|| শামীম আজাদ ||
দেখা হয়নি,
হতে পারেনি আমাদের তীব্র কিংবা হাল্কা
কোন আলিংগন
অথচ সে দূরত্ব লন্ডন- বাংলাদেশ নয়
এ শুধু গুলশান থেকে ধানমন্ডি যেতে হয়।
আমার যে এত সাংসারিক সংযোগ
পাঠক সমাবেশে ঘন ঘন পদ্যপাত
বিবাহ ও বিরিয়ানি
এইসব থেকে কি করে পিছলে
সোনাবন্ধু, তোরে দেখতে যাই
একবার হলেও তোর শ্যামল হাত,
মুখ ও চিবুক ছুঁই আগের মত মমতার ক্রিম দু’হাতে মাখাই !
চলে যাচ্ছি কাল ভোরে
চোখ ভিজে, ম্লান মুখ
পলে পলে ছিঁড়ছি গরব
কিছুতেই তোকে দেখা হল না আমার
শুধু মনে হচ্ছে বার বার
তবুও তো ছিলাম এখানে এক সাথে
জ্যাম, জনজট ও আমাদের
ভালবাসার শহর ঢাকাতে।
আমার যে কদম চোয়া বৃষ্টিজল
এই যে ঝুল বারান্দার নিচে
বনানী ব্রীজের তীরে
ঐ ঘন সবুজ টলমল
সে তো তোরও আছে, – থাকে,
টিকাটুলি কিংবা বিজয় নগরে।
হয়তোবা দুজনেই এই একই বৃষ্টি দেখছি
দু’জন দু’খানে
আর ঐ উঁচুতে যে আকাশ উপরে
তার নিচেই তো দু’জনেরই বাস
একই আকাশ ছাদ হয়ে আছে
আমাদের আত্মার ওপরে।
দেখা হল না বন্ধু
জানা হল না, কয় বেলা ইনসুলিন নিস,
ঘুমেবার সময় পায়ের শেষে
তুইও কি রাখিস বালিশ?
মালিশ যদি লাগে, ব্যথা যদি বাড়ে
কে থাকে তোর পাশে ?
আচ্ছা, সত্যিই কি পান ধরেছিস
আর তাই বলে বলে তুই যে হাসছিস বড়
তা কি শুধু ফোনে?
খুব জানতে ইচ্ছে করে
বিশ্ববিদ্যালয়ে তোর হাসি দেখে এবং শুনে
ধরাশায়ী হয়েছিল যে বিপ্লব
সে এখন তোর এই পানের বাটা চাটা চেহারা
দেখে কি করতো বা না
অথবা কি বলতো অন্য বন্ধুরা
আর আমিই বা দেখা হলে কি করিতাম
তাও জানা হল না।
শুধু জানি তবুও তো একই নগরে ছিলাম
তবুও তো এতদিন মনে হতো
এশহরের কোথাও না কোথাও তো
আমি ও তুই দু’জনেই আছি,
চাইলেই ছুটে যেতে পারি।
কাল থেকে সে সম্ভাবনাও আর থাকবে না
পাবো না পাবো না তোকে আমি
শত কাঁদিলেও একজন
আরেকজনরে কিছুতেই
আর পাবো না, না॥
৩১.৫.২৩, ঢাকা, বাংলাদেশ