পত্রিকা ডেস্ক ♦
লণ্ডন, ১১ সেপ্টেম্বর: বার্ষিক বাজেট ঘাটতির কবলে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর বার্মিংহাম। গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল। এতে বলা হয়, কাউন্সিলে ব্যয় করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এখন কেবল শহরের অতি গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলোয় নজর দেওয়া হবে।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই কাউন্সিল ধারা-১১৪ নোটিশ জারি করেছে। এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় সব ব্যয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল আরও জানিয়েছে, তাদের এই অর্থবছরের বাজেটেই ৮৭ মিলিয়ন পাউণ্ড ঘাটতি রয়েছে। বিরোধী দল লেবার পার্টির নিয়ন্ত্রণাধীন বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিল শুধু যুক্তরাজ্যে নয়, ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ কাউন্সিল যার শতাধিক কাউন্সিলার রয়েছেন। তারা ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে সেবা দেন। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত বাজেট পাচ্ছে না বার্মিংহাম কাউন্সিল। এতে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে শহর কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে শহর কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা আর শহরের ব্যয় পরিচালনা করতে পারছে না। এ কারণে লোকাল গভর্নমেন্ট ফিন্যান্স অ্যাক্ট, ১৯৮৮-এর অধীনে শহরে ১১৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ধারা-১১৪ নোটিশ জারির অর্থ হলো, নির্ভরশীল ব্যক্তিদের রক্ষা ও সাংবিধানিক বিষয় ছাড়া সকল নতুন ব্যয় এ মুহূর্ত থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। লেবার পার্টির কাউন্সিলার বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড়া এই মুহূর্তে কাউন্সিলের হাতে অতিরিক্ত কোনো অর্থ নেই। এমনকি বেতন দেওয়ার মতো তহবিলও নেই। এছাড়া বাজেটে ৮ লাখ ৭০ হাজার কোটি পাউণ্ড ঘাটতি রয়েছে।
২০১২ সালে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নারীকর্মীদের ‘সমবেতন’ পরিশোধের পক্ষে রায় দেয়। মূল ঘটনা হলো, বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলে যেসব কর্মী কাজ করতেন, তাদের মধ্যে পুরুষদের বোনাস দেওয়া হলেও নারীদের দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে নারীরা আদালতের দ্বারস্থ হলে তাদের পক্ষে রায় দেওয়া হয়। বার্মিংহাম কাউন্সিল গত জুনে বলেছিল, আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর গত একযুগে নারীকর্মীদের ১ দশমিক ১ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করা হয়। তবে আরও অর্থ পরিশোধ বাকি রয়ে গেছে।