লণ্ডন, ১৪ নভেম্বর: পাশ্চাত্যের ইতিহাস বিষয়ক পাঠ্যসূচিতে ৮শ শতক থেকে ১৩শ শতক সময়ের বিজ্ঞান ও আবিষ্কার নিয়ে খুব একটা কিছু নেই। সময়টিকে চিহ্নিত করা হয় ডার্ক এইজ বলে। প্রকৃতপক্ষে সেই সময়ে বর্তমান প্রযুক্তির অনেক কিছুরই গোড়াপত্তন ঘটে। আর ওইসব আবিষ্কারের পেছনে ছিলেন মুসলিম বিজ্ঞানীরা। সেকারণেই পাশ্চাত্যে ডার্ক এইজ বলে চিহ্নিত সময়টি প্রকৃতপক্ষে গোলডেন এইজ। আর সময়টি মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের এবং অনুপ্রেরণার। এ কিউরিয়াস জার্নি থ্রো দ্য গোলডেন এইজ শীর্ষক নাটিকায় ইতিহাসের এই সত্যকেই তুলে ধরা হয়েছে। এতে অভিনয় করেছে ক্ষুদে শিল্পীরা। গত রোববার (১৩ নভেম্বর) পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে পরিবেশিত এই নাটিকায় ওই সময়ে ইসলামিক মনিষীদের নানা আবিষ্কারের গল্প তুলে ধরা হয়। এটি পরিবেশন করে মুসলিম ক্রিয়েটিভ আর্টস স্কুল ডব্লিওএডব্লিও ক্রিয়েটিভ আর্টস। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের মাসব্যাপী আয়োজন সিজন অব বাংলা ড্রামায় এটি মঞ্চায়ন করা হয়।
বিলেতে বাংলাদেশিদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার বৃহত্তম আয়োজন ‘সিজন অব বাংলা ড্রামা’। ৪ নভেম্বর শুরু হওয়া মাসব্যাপী এ আয়োজন চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। টাওয়ার হ্যামলেটসের বিভিন্ন ভেন্যুতে হবে নানা আয়োজন। এবারের আয়োজন মূল প্রতিপাদ্য- ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ এবং ‘আত্মপরিচয়’ (ফ্রিডম অব পীস অ্যান্ড সেল্প আইডেনটিটি)। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা অংশ নেবেন মঙ্গের পরিবেশনায়। মঞ্চ নাটক, গীতি নাট্য ও নৃত্য নাট্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং আত্মপরিচয়ের গুরুত্ব ও নানা সংগ্রামের কথা।
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক ধরে বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল নভেম্বর মাসব্যাপী ‘সিজন অব বাংলা ড্রামা’র আয়োজন করে আসছে। টাওয়ার হ্যামলেটসে ২০০৩ সালে শুরু হওয়া বাংলা নাট্যোৎসবের এটি ১৯ তম আয়োজন।