত্রিক মানুষ, তাঁর নিজস্ব একটা বিশ্বাস আছে, কমিটমেন্ট আছে। এটার উপর তিনি শতভাগ নিবিষ্ট। সেজন্য কেউ কেউ তাকে ভুল বুঝেন। তিনি কবিতার মধ্যে থাকুন, গবেষণার মধ্যে থাকুন, চিন্তার মধ্যে থাকুন কিন্তু তিনি যেনো বুদ্ধিজীবী হয়ে না ওঠেন। কারণ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আমরা খুবই বিরক্ত। এ সময় মিলনায়তনে হাসির রোল পড়ে যায়।
অতিথির বক্তব্যে কেমুসাস-এর সাধারণ সম্পাদক কবি ও গবেষক সৈয়দ মবনু অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে নিজ বক্তব্য প্রদানকালে তিনি কেমুসাসের ঐতিহ্য ও গৌরবের উপর আলোকপাত করেন এবং এই ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত রাখতে তাদের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সৃষ্টি ও ঐতিহাসিক পথচলার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির প্রথম সভাপতি ছিলেন কালজয়ী মরমী কবি দেওয়ান হাসন রাজার ছেলে একলামুর রাজা চৌধুরী, এছাড়া দার্শনিক দেওয়ান আজরফ ও ভাষা সৈনিক মতিন উদ্দিন আহমদের মতো ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। বদরুদ্দিন ওমর সাহেব এক মাস কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে থেকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস লিখেছেন। এখনও বাংলা ভাষার ইতিহাস লিখতে হলে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে আসতে হয়। এত সমৃদ্ধ আর্কাইভ বাংলাদেশের আর কোথাও নাই। তিনি তাঁর বক্তব্যে প্রতিবছর ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান ছাড়াও কেন্দ্রীয় মুসলিম সংসদের নানান কার্যক্রম তুলে ধরেন।
সবশেষে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে প্রতি দুই বছর পর পর সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আমরা এবারের আমাদের সাহিত্য মেলাতে আমরা ব্রিটেন, ভারত ও বাংলাদেশের সবাইকে দাওয়াত দেবো। ব্রিটিশ-বাংলাদেশীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আমি তা জুলাই মাসে করার চিন্তা করছি। যাতে আপনাদের হলিডের মধ্যে হয় এবং আপনারা যেতে পারেন। এজন্য সংসদের পক্ষ থেকে আমরা লেখকতথ্য সংগ্রহ করছি।
সৈয়দ মবনু কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদকে একুশে পদক দেওয়ার দাবি করে বলেন, কেমুসাস বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে যে অবদান রেখেছে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখন তুলে ধরার সময় এসেছে। এব্যাপারে তিনি নিজেরা এবং ঢাকা থেকে যারা এখানে আসেন তাদেরকে একটু দৃষ্টি দানের অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে ফরীদ আহমেদ রেজা বলেন, এটা সিলেটের মুসলিম সাহিত্য সংসদ হলেও সারা বাংলাদেশের গর্বের প্রতিষ্ঠান এটা। এর নামের মাঝে সিলেট আছে ঠিকই কিন্তু এর মানে এই নয় যে এটা সিলেটকেন্দ্রিক, একথা মনে রাখতে হবে আমাদের। আমরা গর্ব করে বলতে পারি পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উভয় অঞ্চলের মধ্যে এরকম প্রাচীন কোন প্রতিষ্ঠান কেউ দেখাতে পারবে না। এটা এখনো চালু আছে, আল ইসলাহ এখনো চালু আছে, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ১৯৬২ তে ১০ বছর বয়সে আমি আমার বাবার সাথে প্রথম সংসদে গিয়েছিলাম। ১৯৬৪ সালে আমার প্রথম গল্প ছাপা হয়েছে আল ইসলাহতে। আমাদের জন্য একটা আনন্দের বিষয় নতুন প্রজন্মের সৈয়দ মবনু এখানকার সেক্রেটারি এবং তাঁর কাছে আমাদের প্রত্যাশাও বেশী। তিনি সৈয়দ নাহাস পাশার বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মবনু যেন এমন কাজ করার চেষ্টা করেন যাতে আমরা বলতে পারি সৈয়দ মবনু এটা করেছেন। সবশেষে তিনি সবাই কষ্ট করে উপস্থিত হওয়ার জন্য সুরমার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভার শুরুতে অতিথিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাপ্তাহিক সুরমার ক্রীড়া সম্পাদক কবি শরীফুজ্জামান এবং স্পেশাল কন্ট্রিবিউটর ও লেখক হাসনাত আরিয়ান খান। লণ্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক চৌধুরী, সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ ও নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরী বাবু সৈয়দ মবনুর হাতে উপহার তুলে দেন। এছাড়া সাংবাদিক এনাম চৌধুরী নিজে হাতে তৈরী একটি উপহার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, মুসলমান সমাজে সাহিত্য চর্চার ব্যাপক প্রচলন, বৃহত্তর সিলেটের বাংলা ভাষাভাষী অজ্ঞাতনামা কবি ও সাহিত্যিকগণের রচিত সাহিত্য সংকলন প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ এবং মুসলিম সাহিত্যসেবীবৃন্দের সাহিত্য চর্চার সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৩৬ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রখ্যাত সাহিত্য গবেষক মুহাম্মদ নুরুল হক “কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ” প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনটি উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য সংগঠন হিসেবেও পরিচিত। এটা বই, ম্যাগাজিন শিলালিপি ইত্যাদির সব থেকে বড় ও প্রাচীনতম বেসরকারী সংগ্রহশালা; যার অনেক কিছুই ত্রয়োদশ শতাব্দীর। প্রখ্যাত সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী, দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, কবি দিলওয়ার এবং চৌধুরী গোলাম আকবর সাহিত্যভূষণসহ সিলেট অঞ্চলের অনেক লেখক, সমালোচক এবং কবি এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই সংগঠনের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে ।