পত্রিকা ডেস্ক
লণ্ডন, ১৫ মে: লণ্ডনে টেমস নদী থেকে সুমা বেগম (২৪) নামে এক বাংলাদেশি নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১১ মে বৃহস্পতিবার এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী আমিনুর রহমানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সুমা বেগমের স্বামী আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই দম্পতি টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা। পুলিশের ধারণা, টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দা সুমা বেগম গত ২৮ এপ্রিল কোনো এক সময় নিজ বাসায় খুন হয়েছেন। ৩০ এপ্রিল তাঁর লাশ ব্রিফকেসে ভরে টেমসে ফেলে দেয়া হয়। সে হিসেবে দীর্ঘ ১২ দিন পর সুমা বেগমের লাশ উদ্ধার হলো। সুমা বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ঠাকুর মিয়ার মেয়ে। সুনামগঞ্জে সুমার স্বজনেরা জানান, চার বছর আগে বোনের দেবর ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের ঘোড়াডুমবুর গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আমিনুর রহমানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সুমা বেগমের। বিয়ের কিছুদিন পর স্বামীর সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান সুমা।
পূর্ব লণ্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসের অর্চার্ড প্যালেসের একটি বাসায় থাকতেন এই দম্পতি। তাঁদের আড়াই বছর ও চার মাসের দুটি সন্তান রয়েছে। পুলিশ জানায়, গত ৩০ এপ্রিল আমিনুর রহমানকে দুই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে আমিনুরকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি পুলিশকে বলেন তাঁর স্ত্রী সুমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন আমিনুর। এরপর থেকে সুমাকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। এর মধ্যে সুমার স্বামী আমিনুর আত্মগোপন করলে পুলিশের সন্দেহ হয়।
পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। লণ্ডন মহানগর পুলিশ স্থানীয় এক বাসিন্দার ফোন কল পেয়ে গত বুধবার (১০ মে) সকালে টেমস নদী থেকে সুমার লাশ উদ্ধার করে। বিবিসির খবরে বলা হয়, গত ৯ মে আমিনুর রহমানকে ফৌজদারি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে হত্যা ও লাশ গোন করার চেষ্টার দায়ে অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিন আদালতে ইন্টারপ্রেটারের মাধ্যমে আমিনুর রহমান কেবল নিজের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেন। আগামী ২৫ জুলাই এ মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।